উত্তর :
রাসূল (ছাঃ) আরবী ভাষায় খুৎবা দিতেন এমনটি নয়; বরং তিনি মাতৃভাষায় খুৎবা
দিতেন। আর তাঁর মাতৃভাষা ছিল আরবী। শ্রোতারাও যেহেতু আরবীভাষী ছিলেন, তাই
তিনি মাতৃভাষা আরবীতে খুৎবা দিতেন। যেমন অন্যান্য নবীগণ দিতেন। কারণ আল্লাহ
তা‘আলা প্রত্যেক রাসূলকে তার স্বজাতির ভাষা অনুযায়ী পাঠিয়েছেন, তাদেরকে
আল্লাহর বিধান সমূহ ব্যাখ্যা করে বুঝাবার জন্য’ (ইবরাহীম ৪)।
অতঃপর শেষনবীকে খাছ করে বলা হচ্ছে যে, ‘আমরা আপনার নিকটে ‘যিকর’ (কুরআন)
নাযিল করেছি। যাতে আপনি লোকদের নিকট ঐসব বিষয় ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের
প্রতি নাযিল করা হয়েছে। যাতে তারা চিন্তা-গবেষণা করে’ (নাহল ৪৪)।
হযরত জাবের বিন সামুরাহ (রাঃ) বলেন যে, খুৎবার সময় রাসূল (ছাঃ)-এর দু’চোখ
উত্তেজনায় লাল হয়ে যেত। গলার স্বর উঁচু হ’ত ও ক্রোধ ভীষণ হ’ত। যেন তিনি কোন
সৈন্যদলকে হুঁশিয়অর করছেন (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৭)। ছাহেবে মির‘আত বলেন, অবস্থা অনুযায়ী এবং মুছল্লীদের বোধগম্য ভাষায় খুৎবা দেওয়ার ব্যাপারে অত্র হাদীছটি হ’ল প্রথম দলীল’ (মির‘আত ৪/৪৯৪-৯৫)।
শেষনবী (ছাঃ) ছিলেন বিশ্বনবী। তাই বিশ্বের সকল ভাষাভাষী তাঁর উম্মতকে স্ব স্ব মাতৃভাষায় খুৎবা দানের মাধ্যমে কুরআন ও হাদীছ ব্যাখ্যা করে দিতে হবে। যা অবশ্য পালনীয়। নইলে খুৎবার উদ্দেশ্যই পন্ড হবে (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘মাতৃভাষায় খুৎবা দান’ অনুচ্ছেদ ৩য় সংস্করণ, পৃঃ ৬৬)। উল্লেখ্য যে, মূল খুৎবার পূর্বে মিম্বরে বসে আরেকটি খুৎবা দেওয়া বিদ‘আত।