উত্তর : এ পদ্ধতি শরী‘আতসম্মত নয়। বরং এটি সূদী পদ্ধতি। এখান থেকে মুসলমানদের বেঁচে থাকা আবশ্যক। সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশনের রূপরেখাটি প্রচলিত বীমা পদ্ধতি বা ব্যাংকের ডিপিএসের মত, যা গারার (অস্পষ্টতা) ও রিবা (সূদ)-নির্ভর। অর্থাৎ একজন নাগরিক নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নির্ধারিত হারে নিয়মিত চাঁদা দিবে। বিপরীতে নির্দিষ্ট বয়সে সরকার তাকে আমৃত্যু পেনশন তথা ঋণের বিনিময়ে সূদ দিবে। এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিয়ে বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়ার চুক্তি সরাসরি সূদের আওতায় পড়ে। কারণ যে ঋণ লাভ নিয়ে আসে তা-ই সূদ (ইরওয়া হা/১৩৯৭)। সূদ সর্বাবস্থায় হারাম (বাক্বারাহ ২/২৭৫)।
তবে সরকার নাগরিকদের কল্যাণে সার্বজনীন বেকার ভাতা বা দরিদ্র ভাতা চালু করতে পারে। যাতে সকল নাগরিক সূদমুক্ত জীবন পরিচালনা করতে পারে। এছাড়াও সরকার চাইলে ব্যবসায় লভ্যাংশের ভিত্তিতে সূদমুক্ত ইসলামী স্কীম চালু করতে পারে।
প্রশ্নকারী : আফযাল হোসাইন, নওদাপাড়া, রাজশাহী।