উত্তর : হিজামাকে চিকিৎসা পেশা হিসাবে গ্রহণ করা এবং এর বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) শিঙ্গা লাগিয়েছেন এবং তাকে মজুরী দিয়েছেন। যদি এটি হারাম হ’ত বা তিনি নিকৃষ্ট মনে করতেন, তবে তিনি মজুরী দিতেন না’ (বুখারী হা/২১০৩; আবুদাঊদ হা/৩৪২৩)। আনাস (রাঃ)-কে শিঙ্গাকারীর উপার্জন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, আবূ ত্বয়বাহ রাসূল (ছাঃ)-কে শিঙ্গা লাগিয়ে দিলে তিনি তাকে দুই ছা‘ খাদ্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন (মুসলিম হা/১৫৭৭)। ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) জনৈক শিঙ্গাকারীকে ডেকে শিঙ্গা লাগালেন। অতঃপর বললেন, ‘তোমার পারিশ্রমিক কত? সে বলল, তিন ছা‘। তিনি এক ছা পারিশ্রমিক হ্রাস করলেন এবং তার মজুরী দিলেন (মুখতাছারুশ শামায়েল হা/৩১২, সনদ ছহীহ)। তাছাড়া ইবনু আববাস, আলী, ইবনু ওমর ও আনাস বিন মালেকের মত ছাহাবীরা উক্ত হাদীছ বর্ণনা করায় বুঝা যায় যে, হিজামার উপার্জন হালাল এবং এটি চলমান ছিল।

অন্যদিকে কিছু কিছু হাদীছে রাসূল (ছাঃ) শিঙ্গা লাগিয়ে পারিশ্রমিক গ্রহণকে নিম্ন মানের বলেছেন (মুসলিম হা/১৫৬৮; মিশকাত হা/২৭৬৩)। অন্য বর্ণনায় তা গ্রহণে নিষেধ করেছেন (ইবনু মাজাহ হা/২১৬৫)। উক্ত হাদীছ সমূহের ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণ দু’টি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। প্রথমতঃ নিষেধের হাদীছগুলো মানসূখ বা রহিত হয়ে গেছে। দ্বিতীয়তঃ মানসূখ ধরা না হ’লেও একে উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শাফেঈ বিদ্বানগণ মনে করেন যে, এটি নিরুৎসাহিত করার কারণ ছিল রক্তের মত অপবিত্র বস্ত্ত মুখের ভিতরে গ্রহণ করার কারণে। সেজন্য ইমাম নববীসহ বিদ্বানগণ বলেন, এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত হাদীছসমূহ দ্বারা কাজটির বিনিময় গ্রহণ অপসন্দনীয় বুঝানো হয়েছে (শরহ নববী, উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৬/১৩৩)। বরং এই কাজটি মজুরী ছাড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে, যাতে এর মাধ্যমে তার মুসলিম ভাইকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে অধিক ছওয়াব অর্জন করতে পারে (ওছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ১৭/১৮৯)। অতএব হালাল কর্ম হিসাবে এর বিনিময় গ্রহণ হারাম হবে না (ওছায়মীন, শরহ বুলুগুল মারাম হা/৯১০)

প্রশ্নকারী : আব্দুল মালেক, চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর।








বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (৩০/৩১০) : শয়তানের কোন ছেলে মেয়ে আছে কি? তাদের কি বিয়ে হয় ও বংশ বৃদ্ধি হয় কি?
প্রশ্ন (২১/৬১) : আমার অতীত জীবনে অনেক ফরয ও সুন্নাত ছালাত ক্বাযা হয়েছে। এখন কি সেই ছালাতগুলো পড়তে পারব? পড়তে হলে তার নিয়ম কি?
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক না করলে সে জান্নাতে যাবে, যদিও সে যেনা করে ও চুরি করে। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা কি?
প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : সূরা নাজম-এর ৩২ নং আয়াতে اَلْلَّمَمَ বলে কোন ধরনের অপরাধকে বুঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন (২৬/২৬) : কোন ব্যক্তি মাহরামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’লে বা যেনায় লিপ্ত হ’লে তার শাস্তি কি হবে?
প্রশ্ন (৪০/৩৬০) : আমাদের পৈত্রিক আবাসস্থলের ব্যাপারে স্থানীয় কবিরাজের বক্তব্য হ’ল এ বাড়ী অশুভ, মন্দ আছর রয়েছে, এখানে ফেৎনা-ফাসাদ লেগেই থাকবে, এখানে থাকলে আমাদের কোন বোনের বিবাহ হবে না। তাই এ বাড়ী পরিত্যাগ করতে হবে ইত্যাদি। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমার পরীক্ষা বিকাল ৩-টা থেকে সন্ধ্যা ৬-টা পর্যন্ত। আছরের ছালাতের ওয়াক্ত ৩.১০ মিনিটে। আর মাগরিব ৫.৩০-এ। এক্ষণে আছর ও মাগরিব ছালাতে আদায়ের ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৭/৭): আমার সাথে মনোমালিন্য রয়েছে এমন একজন ভাইকে সালাম দিয়ে সম্পর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি উত্তর দিচ্ছেন না বরং দূরে থাকার চেষ্টা করছেন। কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে তার পরিণাম জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩/৪৩) : আমরা যে মাযহাবী ভাইদের সাথে অর্থাৎ বিদ‘আতীদের সাথে বিবাহ দিয়ে থাকি। শরী‘আতের দৃষ্টিতে তা জায়েয আছে কি?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : তাফসীরুল ওয়াফী নামক একটি তাফসীরে প্রমাণ করা হয়েছে যে, মানুষের জন্ম ২ বার ও মৃত্যু ২ বার হয়। সেখানে বলা হয়েছে, মুনকার-নাকীর প্রশ্ন করার সময় যে মৃত ব্যক্তিকে প্রাণ দেওয়া হয় সেকথা সঠিক নয়। এসম্পর্কিত হাদীছ সমূহ কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৬/৩৮৬) : নিফাসের সময়সীমা ৪০ দিন পূর্ণ করা আবশ্যক কি? এর পূর্বে রক্তের চিহ্ন দূরীভূত হ’লে ছালাত-ছিয়াম আদায় করা আবশ্যক কি?
প্রশ্ন (১৭/৫৭) : জনৈক ব্যক্তি হোম মেড কেক বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে বিবাহবার্ষিকী ও জন্মদিনের কেকেরও অর্ডার আসে। এক্ষণে এসব বিদ‘আতী দিবস পালনের জন্য অর্ডারকৃত কেক বিক্রি করা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.