উত্তর : ঈদের ছালাতের আগে ফিৎরা বণ্টন করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং পরে বণ্টনের প্রমাণ পাওয়া যায় (বুখারী, মিশকাত হা/২১২৩)। তবে ঈদের ছালাতের পূর্বে দায়িত্বশীলের কাছে ফিৎরা জমা করা ওয়াজিব (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮১৫)। উল্লেখ্য যে, অনেকে হাদীছে উল্লেখিত ‘আদায় করা’ শব্দের অর্থ করেন ‘বন্টন করা’। বরং তা হবে জমা করা। যেমন-
عن نافع أن بن عمر كان يبعث زكاة الفطر إلى الذي يجمع عنده قبل الفطر بيومين.
ইবনু ওমর (রাঃ) ঈদের দুই বা একদিন আগে জমাকারীর কাছে ফিৎরা পাঠাতেন (মালেক হা/৩৪৩; ইবনু খুযায়মাহ হা/২৩৯৭, সনদ ছহীহ)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন,
قلت وهذا يبين أن قوله في رواية البخاري للذين يقبلونها ليس المراد به الفقراء بل الجباة الذين ينصبهم الإمام لجمع صدقة الفطر ويؤيد ذلك ما وقع في رواية ابن خزيمة.
(ইরওয়াউল গালীল ৩/৩৩৫ পৃঃ)। ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ)ও একই কথা উল্লেখ করেছেন (বিস্তারিত দ্রঃ ফাৎহুল বারী ৩/৩৭৬ পৃঃ)।
যারা মনে করেন ঈদের ছালাতের পূর্বে বণ্টন করা হ’লে গরীবদের সুবিধা হবে। কিন্তু উক্ত মর্মে যে কয়েকটি বর্ণনা এসেছে তা গ্রহণযোগ্য নয় (ইরওয়াউল গালীল হা/৮৪৪, ৩/৩৩২)। উল্লেখ্য যে, ফিৎরা হ’ল জানের ছাদাক্বা, মালের ছাদাক্বা নয়। ঈদের দিন সকালেও যদি কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তার জন্য ফিৎরা আদায় করা ফরয নয়। আবার ঈদের দিন সকালে কোন বাচ্চা জন্ম নিলে তার পক্ষে ফিৎরা আদায় করতে হবে।