উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ৬০-এর অধিক অথবা ৭০-এর অধিক শাখা-প্রশাখা নির্ধারণ করেছেন। بِضْعٌ বলতে ৩ থেকে ৯ পর্যন্ত বুঝায়। সে হিসাবে সর্বোচ্চ ৬৯ বা ৭৯ টি হয়। তবে এর দ্বারা মূলতঃ অসংখ্য বুঝানো হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঈমানের সর্বোচ্চ শাখা হ’ল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও সর্বনিম্ন শাখা হ’ল, রাস্তা হ’তে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে ফেলা। অতঃপর গুরুত্ব বুঝানোর জন্য বলেছেন, ‘লজ্জাশীলতা ঈমানের অন্যতম শাখা’ (মুসলিম হা/৩৫; বুখারী হা/৯; মিশকাত হা/৫)। এতে বুঝা যায় যে, শাখাসমূহের মধ্যে উচু-নীচু স্তরভেদ রয়েছে। বিদ্বানগণ বিভিন্নভাবে ঐ শাখাগুলি গণনা করেছেন। ক্বাযী আয়ায সেগুলিকে সংক্ষেপে তিনভাগে ভাগ করেছেন। হৃদয়ের আমল, যবানের আমল ও দৈহিক আমল। (১) হৃদয়ের আমল। যা আক্বীদা-বিশ্বাস ও নিয়তের সাথে সংশ্লিষ্ট। যা ২৪টি। যেমন আল্লাহর উপর বিশ্বাস। যিনি স্বীয় সত্তা ও গুণাবলীতে অনন্য এবং যা অন্য কারু সাথে তুলনীয় নয়। ফিরিশতাদের উপর বিশ্বাস ও অন্যান্য অদৃশ্য বিষয়ক জ্ঞান। (২) যবানের আমল। যা ৭টি। যেমন তাওহীদের স্বীকৃতি, কুরআন তেলাওয়াত, ইলম শেখা ও শিখানো, দো‘আ পাঠ ইত্যাদি। (৩) দৈহিক আমল। যা ৩৮টি। যেমন পবিত্রতা অর্জন, ছালাত, ছিয়াম, যাকাত, হজ্জ, পর্দা করা, ছাদাক্বা করা, পিতা-মাতার সেবা করা, পরিবার পালন করা, নেতার আনুগত্য করা, ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের প্রতিরোধ করা, দন্ডবিধি কায়েম করা, জিহাদ করা, বাজে কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত দূর করা ইত্যাদি (ফাৎহুলবারী হা/৯-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। মোটকথা সকল আনুগত্যমূলক কাজ ঈমানের শাখা।