উত্তর : আবু
হুরায়রা (রাঃ) বলেন, কুরআন প্রতি বছর (রামাযানে) একবার রাসূল (ছাঃ)-এর
উপরে পেশ করা হ’ত। অতঃপর মৃত্যুর বছরে দু’বার পেশ করা হয়। আর তিনি প্রতি
বছর ১০ দিন ইতিকাফ করতেন। অতঃপর মৃত্যুর বছরে ২০ দিন ইতিকাফ করেন। ২য়
হিজরীতে ছিয়াম ফরয হওয়ার পর থেকে ১১ হিজরীতে মৃত্যুবরণের আগ পর্যন্ত ৯ বছর
যাবৎ রাসূল (ছাঃ) সকল রামাযানেই শেষ দশকে ইতেকাফ করেছেন। মৃত্যুর বছর
জীবনের শেষ রামাযানে তিনি ২০দিন ইতেকাফ করেন (বুখারী হা/২০৪৪, ৪৯৯৮; মিশকাত হা/২০৯৯)। কিন্তু এক বছর স্ত্রীদের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি ইতেকাফ করেননি। ফলে রামাযানের পরেই শাওয়াল মাসে তার ক্বাযা ই‘তেকাফ করেন (বুখারী হা/২০৪৫)।
আর জীবনের শেষ বছর বিশ দিন ইতেকাফ করার কয়েকটি কারণ বর্ণনা করা হয়েছে- যেমন (১) প্রতি রামাযানে জিব্রীল (আঃ) একবার কুরআন শুনাতেন। কিন্তু যে বছর মারা যান সে বছর দু’বার কুরআন শুনানোর কারণে বিশদিন ইতেকাফ করেন। (২) তিনি বেশী আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর অধিক নৈকট্য লাভ করতে চেয়েছিলেন। (৩) কারো মতে, তিনি ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের সফরকালে ইতেকাফ করতে সক্ষম হননি। ফলে তার ক্বাযা স্বরূপ পরবর্তী রামাযানে তিনি বিশদিন ইতেকাফ করেছিলেন (হাকেম হা/১৬০২; ছহীহ ইবনু খুয়ায়মাহ হা/২২২৬, সনদ ছহীহ)।