উত্তর : মূলতঃ বিষয়টি ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত। যখন আল্লাহর হুকুম হয়, তখনই এর কার্যকারিতা প্রকাশ পায়, নতুবা নয়। উল্লেখ্য যে, কালোজিরার সঠিক ব্যবহারের নিয়ম জানা না থাকার কারণেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। তাছাড়া কারো যদি কোন রোগে মৃত্যু নির্ধারিত থাকে তাহ’লে কোন ঔষধই কাজ করবে না (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৮/৬১)। কোন কোন বিদ্বান বলেন, এটি সর্বরোগের জন্য নয়, মূলত ঠান্ডাজনিত যে কোন রোগের মহৌষধ (ফাৎহুল বারী ১০/১৪৪-৪৫; যাদুল মা‘আদ ৪/২৯৭)। ইমাম খাত্ত্বাবী বলেন, আম দ্বারা খাছ উদ্দেশ্য নেওয়া হয়েছে। কারণ পৃথিবীতে এমন কোন উদ্ভিদ নেই যার মধ্যে সকল প্রকারের ঔষধি গুণ রয়েছে (ফাৎহুল বারী ১০/১৪৫)। কালোজিরা যেকোন মৌসুমী রোগেও উপকার করে। আর এজন্য জানতে হবে সঠিক ব্যবহার (ফাৎহুল বারী ১০/১৪৫; ঊমদাতুল কারী ২১/২৩৭; তোহফাতুল আহওয়াযী ৬/১৬৩-৬৪)। কালোজিরা রোগ ভেদে বিভিন্ন পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। কখনো শুধুই দানা, কখনো ৫/৭টি বা ২১টি দানা পিষে মধুর সাথে, কখনো যয়তুন তেলের সাথে মিশিয়ে খাওয়া বা ড্রপ হিসাবে নাকে  দেওয়া ইত্যাদি রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১০/১৪৪)। এজন্য অধিকতর গবেষণা করে এর সঠিক প্রয়োগ ও পদ্ধতি আবিষ্কার করা যরূরী। একটি যুদ্ধাভিযানে গালিব বিন আবজার অসুস্থ হ’লে ইবনু আবী আতীক তাঁকে দেখতে আসেন। অতঃপর তিনি বলেন, তোমরা এই কালোজিরা সাথে রেখ। এথেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যায়তুনের কয়েক ফোটা তেল ঢেলে দিয়ে তা নাকের উভয় ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবেশ করাবে। কেননা আয়েশা (রাঃ) আমার নিকটে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবী করীম (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, ‘এই কালোজিরা মৃত্যু ছাড়া সব রোগের ঔষধ’ (বুখারী হা/৫৬৮৭; ইবনু মাজাহ হা/৩৪৪৯; ছহীহাহ হা/১০৬৯)। অতএব আল্লাহর প্রতি পূর্ণ ভরসা রেখে ঔষধ হিসাবে বিভিন্ন উপায়ে কালোজিরা ব্যবহার করতে হবে। তাহ’লেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।


-রাজীবুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা।







প্রশ্ন (১/২৪১) : মসজিদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অন্যত্র স্থানান্তর করার পর পুরাতন মসজিদের জায়গা ও ঘর কিনে নিয়ে সংসারের কাজে ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪০/৩৮০) : জনৈক আলেম বলেন, একজন ছাহাবী রাসূল (ছাঃ)-এর রক্ত পান করেছিলেন। এর কোন সত্যতা আছে কি? - -মুশতাক আহমাদ, আসাম, ভারত।
প্রশ্ন (৬/৪৬) :জনৈক স্বামীর দু’জন স্ত্রী। একজন নিঃসন্তান। আরেকজনের সন্তান আছে। স্বামী সমান ভাগে উভয় স্ত্রীর নামে জমি ক্রয় করেছে। কিন্তু নিঃসন্তান স্ত্রী মারা যান। এক্ষণে জমি কিভাবে বন্টিত হবে?
প্রশ্ন (৭/৮৭) : পিতা মারা যাওয়ার পর মা তার গহনা খুলে আমাকে দিয়ে দিয়েছে। তার ধারণা এসময় গহনা পরে থাকলে স্বামীর বিপদ হবে। এ ধারণা সঠিক কি?
প্রশ্ন (১৭/২৭৭) : তাফসীর ইবনে কাছীরে উল্লেখ আছে, প্রত্যেক যমীনের পুরুত্ব পাঁচশ’ বছর। এক যমীন থেকে অপর যমীন ও দূরত্ব পাঁচশ’ বছরের। আবার সপ্তম আসমান থেকে আরশে আযীমের দূরত্ব হচ্ছে ৩৬ হাযার বছরের। এসব তথ্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩/১২৩) : চোখে চশমা লাগিয়ে সিজদা দিলে সিজদার হক আদায় হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : অনেক মসজিদে লেখা দেখা যায়, লাল বাতি জ্বললে কেউ সুন্নাতের নিয়ত করবেন না। এভাবে লেখা কি শরী‘আত সম্মত? - -আব্দুস সাত্তার, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : কেউ যদি বিবাহের পূর্বে বলে, আমি যদি ময়মনসিংহ যেলার মেয়েকে বিবাহ করি তবে সে তালাক। আর বাস্তবেই যদি তা হয় তাহ’লে কি তালাক হয়ে যাবে? সেক্ষেত্রে কয় তালাক হবে?
প্রশ্ন (১০/৪৫০) : বিতর ছালাতে কুনূত পাঠের সময় ইমাম সশব্দে কুনূত পাঠ করে এবং মুক্তাদীগণ আমীন বলে। এরূপ পদ্ধতি সঠিক কি? - -আলমগীর হোসেন, বাঁশদহা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (১৭/৩৩৭) : পিতা-মাতা ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর আমি পিতার কাছে থাকি। মায়ের অন্যত্র বিবাহ হয়েছে এবং সাবালক সন্তান আছে। এক্ষণে পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমি কাকে প্রাধান্য দিব?
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : কুরআন তেলাওয়াত শেষে ‘ছাদাক্বাল্লাহুল আযীম’ বলা ঠিক হবে কি? - -আব্দুল ওয়াহীদ, মাকলাহাট, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : সরকারীভাবে শিশুদের যে টিকা দেওয়া হয় তা শরী‘আতসম্মত কি? রোগ হওয়ার পূর্বেই প্রতিষেধক দেওয়া কি আক্বীদা ও তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়?
আরও
আরও
.