উত্তর : বিষয়টি পরিস্থিতি ও অপরাধের উপর নির্ভর করবে। তবে সাধারণভাবে কৃত অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতার কারণে কাউকে প্রদত্ত সুবিধা কেড়ে নেওয়া উচিৎ নয়। যেমনভাবে আয়েশা (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে যেনার অপবাদ দেওয়া হ’লে তাতে মিসত্বাহ বিন আছাছাহ যোগ দেন। এতে আবুবকর (রাঃ) রাগান্বিত হয়ে তাকে কোন ধরনের সহযোগিতা না করার অঙ্গীকার করেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা আয়াত নাযিল করেন ‘তোমাদের মধ্যে যারা সম্পদ ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন শপথ না করে যে, তারা আত্মীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তদেরকে এবং আল্লাহর পথে যারা গৃহত্যাগ করেছে, তাদেরকে কিছুই দিবে না। তারা যেন তাদের মার্জনা করে দেয় ও দোষ-ত্রুটি এড়িয়ে যায়। তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করেন? বস্ত্ততঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (নূর ২৪/২৪; বুখারী হা/২৬৬১; মুসলিম হা/২৭৭০)। তাছাড়া যে সুবিধা প্রদান করা হয়েছে তা দানের শামিল। আর দান ফিরিয়ে নেওয়া নিজ বমন খাওয়ার সমতুল্য, যা হারাম (আবূদাঊদ হা/৩৫৩৯; মিশকাত হা/৩০২১; ছহীহাহ হা/১৬৯৯)। অপরদিকে প্রতারক ও বিশ্বাসঘাতক আখেরাতে নিজ কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে এবং দুনিয়াতে সে ধিকৃত হবে।
প্রশ্নকারী : ইব্রাহীম যাকী, হড়গ্রাম, রাজশাহী।