উত্তর : সাধ্যমত দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং তাকানো থেকে বিরত থাকবে। কারণ দৃষ্টিপাত মনের মধ্যে কামনার ফিৎনা সৃষ্টি করতে পারে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৮৬)।
শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এমন এক যুবক সম্পর্কে যে ছেলেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পায়নি? তিনি বলেন, ‘তোমাকে অবশ্যই এমন প্রতিষ্ঠান খুঁজতে হবে যেখানে সহশিক্ষা নেই। যদি এই অবস্থার বাইরে কোন প্রতিষ্ঠান না পাও অথচ তোমার পড়াশোনা করা প্রয়োজন, তাহ’লে তুমি পড়বে; কিন্তু সাধ্যমত অশ্লীলতা ও ফিৎনা থেকে দূরে থাকবে। সেটা এভাবে যে, তোমার দৃষ্টিকে অবনত রাখবে এবং জিহবাকে সংযত রাখবে। পরনারীদের সাথে কথা বলবে না এবং তাদের নিকট দিয়ে যাবে না’ (ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ্দারব (১/১০৩), (১৩/১২৭)। একই সাথে মোবাইলে পরকীয়া থেকে সাবধান থাকবে।
যদি কেউ অনুভব করে যে, সে হারামের দিকে ঝুঁকে পড়ছে এবং তার সাথে থাকা নারীদের ফিৎনায় পড়ছে, তখন তার দ্বীনের নিরাপত্তার স্বার্থে অবশ্যই তাকে ঐ প্রতিষ্ঠান ছাড়তে হবে। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তার প্রয়োজন পূর্ণ করে দিবেন। আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উপায় বের করে দেন’। ‘আর তিনি তাকে তার ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক প্রদান করে থাকেন। বস্ত্তত যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তিনি তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান’ (তালাক-মাদানী ৬৫/২-৩)।
প্রশ্নকারী : ইয়ামীন, পোস্তগোলা, ঢাকা।