উত্তর : ভবিষ্যদ্বাণী করা আর আশংকা বা অনুমান করা এক জিনিস নয়। অতএব কিছু আলামত বা নিদর্শন দেখে ভবিষ্যতের বিষয়ে আশংকাজনক কিছু বলাতে কোন দোষ নেই। যেমন কোন যুদ্ধের ফলাফল স্বরূপ বিশ্বে ধ্বংসলীলা হবে, এতে উৎপাদন কমে যাবে, জান-মালের ক্ষয় ক্ষতি হবে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে এবং এক পর্যায়ে দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে ইত্যাদি। আর এটি কোন নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী নয়, বরং আলামত দেখে অনুমান বা আশংকা করা। সুতরাং এভাবে বলাতে কোন দোষ নেই। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ তা‘আলার বিশেষ কিছু বান্দা আছে যারা কিছু নিদর্শন দেখে লোকদের চিনতে পারে (ত্ববারাণী আওসাত্ব হা/২৯৩৫; ছহীহাহ হা/১৬৯৩)। তবে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে স্বার্থ হাছিলের উদ্দেশ্যে এরূপ ভবিষ্যৎবাণী করা হারাম। কারণ শয়তান মানুষকে দুর্ভিক্ষ বা দরিদ্রতার ভয় দেখিয়ে অন্যায় কাজের উস্কানী দেয়। আল্লাহ বলেন, শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায় ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়। আর আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও দয়ার ওয়াদা প্রদান করেন। বস্ত্ততঃ আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ (বাকারাহ ২/২৬৮)

প্রশ্নকারী : সেলিম রেযাকালাইজয়পুরহাট।

 






বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (১/১৬১) : ‘ক্বিয়ামতের দিন সূর্য সোয়া হাত নীচে নেমে আসবে’ হাদীছের এই বাণীটির যৌক্তিকতা ও ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৩/১৭৩) : পিতা-মাতাকে মারধর করার পর ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইলে মাতা ক্ষমা করলেও জীবিত পিতা ক্ষমা করেননি। এক্ষণে আল্লাহর নিকটে তওবা করলে উক্ত গোনাহ মাফ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) : জনৈক বক্তা বলেন, কোন ব্যক্তি ছিয়াম পালন করতে সক্ষম না হ’লে তাকে ফিদইয়া দিতে হবে না। কারণ সূরা বাক্বারাহ ১৮৫ নং আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৭/২৭) : অনেকে বলে থাকেন, মুহাররম মাসে বিবাহ -শাদী করা অশুভ ও বড় ক্ষতির কারণ। একথার সত্য কি? - -আজীবর রহমান, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : ‘জিব্রীল (আঃ) বলেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে সৃষ্টির পর আমি দশ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। এরপরেও আমার নাম জানতাম না। এরপর একদিন আল্লাহ আমাকে জিব্রীল বলে ডাক দিলেন। তখন বুঝতে পারলাম যে, আমার নাম জিব্রীল’-উক্ত হাদীছের বিশুদ্ধতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : ছালাতের শেষ রাক‘আতে নারীদের সাদাস্রাব দেখা দিলে ছালাত ছেড়ে দিতে হবে কি? সেক্ষেত্রে ওযূ করে কেবল শেষ রাক‘আত আদায় করলেই চলবে, না পুরো ছালাত আদায় করতে হবে?
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : জুম‘আর খুৎবা চলাকালীন কোন কিছু খাওয়া বা পান করা যাবে কী? - -মুবারক হোসাইন, ইশ্বরদী, পাবনা।
প্রশ্ন (২৫/৩৬৫) : আমার ১৪ বছর বয়সী বোনের নিকটে একটি জিন রয়েছে, যে তার গলায় তাবীয না থাকলে নানা উৎপাত করে। ইতিপূর্বে জিনটি আমার মায়ের কাছে ছিল, তখনও মাঝে মাঝে ভয় দেখাত। এক্ষণে তাবীয দেহে রাখবো না খুলে ফেলব? - -আব্দুর রাকীব, রাণীনগর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : সাংগঠনিক নিয়মে আমাকে ইহতিসাব রাখতে হয় এবং উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলকে দেখাতে হয়। এটি কি রিয়া তথা লোক দেখানো আমলের অন্তর্ভুক্ত হবে? - -মুজাহিদুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (২৭/১৮৭) : আমাদের দেশে প্রচলিত অমুসলিমদের তৈরী বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার করা জায়েয হবে কি? - -ছালাহুদ্দীন তুহীন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (৩/৩৪৩) : কেউ কাউকে দাওয়াত দিল। কিন্তু সে যাওয়ার সময় আরেকজনকে সাথে নিয়ে গেল। তার জন্য উক্ত দাওয়াত খাওয়া জায়েয হবে কি? - -হাফীযুল ইসলাম, পলাশবাড়ী, নীলফামারী।
প্রশ্ন (৬/২০৬) : কোন অমুসলিম বা মুসলিম চাকুরিজীবী বা ব্যবসায়ী যাদের উপার্জনে হালাল-হারাম উভয়ই আছে তাদের নিকট থেকে কর্যে হাসানাহ নেওয়া বা তাদের সাথে শরীকানা ব্যবসা করা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.