উত্তর : ইসলামের
সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান ও প্রচার করার লক্ষ্যে যেকোন মাহফিল বা ইজতেমার
আয়োজন করা ও সেখানে যোগদান করা যায়। কিন্তু যদি ইসলামের নামে জাল, যঈফ ও
বানোয়াট হাদীছের এবং ভিত্তিহীন ফাযায়েল ও কেচ্ছা-কাহিনী শোনার দাওয়াত দেয়া
হয়, বিদ‘আতী আক্বীদা ও আমল প্রচার করা হয়, তাহলে সেখানে যোগদান করা যাবে
না। চাই সেটা বিশ্ব ইজতেমা হোক বা অন্য কোন ইজতেমা হোক। কারণ বিদ‘আতীদের
সঙ্গ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। বিদ‘আতী লোকেরা ক্বিয়ামতের দিন হাউয কাওছারের
পানি পান করতে পারবে না (ছহীহ মুসলিম হা/৪২৪৩)। উল্লেখ্য যে,
তাবলীগ জামা‘আত কথিত বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে থাকে। আর তাদের মধ্যে উপরে
বর্ণিত বিষয়গুলি অধিকহারে রয়েছে। তারা ছালাত শিখলেও তা কখনোই ছহীহ হাদীছের
ছালাত নয়। বিশ্ব ইজতেমায় আখেরী মুনাজাতের বিদ‘আত চালু করে তারা এককভাবে
দো‘আ করার ছহীহ তরীকা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ এখন ফরয ছালাত
আদায়ের চাইতে আখেরী মুনাজাতে যোগদান করাকেই অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। অতএব এইসব
বিদ‘আতী ইজতেমা থেকে দূরে থাকা আবশ্যক।