উত্তর : উক্ত বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং অভাবগ্রস্ত দরিদ্র লোকদের খাওয়াও’ (হজ্জ ২৮)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা নিজেরা খাও, যারা চায় না তাদের খাওয়াও এবং যারা নিজেদের প্রয়োজন পেশ করে তাদের খাওয়াও’ (হজ্জ ৩৬)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) কুরবানীর গোশত তিনভাগ করে একভাগ নিজেরা খেতেন, একভাগ যাকে চাইতেন তাকে খাওয়াতেন এবং একভাগ ফকীর-মিসকীনকে দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর কুরবানীর গোশত বন্টন সম্পর্কে বলেন যে, তিনি একভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন, একভাগ গরীব প্রতিবেশীদের দিতেন এবং একভাগ সায়েল-ফকীরদের দিতেন। হাফেয আবু মূসা বলেন, হাদীছটি ‘হাসান’। তবে আলবানী বলেন, আমি এটির সনদ জানতে পারিনি। জানি না তিনি অর্থের দিক দিয়ে ‘হাসান’ বলেছেন, না সনদের দিক দিয়ে (ইরওয়া হা/১১৬০; আলোচনা দ্রষ্টব্য: মির‘আত হা/১৪৯৩-এর ব্যাখ্যা, ৫/১২০ পৃঃ)। এছাড়া ইমাম আহমাদ, শাফেঈ (রহঃ) সহ বহু বিদ্বান কুরবানীর গোশত তিনভাগ করাকে মুস্তাহাব বলেছেন (সুবুলুস সালাম শরহ বুলূগুল মারাম ৪/১৮৮ পৃঃ)।

অতএব কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করা যায়। একভাগ নিজেদের ও একভাগ প্রতিবেশীদের যারা কুরবানী করেনি এবং এক ভাগ ফকীর-মিসকীনদের। প্রয়োজনে বণ্টনে কমবেশী করাতে কোন দোষ নেই (সুবুলুস সালাম শরহ বুলূগুল মারাম ৪/১৮৮; আল-মুগনী ১১/১০৮; মির‘আত ২/৩৬৯; ঐ, ৫/১২০ পৃঃ)। উল্লেখ্য যে, কুরবানীর গোশত যতদিন খুশী রেখে খাওয়া যায় (তিরমিযী হা/১৫১০, মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৭৪৪)

অতএব মহল্লার স্ব স্ব কুরবানীর গোশতের এক-তৃতীয়াংশ একস্থানে জমা করে মহল্লায় যারা কুরবানী করতে পারেনি তাদের তালিকা করে সুশৃংখলভাবে তাদের মধ্যে বিতরণ করা ও প্রয়োজনে তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়া উত্তম। বাকী এক-তৃতীয়াংশ ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে বিতরণ করবেন (দ্রঃ মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীক্বা’ বই, পৃঃ ২৩)। এর ফলে কুরবানীদাতা রিয়া ও শ্রুতি থেকে নিরাপদ থাকবেন এবং তার অন্তর পরিশুদ্ধ হবে। আর এটাই হ’ল কুরবানীর মূল প্রেরণা। আজকাল অনেকে গোশত জমা করে সেখান থেকে প্রতিবেশী ও ফকীর-মিসকীনদের কিছু কিছু দিয়ে বাকী গোশত পুনরায় নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নেন। এটি একটি কুপ্রথা। এর মাধ্যমে কৃপণতা প্রকাশ পায়। যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।






প্রশ্ন (২০/১৪০) :আমাদের মসজিদের ইমাম বাচ্চাদের মসজিদে নিয়ে আসতে একেবারেই নিষেধ করে দিয়েছেন। এটা সঠিক হয়েছে কি?
প্রশ্ন (১১/২১১) : মুসলিম বা অমুসলিম দেশের সরকার শরী‘আত বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে সে দেশের মুসলিম নাগরিক বা প্রবাসীদের করণীয় কি? - -আবুল কালাম, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩০/৩০) : জনৈকা নারী তার স্বামীর সাথে সংসার করতে অনীহা পোষণ করে। তার ‘খোলা’ তালাক চাওয়ার প্রেক্ষিতে স্বামী সামাজিকভাবে তিন তালাক প্রদান করে। কিন্তু স্ত্রী গর্ভবতী ছিল, যা কেউ জানত না। এক্ষণে উক্ত তালাক কি কার্যকর হয়েছে?
প্রশ্ন (৪/৪৪) : মুক্ত হালাল পাখি ধরে বাড়িতে খাঁচার ভেতরে রেখে পোষা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : আমি একজন ব্যবসায়ী। শারঈ বিধান অনুযায়ী আমি প্রতিটি পণ্যে কতভাগ লাভ করতে পারি? - -আহসানুল্লাহ, ফুলতলা, বগুড়া।
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : সন্তান জন্মের ৭ম দিনে যদি কুরবানীর ঈদের দিন হয় তবে ক্রয়কৃত পশু শিশুর আকীকা হিসাবে দিতে হবে, না কুরবানী হিসাবে?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : এনটিভির প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে মাসিক অবস্থায় মেয়েরা মুখস্থ কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে না। তবে দো‘আ-দরূদ পড়তে পারবে। উক্ত ফায়ছালা কি সঠিক হয়েছে?
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : জামা‘আতের সাথে ছালাতরত অবস্থায় মুক্তাদীগণকে ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতে হবে কি? - -শহীদুর রহমান শহীদ, ঢাকা।
প্রশ্ন (৪০/১২০) : কুনূতে রাতেবা পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতে বিশেষ করে ফজরের ছালাতে নিয়মিত পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৯৫) : আমাদের এখানকার মসজিদে প্রত্যেক দিন ফজরের ছালাতের দ্বিতীয় রাক‘আতে রুকূ থেকে ওঠার পর হাত তুলে দো‘আ করা হয়। এটা কি শরী‘আতসম্মত?
প্রশ্ন (৩০/৪৩০) : পুরুষেরা মাথার মাঝখানে সিঁথি করতে পারে কি? কয় পদ্ধতিতে চুল রাখা যায়?
প্রশ্ন (২১/৩৮১) : জনৈক আলেম বলেন, আল্লাহকে খোদা, ছালাতকে নামায ও ছিয়ামকে রোযা বলা যাবে না। এগুলো নাকি ফার্সী শব্দ। প্রশ্ন হ’ল, যারা ফার্সী ভাষায় কথা বলে তারাও কি বলতে পারবে না?
আরও
আরও
.