উত্তর : এভাবে টাঙিয়ে রাখা সমীচীন নয়। কারণ (১) অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর উদ্দেশ্য থাকে সৌনদর্য বর্ধন। অথচ কুরআন নাযিল হয়েছে মানুষকে হেদায়াতের জন্য, সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নয়। (২) এতে অনেক সময় কুরআনের অমর্যাদা ঘটে, যা তার অপব্যবহারের শামিল। (৩) কেউ তা ঝুলিয়ে রাখে বরকত হাছিলের নিয়তে, যা স্পষ্ট বিদ‘আত। এজন্য বিগত যুগের নির্ভরযোগ্য ওলামায়ে কেরাম পিলারে বা দেওয়ালে এগুলো লেখাকে অপসন্দ করতেন (হাশিয়া ইবনুল আবেদীন ১/১৭৯; নববী, আত-তিবইয়ান ফী আদাবি হামালাতিল কুরআন ৮৯, ৯৭ পৃ.; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/৬৬)। হযরত ওমর বিন আব্দুল আযীয (রহঃ) তাঁর এক সন্তানকে দেওয়ালে কুরআনের আয়াত লিখতে দেখে প্রহার করেন (তাফসীর কুরতুবী, মুক্বাদ্দামা ১/৩০)। শায়খ উছায়মীন এ ধরনের কর্মকে বিদ‘আত বলে সতর্ক করেছেন (লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ১৩/১৯৭)। শায়খ বিন বায এধরনের কাজকে রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের আদর্শ বিরোধী বলেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ৪/৫৬-৫৮)। সুতরাং কুরআনের সম্মানার্থে এ ধরনের কার্যক্রম হ’তে বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়।
প্রশ্নকারী : ইব্রাহীম সরদার, নাটোর।