উত্তরঃ  বীমার ধারণাটাই ইসলামী অর্থনীতির বিরোধী এবং পুঁজিবাদী অর্থনীতির অনুসঙ্গ। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক। বীমার মধ্যে কয়েকটি ইসলাম বিরোধী নীতি রয়েছে যথা (১) বীমা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। যেমন- কেউ জীবনবীমা করল এ মর্মে যে, সে মারা গেলে কোম্পানী তার  মৃত্যুর পরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তার সন্তানদেরকে প্রদান করবে। এর শর্ত হচ্ছে সে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা কোম্পানীতে জমা দিবে। এখন সে যদি এক বছর পর মারা যায় তাহ’লে কোম্পানী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আর ব্যক্তি লাভবান হবে। আর যদি সে দীর্ঘ দিন জীবিত থাকে, তবে মাসে মাসে অর্থ প্রদান করে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আর কোম্পানী লাভবান হবে। অর্থাৎ যিনি মাসে মাসে টাকা জমা দিচ্ছেন তিনি হয় প্রদত্ত অর্থের চেয়ে বেশী পাবেন অথবা কম পাবেন। তিনি লাভ-লোকসানের অনিশ্চয়তার মাঝে ঘুরপাক খাবেন। এটিই জুয়া। যা আল্লাহ হারাম করেছেন (মায়েদাহ ৯০; উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২৩/১৫৮)

(২) বীমা করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটতেও পারে, নাও পারে। তাছাড়া দুর্ঘটনা কখন ঘটবে ও কি পরিমাণে ঘটবে, তা সবই অজ্ঞাত। ফলে এর মধ্যে প্রতারণা সুস্পষ্ট। আর প্রতারণামূলক ব্যবসা করতে রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (মুসলিম হা/১৫১৩ প্রভৃতি)। (৩) নিরাপত্তা দেয়ার মালিক আল্লাহ। তাই ভরসা করতে হবে কেবলমাত্র আল্লাহর উপরে। অথচ এখানে ভরসা করা হচ্ছে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর উপর। যা সম্পূর্ণরূপে ছহীহ আক্বীদা বিরোধী। ইসলামী বিধান হ’ল, ব্যক্তির যেকোন দুর্ঘটনায় কিংবা তার অপারগ অবস্থায় সমাজ ও সরকার তার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। অতএব এসব থেকে বেঁচে থাকা আবশ্যক।






প্রশ্ন (২৫/৩৮৫) : সফর অবস্থায় ছিয়াম পালন করা অথবা ছেড়ে দেওয়া কোনটা উত্তম হবে?
প্রশ্ন (১৬/২৫৬) : হাসপাতালের কর্মচারী ও আগন্তুকদের জন্য নির্ধারিত ছালাতের জায়গায় জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে কি? উল্লেখ্য যে, জায়গাটি হাসপাতালের ভাড়া করা জায়গা। স্থানীয় এক আলেম হাসপাতালের রোগীদের সেবায় সমস্যা হবে এই অজুহাতে গত কয়েকমাস যাবৎ জুম‘আর ছালাত আদায় করে যাচ্ছেন। - -মাহবূব আলম, মীরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ না নিয়ে শুধু পানি নিলে পবিত্রতা অর্জন হবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২৪) : দরিদ্রতার কারণে ফিৎরা আদায় করতে না পারলে গোনাহগার হবে কি?
প্রশ্ন (৫/১২৫) : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য পঙ্গপালের ঢিবির ন্যায় বা তার চাইতেও ক্ষুদ্র একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৭/২৩৭) : ওযূ শেষে আসমানের দিকে তাকিয়ে দো‘আ পাঠ করা ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। এসময় কোন দিকে ফিরে দো‘আ পাঠ করতে হবে?
প্রশ্ন (৮/২৮৮) :তারাবীহর ছালাত ইমামের সাথে শেষ করার যে ফযীলত বর্ণিত হয়েছে বিতর ইমামের সাথে না পড়ে একাকী পড়লে কি উক্ত ছওয়াব হবে? ইমাম স্বয়ং যদি বিতর না পড়ে সবাইকে তা বাসায় পড়ার নির্দেশ দেন, তাহ’লে কি পুরো রাত ছালাত আদায়ের ফযীলত পাওয়া হবে?
প্রশ্ন (২২/২২২) : আমার জন্য মসজিদ দান করা উত্তম নাকি একজন অভাবী আত্মীয়কে সহযোগিতা করা উত্তম। ছওয়াবের দিক দিয়ে কোনটা আমার জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ?
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : কোন ব্যক্তি তার ভাই, জামাই ও শ্যালককে নিয়ে ছেলের জন্য বউ দেখতে পারে কি? বিয়ের পর তাদের থেকে বউকে পর্দা করতে হবে কি?
প্রশ্নঃ (৯/৪৯) : কোন ব্যক্তি যদি ভুলক্রমে ছালাতের প্রথম বৈঠকে আত্তাহিইয়াতুর সাথে দরূদ ও দো‘আ মাছূরাহ পড়ে নেয়, তাহ’লে ছালাত শেষে তাকে সহো সিজদা দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৭১): আমাদের আহলেহাদীছ মসজিদে তারাবীহ ছালাতের শেষে বিতর ছালাত জামা‘আতে পড়ানোর সময় ইমাম ছাহেব কোন দিন এক রাক‘আত কোন দিন তিন রাক‘আত পড়ান। কিন্তু মুছল্লীগণকে কিছু বলেন না। এমতাবস্থায় মুছল্লীরা কিভাবে নিয়ত করবে। আর এভাবে কি ইমাম ছাহেবের ছালাত পড়ানো ঠিক হচ্ছে।
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : জুম‘আ ও যোহর ছালাতের সময় কি একই? যদি তাই হয়, তবে খুৎবা লম্বা না করে জুম‘আর ছালাত আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করাই কি উত্তম হবে?
আরও
আরও
.