উত্তর : এ বিভক্তি আল্লাহর পরীক্ষা মাত্র। এর কারণ দু’টি। (১) দুনিয়া (২) আখেরাত। যেসব দলের উদ্দেশ্য দুনিয়া, তাদের নিকট দুনিয়া অর্জনের পথ যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন, সে কারণ তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে দুনিয়া অর্জন করছে। এ কারণে তারা তাদের দলের শিরোনামে ইসলাম শব্দটি যোগ করে না। আর যাদের উদ্দেশ্য আখেরাত, তারা মূলতঃ দু’কারণে বিভক্ত হয়। ১- আক্বীদাগত মতভেদ এবং ২- ব্যাখ্যাগত মতভেদ। এসব মতভেদ দূর করার একটাই পথ হ’ল আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে ফিরে যাওয়া (নিসা ৪/৫৯)। রাসূল (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে হাতে-দাঁতে কামড়ে ধরা (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৬৫) এবং ছাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে  ছালেহীনের বুঝ অনুযায়ী শরী‘আতের ব্যাখ্যা প্রদান করা। কিন্তু ইহুদী-নাছারা ধর্মনেতাদের ন্যায় মুসলিম ধর্মনেতাদের অনেকে উপরোক্ত নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজেদের রায়কে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। সেজন্য বিভক্তি সৃষ্টি হয়। অতঃপর ‘জমঈয়তে আহলেহাদীস’ এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর মধ্যে পার্থক্য হ’ল আদর্শিক। আর তা হ’ল ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর আমল করে এবং সালাফে ছালেহীনের বুঝ অনুযায়ী শরী‘আতের ব্যাখ্যা দেয়। তারা জাতীয় ও বিজাতীয় সকল প্রকার তাক্বলীদকে অস্বীকার করে এবং কোন অবস্থাতেই শিরক ও বিদ‘আতের সঙ্গে আপোষ করে না। কিন্তু অন্যেরা তা করেন না। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে এক উম্মতভুক্ত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এই কারণে যে, যে দ্বীন তোমাদেরকে তিনি দান করেছেন, তাতে তোমাদের সকলকে পরীক্ষা করবেন। অতএব তোমরা কল্যাণসমূহের দিকে ধাবিত হও। আল্লাহর নিকটেই তোমাদের সকলকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন, যেসব বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে (মায়েদাহ ৫/৪৮)। অতএব প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য ৭৩টি মুসলিম ফেরকার মধ্য হ’তে নাজী ফেরকার অন্তুর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করা।






প্রশ্ন (২৮/৩০৮) : অনেকে বিতর ছালাতে বুকে হাত বেঁধেই দো‘আ কুনূত পাঠ করে। আবার কেউ কেউ দো‘আ শেষে দু’হাত মুখে মাসাহ করে। এগুলি কি হাদীছ সম্মত?
প্রশ্ন (৩২/২৩২) : দুই জন মুছল্লী জামা‘আত শুরু করার পর আরেকজন যোগ দিলে ইমাম সামনে চলে যাবে, না মুক্তাদীরা পিছনে চলে আসবে? - -আব্দুল ওয়াকীল, মালদহ, ভারত।
প্রশ্ন (৩/১২৩) : আমাদের মসজিদের ইমাম জুম‘আ ব্যতীত কোন ছালাত আদায় করে না এবং সিগারেট-জর্দা-গুল ব্যবহার করে। তাকে সরিয়ে দেওয়াও সম্ভব নয়। এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (২/১২২) : সিলসিলা ছহীহাহ ও যঈফাহ গ্রন্থদ্বয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৪/৪৬৪) : প্রথম আলো ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ইং সংখ্যায় দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা-এর অধ্যাপক আবুল মনিম খান এক নিবন্ধে বলেন, যে ব্যক্তির কাছে ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা সোনা অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা সমমূল্যের অন্য কোন সম্পদ থাকে তার উপর ছাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। এই পরিমাণ সম্পদকে শরীয়তের পরিভাষায় নিছাব বলা হয়। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর ছাদাকাতুল ফিৎর আদায় করা ওয়াজিব। উক্ত দাবী কি সঠিক?
প্রশ্ন (০৩/৩৬৩) : আরাফাহর ময়দানে অবস্থানকালে যোহর ও আছরের ছালাত কিভাবে আদায় করতে হবে? - শেফালী, দুর্গাপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/২৬১) : আমার ভাই আমার কাছে কিছু টাকা আমানত হিসাবে জমা রেখেছে। আমি ঐ টাকা কোন হালাল ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করলে তা আমানতের খেয়ানত হবে কি?
প্রশ্ন (১৮/৫৮) : তাহাজ্জুদ ও বিতরের ছালাতে ক্বিরাআত নীরবে না সরবে পাঠ করতে হবে?
প্রশ্ন (১১/২১১) : যদি ভুল করে কেউ কারো মোবাইলে টাকা রিচার্জ করে দেয়; কিন্তু যিনি পেয়েছেন তিনি জানতে না পারেন কে সেটা দিয়েছে। তাহ’লে তার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৯/১৩৯) : ওযূ করার সময় কি সালাম আদান-প্রদান করা যাবে?
প্রশ্ন (১৬/৪১৬) : অমুসলিমদের প্রদত্ত ইফতার খাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২৩/১৪৩) : নতুন বাড়ীতে ওঠা উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন দো‘আ-দরূদ পাঠ করে জিন-ভূতের আছর বন্ধ করা হয়। এটা করা জায়েয হবে কি? - -ইব্রাহীম খলীল, তুলাগাঁও, কুমিল্লা।
আরও
আরও
.