
উত্তর : বিশুদ্ধ মতে, ইমামের তাকবীরে তাহরীমা পাঠরত অবস্থায় যে ছালাতে অংশ গ্রহণ করবে, সে তাকবীরে ঊলা পেয়েছে বলে গণ্য হবে এবং হাদীছে বর্ণিত ফযীলত লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (নববী, রওযাতুত ত্বালেবীন ১/৩৪২; ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৭/৯৩; ইবনু মুফলেহ, আল-ফুরূ‘ ১/৫২১; ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২/১৯২)। পরে যারা অংশগ্রহণ করবে তারা জামা‘আত পেয়েছে বলে গণ্য হবে। এক্ষণে কেউ চল্লিশ দিন জামা‘আতে ছালাত আদায় করার নিয়ত করার পর সফরে বের হয়ে গেলে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করার চেষ্টা করবে। এরপরে সম্ভব না হ’লে সফর সঙ্গীদের সাথে বা একাকী ছালাত আদায় করবে তাকবীরে উলায় অংশ গ্রহণের ছওয়াব পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মানুষ রোগে অসুস্থ হ’লে অথবা সফরে থাকলে তার আমালনামায় তাই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় বা বাড়ীতে থাকলে লেখা হ’ত’ (বুখারী হা/২৯৯৬; মিশকাত হা/১৫৪৪)।
উল্লেখ্য যে, কেউ যদি চল্লিশ দিন জামা‘আতের সাথে প্রতি ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে থাকে তাহ’লে হাদীছে বর্ণিত ছওয়াব পেয়ে যাবে বলেও হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যদিও সে ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পরে ছালাতে অংশ গ্রহণ করে। কারণ হাদীছ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে লোকেরা যাতে নিয়মিত জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করে (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/২৬১৪)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ রায়হান, কুমিল্লা।