উত্তর :
প্রথমতঃ রাগান্বিত অবস্থায় প্রদত্ত তালাকের ক্ষেত্রে দু’টি বিষয় লক্ষণীয়।
(১) রাগান্বিত অবস্থায় বুঝশক্তি লোপ না পাওয়া, জ্ঞানহারা না হওয়া এবং
নিজেকে কিছু বলা ও করা হতে বাধা প্রদান করতে সক্ষম থাকা। অর্থাৎ যদি সে
সবকিছু জেনে-বুঝে বলে, এমতাবস্থায় তালাক হয়ে যাবে। (২) ক্রোধের প্রচন্ডতার
কারণে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য অবস্থায় তালাক দিলে তা তালাক হিসাবে গণ্য হবে
না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘তালাক ও দাসমুক্তি নেই ‘ইগলাক্ব’ অবস্থায়’ (আবুদাউদ হা/১৯১৯, মিশকাত হা/৩২৮৫)।
আবু দাঊদ বলেন, ‘ইগলাক্ব’ গালাক্ব ধাতু হ’তে ব্যুৎপণ্ণ। যার অর্থ বন্ধ
হওয়া। ক্রোধান্ধ, পাগল ও যবরদস্তির অবস্থায় মানুষের স্বাভাবিক জ্ঞান ও
ইচ্ছাশক্তি লোপ পায়। তাই এ অবস্থাকে ‘ইগলাক্ব’ বলা হয় (ঐ, হাশিয়া ২/৪১৩ পৃঃ)।
দ্বিতীয়তঃ তালাকের বিধি-বিধান সম্পর্কে অজ্ঞতা হেতু সে এরূপ করে থাকলে উক্ত স্ত্রী হারাম হবে না। বরং অনুতপ্ত হয়ে তওবা করতে হবে এবং পুনরায় এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞা করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং অনিচ্ছাকৃত পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৬২৮৪)।
সুতরাং উক্ত বিবাহ বাতিল হবে না। বরং তওবা করতে হবে এবং আর কখনো এরূপ না করার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।