পর্ব ১ । পর্ব ২ । পর্ব ৩ । পর্ব ৪ । পর্ব ৫ । পর্ব ৬ । শেষ পর্ব  

মসজিদ নির্মাণের ফযীলত :

ইসলামে মসজিদ নির্মাণের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন-

(১) মসজিদ নির্মাণ নবীদের কাজ : নবীদের অন্যতম কাজ হ’ল মসজিদ নির্মাণ করা ও তা আবাদ করা। যেমন- 

(এক) আদম (আঃ) :

কা‘বা ঘর প্রথম ফেরেশতারা নির্মাণ করেন। অতঃপর আদম (আঃ) তা পুনঃনির্মাণ করেন। কা‘বা নির্মাণের ৪০ বছর পর আদম (আঃ) অথবা তাঁর কোন সন্তানের দ্বারা বায়তুল মুক্বাদ্দাস নির্মাণ করা হয়।[1]

(দুই) ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আঃ) :

প্রথম রাসূল নূহ (আঃ)-এর সময় প্লাবনে বায়তুল্লাহর প্রাচীর বিনষ্ট হ’লেও ভিত্তি আগের মতই থেকে যায়। পরবর্তীতে আল্লাহর হুকুমে একই ভিত্তিভূমিতে ইবরাহীম (আঃ) তা পুনঃনির্মাণ করেন।[2] আল্লাহ বলেন,

وَإِذْ بَوَّأْنَا لِإِبْرَاهِيمَ مَكَانَ الْبَيْتِ أَنْ لَا تُشْرِكْ بِي شَيْئًا وَطَهِّرْ بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْقَائِمِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ

‘(আর স্মরণ কর) যখন আমরা ইব্রাহীমকে বায়তুল্লাহর স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে বলেছিলাম যে, তুমি আমার সাথে কাউকে শরীক করো না এবং আমার এ গৃহকে তাওয়াফকারীদের জন্য, ছালাত কায়েমকারীদের জন্য এবং রুকূ-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ’ (হজ্জ ২২/২৬)। ইবরাহীম (আঃ)-কে কা‘বা ঘর নির্মাণ করতে তাঁর পুত্র ইসমাঈল (আঃ) সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন। আল্লাহ বলেন, وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ‘আর স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহর ভিত্তি উত্তোলন করেছিল, তখন তারা প্রার্থনা করেছিল, হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের পক্ষ হ’তে এটি কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ’ (বাক্বারাহ ২/১২৭)

(তিন) দাউদ (আঃ) :

ইয়া‘কূব (আঃ) কর্তৃক বায়তুল মুক্বাদ্দাস নির্মাণের প্রায় হাযার বছর পর দাঊদ (আঃ) পুনরায় তা নির্মাণ শুরু করেন এবং তাঁর পুত্র সুলায়মান (আঃ) এর কাজ সমাপ্ত করেন।[3] আর সুলায়মান (আঃ) জিনদের দ্বারা মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেছেন। আল্লাহ বলেন,

فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَى مَوْتِهِ إِلَّا دَابَّةُ الْأَرْضِ تَأْكُلُ مِنْسَأَتَهُ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ الْجِنُّ أَنْ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ الْغَيْبَ مَا لَبِثُوا فِي الْعَذَابِ الْمُهِيْنِ-

‘অতঃপর যখন আমরা সুলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন তার মৃত্যুর খবর জিনদের কেউ জানায়নি ঘুণপোকা ব্যতীত। যারা সুলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর যখন সে মাটিতে পড়ে গেল, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, যদি তারা অদৃশ্যের জ্ঞান রাখত, তাহ’লে তারা (বায়তুল মুক্বাদ্দাস নির্মাণের) লাঞ্ছনাকর শাস্তির মধ্যে আবদ্ধ থাকত না’ (সাবা ৩৪/১৪)

(চার) মুহাম্মদ (ছাঃ) :

মহানবী (ছাঃ) মক্কা থেকে মদীনায় গিয়ে প্রথমে কোবা নামক স্থানে চৌদ্দ দিন অবস্থান করেন এবং সেখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। এ মসজিদ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِيْنَ-

‘অবশ্যই যে মসজিদ প্রথম দিন থেকে তাক্বওয়ার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, সেটাই তোমার (ছালাতের জন্য) দাঁড়াবার যথাযোগ্য স্থান। সেখানে এমন সব লোক রয়েছে, যারা উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হওয়াকে ভালবাসে। বস্ত্ততঃ আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালবাসেন’ (তওবা ৯/১০৮)

কোবা থেকে মদীনায় যাওয়ার পথে আল্লাহ জুম‘আর ছালাত ফরয করেন। ইয়াছরিবের উপকণ্ঠে পেঁŠছে বনু সালেম বিন আওফ গোত্রের ‘রানূনা’ উপত্যকায় তিনি ১ম জুম‘আর ছালাত আদায় করেন। যাতে একশত জন মুছল্লী শরীক হন। এটা ছিল রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কর্তৃক প্রথম জুম‘আ।[4]

রাসূল (ছাঃ) মদীনায় গিয়ে মসজিদে নববী নির্মাণ করেন এবং ছাহাবীগণ তাঁর সাথে তাঁকে সহযোগিতা করেন। আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, (মসজিদে নববী নির্মাণের সময়) আমরা একটা একটা করে কাঁচা ইট বহন করছিলাম আর ‘আম্মার দু’টো দু’টো করে কাঁচা ইট বহন করছিল। নবী করীম (ছাঃ) তা দেখে তাঁর দেহ হ’তে মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন,وَيْحَ عَمَّارٍ تَقْتُلُهُ الْفِئَةُ الْبَاغِيَةُ ‘আম্মারের জন্য আফসোস, তাকে বিদ্রোহী দল হত্যা করবে’।[5]

আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর সময়ে মসজিদ তৈরী হয় কাঁচা ইট দিয়ে। তার ছাদ ছিল খেজুরের ডালের, খুঁটি ছিল খেজুর গাছের। আবু বকর (রাঃ) এতে কিছু বাড়াননি। অবশ্য ওমর (রাঃ) বাড়িয়েছেন। আর তার ভিত্তি তিনি আল্লাহর রাসল (ছাঃ)-এর যুগে যে ভিত্তি ছিল তার উপর কাঁচা ইট ও খেজুরের ডাল দিয়ে নির্মাণ করেন। তিনি খুঁটিগুলো পরিবর্তন করে কাঠের (খুঁটি) লাগান। অতঃপর ওছমান (রাঃ) তাতে পরিবর্তন সাধন করেন এবং অনেক বৃদ্ধি করেন। তিনি দেয়াল তৈরী করেন নকশী পাথর ও চুন-শুরকি দিয়ে। খুঁটিও দেন নকশা করা পাথরের আর ছাদ বানিয়েছিলেন সেগুন কাঠের’।[6] 

(২) মসজিদ নির্মাণ ও আবাদ করা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য :

নবীদের ন্যায় মুমিনগণও যুগে যুগে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য মসজিদ নির্মাণ করেছেন। আল্লাহ বলেন,

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللهِ مَنْ آمَنَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ-

‘আল্লাহর মসজিদ সমূহ কেবল তারাই আবাদ করে, যারা আল্লাহ ও বিচার দিবসের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। যারা ছালাত কায়েম করে ও যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ভয় করে না। নিশ্চয়ই তারা সুপথ প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (তওবা ৯/১৮)

(৩) মসজিদ নির্মাণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নির্দেশ :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে মসজিদ নির্মাণ করেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত আগত সকল উম্মতকে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। আয়েশা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِبِنَاءِ الْمَسَاجِدِ فِى الدُّورِ وَأَنْ تُنَظَّفَ وَتُطَيَّبَ. ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ নির্মাণ করতে, তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং সুবাসিত করতে হুকুম দিয়েছেন’।[7]

(৪) মসজিদ নির্মাণ হ’ল ছাদাক্বায়ে জারিয়া :

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

إِنَّ مِمَّا يَلْحَقُ الْمُؤْمِنَ مِنْ عَمَلِه وَحَسَنَاتِه بَعْدَ مَوْتِه عِلْمًا عَلَّمَه وَنَشَرَه وَوَلَدًا صَالِحًا تَرَكَه أَوْ مُصْحَفًا وَرَّثَه أَوْ مَسْجِدًا بَنَاهُ أَوْ بَيْتًا لِابْنِ السَّبِيلِ بَنَاهُ أَوْ نَهْرًا أَجْرَاهُ أَوْ صَدَقَةً أَخْرَجَهَا مِنْ مَالِه فِي صِحَّتِه وَحَيَاتِه تَلْحَقُه مِنْ بَعْدِ مَوْتِه-

‘মুমিনের মৃত্যুর পরও তার যেসব নেক আমল ও নেক কাজের ছওয়াব তার নিকট পৌঁছতে থাকবে, তার মধ্যে- (১) ইলম বা জ্ঞান যা সে শিখেছে এবং প্রচার করেছে (২) নেক সন্তান যাকে সে দুনিয়ায় রেখে গেছে (৩) কুরআন যা সে উত্তরাধিকারীদের জন্য রেখে গেছে (৪) মসজিদ যা সে নির্মাণ করে গেছে (৫) মুসাফিরখানা যা সে পথিক মুসাফিরদের জন্য নির্মাণ করে গেছে (৬) কূপ, যা সে খনন করে গেছে মানুষের পানি পানের জন্য এবং (৭) দান-খয়রাত, যা সুস্থ ও জীবিতাস্থায় তার ধন-সম্পদ থেকে দান করে গেছে। মৃত্যুর পর এসব কাজের ছওয়াব তার নিকট পৌঁছতে থাকবে’।[8] 

(৫) জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম :

জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হ’ল মসজিদ নির্মাণ করা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَنْ بَنَى مَسْجِدًا لِلَّهِ ، بَنَى اللهُ لَهُ بَيْتًا فِى الْجَنَّةِ.

‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করে দেবেন’।[9] মসজিদ ছোট হোক বা বড় হোক নিয়ত ঠিক থাকলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।[10] যদিও সেটা পাখির বাসার মত ছোট হয়।[11]

মসজিদে গমনের ফযীলত

মসজিদ নির্মাণের পর মুমিনদের দায়িত্ব হ’ল মসজিদে গমন করে মসজিদের হকগুলো আদায় করা। মসজিদ গমনের অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন-

(১) ছওয়াব লাভ, গোনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধি :

মসজিদে গমনের বিনিময়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে উত্তম প্রতিদান দেন, গোনাহ মাফ করেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

وَما مِن رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فيُحْسِنُ الطُّهُورَ، ثُمَّ يَعْمِدُ إلى مَسْجِدٍ مِن هذِه المَساجِدِ، إلّا كَتَبَ اللهُ له بكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوها حَسَنَةً، وَيَرْفَعُهُ بها دَرَجَةً، وَيَحُطُّ عنْه بها سَيِّئَةً، وَلقَدْ رَأَيْتُنا وَما يَتَخَلَّفُ عَنْها إلّا مُنافِقٌ مَعْلُومُ النِّفاقِ، وَلقَدْ كانَ الرَّجُلُ يُؤْتى به يُهادى بيْنَ الرَّجُلَيْنِ حتّى يُقامَ في الصَّفِّ.

‘কেউ যদি অতি উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে তারপর (ছালাত আদায় করার জন্য) কোন একটি মসজিদে উপস্থিত হয়, তাহ’লে মসজিদে যেতে সে যতবার পদক্ষেপ ফেলবে তার প্রতিটি পদক্ষেপের পরিবর্তে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য একটি নেকী লিখে দেন, তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন এবং একটি করে পাপ দূর করে দেন। (আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন) আমরা মনে করি, যার মুনাফিকী সর্বজনবিদিত এমন মুনাফিক ছাড়া কেউই জামা‘আতে ছালাত আদায় করা ছেড়ে দেয় না। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর যামানায় এমন ব্যক্তি জামা‘আতে উপস্থিত হ’ত যাকে দু’জন মানুষের কাuঁধ ভর দিয়ে এসে ছালাতের কাতারে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হ’ত’।[12] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الْخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ. قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ-

‘আমি কি তোমাদের সে জিনিসটির খবর দেব না যার সাহায্যে আল্লাহ গোনাহ মুছে দেন এবং যার মাধ্যমে তোমাদের মর্যাদা উন্নত হয়? ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বলেন, ‘কঠিন সময়ে পরিপূর্ণভাবে ওযূ করা, মসজিদের দিকে অধিক গমন করা এবং এক ছালাতের পর আরেক ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই তোমাদের (আল্লাহর রাস্তায়) পাহারা দেওয়া’।[13]

বনু সালিমা গোত্রের লোকেরা মসজিদে নববীর কাছে আসতে চাইলে রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) তাদেরকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘তোমাদের জায়গাতেই তোমরা থাক। তোমাদের আমলনামায় তোমাদের পায়ের চিহ্নগুলো লেখা হবে। এ কথাটি তিনি দু’বার বললেন।[14] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَن تَوَضَّأَ لِلصَّلاةِ فأسْبَغَ الوُضُوءَ، ثُمَّ مَشى إلى الصَّلاةِ المَكْتُوبَةِ، فَصَلّاها مع النّاسِ، أَوْ مع الجَماعَةِ، أَوْ في المَسْجِدِ غَفَرَ اللهُ له ذُنُوبَهُ-

‘যে ব্যক্তি ছালাতের জন্য পূর্ণরূপে ওযূ করল, তারপর ফরয ছালাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হ’ল এবং মানুষের সাথে তা আদায় করল। অথবা তিনি বলেছেন, জামা‘আতের সাথে অথবা বলেছেন, মসজিদে, আল্লাহ তা‘আলা তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন’।[15]

(২) হজ্জের সমান ছওয়াব :

জামা‘আতে ছালাত আদায়কারীকে রাসূল (ছাঃ) হজ্জকারীর ন্যায় মর্যাদাবান করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْحَاجِّ الْمُحْرِمِ وَمَنْ خَرَجَ إِلَى تَسْبِيحِ الضُّحَى لاَ يُنْصِبُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْمُعْتَمِرِ وَصَلاَةٌ عَلَى أَثَرِ صَلاَةٍ لاَ لَغْوَ بَيْنَهُمَا كِتَابٌ فِي عِلِّيِّينَ

‘যে ব্যক্তি ফরয ছালাতের জন্য ওযূ করে নিজ ঘর থেকে বের হবে, সে একজন ইহরাম পরিধানকারী হাজীর সমান ছওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি শুধু চাশতের ছালাত আদায় করার জন্যই বের হবে, সে একজন ওমরাহকারীর সমান ছওয়াব পাবে। আর যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের পর থেকে আরেক ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের মধ্যবর্তী সময়ে কোন বাজে কথা বা কাজ করবে না, তার নাম ইল্লিয়্যূন-এ লিপিবদ্ধ করা হবে’।[16]

(৩) আল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা লাভ :

আবূ উমামা বাহিলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

ثلاثةٌ كلُّهم ضامنٌ على اللهِ عزَّ وجلَّ رجلٌ خرج غازيًا في سبيلِ اللهِ فهو ضامنٌ على اللهِ حتى يتوفّاه فيدخلُه الجنَّةَ أو يردُّه بما نال من أجرٍ وغنيمةٍ ورجلٌ راحَ إلى المسجدِ فهو ضامنٌ على اللهِ حتى يتوفّاه فيدخلُه الجنَّةَ أو يردُّه بما نال من أجرٍ وغنيمةٍ ورجلٌ دخل بيتَه بسلامٍ فهو ضامنٌ على اللهِ عزَّ وجلَّ- 

‘তিন প্রকার লোকের প্রত্যেকেই মহান আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। ১. যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য বের হয়, তার মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহ তার যিম্মাদার। অতঃপর আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন কিংবা তাকে নিরাপদে তার নেকী ও গনীমতসহ তার বাড়িতে ফিরিয়ে দেবেন। ২. যে ব্যক্তি মসজিদে যায়, আল্লাহ তার যিম্মাদার। এমনকি তার মৃত্যুর পর আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন কিংবা তাকে নিরাপদে তার নেকী ও গনীমতসহ তার বাড়িতে ফিরিয়ে আনবেন। ৩. যে ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে সালাম দিয়ে, আল্লাহ তার যিম্মাদার’।[17]

(৪) আল্লাহ সম্মান করেন :

মসজিদে আগমনকারীকে আল্লাহ নিজেই সম্মান করেন। সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ تَوَضَّأَ فِي بَيتِهِ ثُمَّ أَتَى الْمَسْجِدَ فَهُوَ زَائِرٌ لِلّهِ، وَحَقٌّ عَلَى الْمَزُوْرِ أَنْ يُكْرِمَ الزَّائِزَ، ‘যে ব্যক্তি স্বীয় বাড়িতে ওযূ করে তারপর মসজিদে আগমন করে, সে আল্লাহর যিয়ারতকারী। যার যিয়ারত করা হয় তার উপর ওয়াজিব হ’ল,

যিয়ারতকারীর সম্মান করা’।[18]

(৫) জিহাদে অংশগ্রহণকারীর মত ছওয়াব পাবে :

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ جَاءَ مَسْجِدِى هَذَا لَمْ يَأْتِهِ إِلاَّ لِخَيْرٍ يَتَعَلَّمُهُ أَوْ يُعَلِّمُهُ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْمُجَاهِدِ فِى سَبِيلِ اللهِ، ‘যে আমার এ মসজিদে আসে এবং শুধু ভালো কাজের উদ্দেশ্যেই আসে, হয় সে ইলম শিক্ষা দেয় অথবা নিজে শিখে, সে আল্লাহর পথে জিহাদে অংশগ্রহণকারীর সমতুল্য’।[19]

(৬) ক্বিয়ামতের দিন আলো হবে :

ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদ গমন করার অন্যতম ফযীলত হ’ল ক্বিয়ামতের দিন মসজিদে গমনকারীর জন্য আলোকময় হবে। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,بَشِّرِ الْمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، ‘যারা অন্ধকার রাতে মসজিদে যাতায়াত করে তাদেরকে ক্বিয়ামতের দিন পূর্ণজ্যোতির সুসংবাদ দাও’।[20] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন,إنَّ اللهَ لَيُضيءُ لِلَّذينَ يتخلَّلونَ إلى المساجدِ في الظُّلَمِ بنورٍ ساطعٍ يومَ القيامةِ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তিদের জন্য উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করবেন যারা অন্ধকারে মসজিদে গমন করে’।[21]

(৭) আরশের নিচে স্থান লাভ :

আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না। (তারা হ’ল,) ন্যায়পরায়ণ নেতা, সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতে অতিবাহিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদ সমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে)। সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে ভালবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন হয় (তাদের মৃত্যু)। সেই ব্যক্তি যাকে কোন বংশীয়া ও সুন্দরী নারী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি। সেই ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে। এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তার উভয় চোখে অশ্রু বয়ে যায়’।[22]

(৮) জান্নাতে মেহমানদারীর ব্যবস্থা :

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন,مَن غَدا إلى المَسْجِدِ وَرَاحَ، أعَدَّ اللهُ له نُزُلَهُ مِنَ الجَنَّةِ كُلَّما غَدا أوْ راحَ، ‘যে ব্যক্তি সকাল ও বিকাল মসজিদে যাবে, আল্লাহ্ তা‘আলা তার প্রত্যেকবার যাতায়াতের জন্য জান্নাতে একটি মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে রাখবেন। চাই সে সকালে যাক বা সন্ধ্যায়’।[23]

(৯) ফেরেশতা কর্তৃক ক্ষমা প্রার্থনা :

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন,

صَلاَةُ الرَّجُلِ فِى الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلَى صَلاَتِهِ فِى بَيْتِهِ وَفِى سُوقِهِ خَمْسًا وَعِشْرِينَ ضِعْفًا، وَذَلِكَ أَنَّهُ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ لاَ يُخْرِجُهُ إِلاَّ الصَّلاَةُ، لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إِلاَّ رُفِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَةٌ، وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةٌ، فَإِذَا صَلَّى لَمْ تَزَلِ الْمَلاَئِكَةُ تُصَلِّى عَلَيْهِ مَا دَامَ فِى مُصَلاَّهُ اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ، اللَّهُمَّ ارْحَمْهُ. وَلاَ يَزَالُ أَحَدُكُمْ فِى صَلاَةٍ مَا انْتَظَرَ الصَّلاَةَ.

‘ঘরে অথবা বাজারে ছালাত আদায় করার চেয়ে মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করার ছওয়াব পঁচিশ গুণ বেশী। কারণ কোন ব্যক্তি ভালো করে ওযূ করে কেবল ছালাত আদায় করার জন্যই মসজিদে আসে। তার প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়, আর একটি গুনাহ মোচন করা হয়। (এভাবে মসজিদে পৌঁছা পর্যন্ত চলতে থাকে)। ছালাত আদায় শেষ করে যখন সে মুছল্লায় বসে থাকে, তখন ফেরেশতাগণ অনবরত দো‘আ করতে থাকে, হে আল্লাহ! তুমি তার ওপর রহমত বর্ষণ কর।[24] অন্য বর্ণানায় এসেছে, ফেরেশতা বলতে থাকে,اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ مَا لَمْ يُؤْذِ فِيهِ مَا لَمْ يُحْدِثْ فِيهِ ‘হে আল্লাহ! এই বান্দাকে ক্ষমা করে দাও। তার তওবাও কবুল কর। এভাবে চলতে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত সে অন্য কোন মুসলিমকে কষ্ট না দেয় বা তার ওযূ ছুটে না যায়’।[25]

(১০) জামা‘আত না পেলেও জামা‘আতের ছওয়াব লাভ : মসজিদে বের হওয়ার অন্যতম ফযীলত হ’ল, কোন কারণে মসজিদে জামা‘আত না পেলেও জামা‘আতের ছওয়াব পাবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ رَاحَ فَوَجَدَ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا أَعْطَاهُ اللهُ جَلَّ وَعَزَّ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلاَّهَا وَحَضَرَهَا لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَجْرِهِمْ شَيْئًا-

‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করল তারপর মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয়ে দেখল লোকজন ছালাত শেষ করেছে, আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য ছালাতে উপস্থিত ব্যক্তিদের সমান ছওয়াব লিখে দেবেন। অথচ তাদের ছওয়াব থেকে কিছুই কমানো হবে না’।[26]

(১১) নিয়ত অনুযায়ী অংশ পাবে :

মসজিদে যে ব্যক্তি যেই নিয়তে আসবে আল্লাহ তাকে তার নিয়ত অনুযায়ীই ফযীলত দিবেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ أَتَى الْمَسْجِدَ لِشَىْءٍ فَهُوَ حَظُّهُ ‘যে ব্যক্তি মসজিদে যে কাজের নিয়ত করে আসবে, সে সেই কাজেরই অংশ পাবে’।[27]

(১২) হেঁটে জামা‘আতে অংশগ্রহণকারীর ছওয়াব লেখার জন্য ফেরেশতারা প্রতিযোগিতা করে :

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَانِى اللَّيْلَةَ رَبِّى تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِى أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ أَحْسَبُهُ قَالَ فِى الْمَنَامِ ...قَالَ يَا مُحَمَّدُ هَلْ تَدْرِى فِيمَ يَخْتَصِمُ الْمَلأُ الأَعْلَى قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ فِى الْكَفَّارَاتِ. وَالْكَفَّارَاتُ الْمُكْثُ فِى الْمَسَاجِدِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ وَالْمَشْىُ عَلَى الأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِى الْمَكَارِهِ وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ.

ইবনে আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, আজ রাতে আমার মহান ও বরকতময় প্রভু সবচেয়ে সুন্দর চেহারায় আমার নিকট এসেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, ঘুমের মধ্যে বা স্বপ্নযোগে। ...তারপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জান, এ সময় উচ্চতর পরিষদের অধিবাসীরা (অর্থাৎ ফেরেশতাগণ) কি নিয়ে বিবাদ করছে? আমি বললাম, হ্যাঁ, কাফফারাত নিয়ে বিবাদ করছে। কাফফারাত অর্থ: ছালাতের পর মসজিদে বসে থাকা, ছালাতের জামা‘আতে উপস্থিতির জন্য হেঁটে যাওয়া এবং কষ্টকর সময়েও সুন্দর ও সুচারু রূপে ওযূ করা। যে লোক এসব কাজ করবে সে কল্যাণের মধ্যে বেঁচে থাকবে, কল্যাণের পথে মরবে এবং তার জন্ম দিনের মত গুনাহ হ’তে পবিত্র হয়ে যাবে’।[28] 

(১৩) জাহান্নাম ও মুনাফেকী থেকে মুক্তি :

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَنْ صَلّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ-

‘কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করতে পারবে তাকে দু’টি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ১. জাহান্নাম হ’তে নাজাত এবং ২. মুনাফেকী হ’তে মুক্তি’।[29]

[চলবে]

মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ

সহকারী শিক্ষক, ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, খিলগাঁও, ঢাকা।


[1]. বুখারী হা/৩৪২৫; মুসলিম হা/৫২০।

[2]. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, নবীদের কাহিনী, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৪৪-৪৫।

[3]. নবীদের কাহিনী, ২য় খন্ড, পৃঃ ১৫৯।

[4]. আল-বিদায়াহ ২/২১১।

[5]. বুখারী হা/৪৪৭।

[6]. বুখারী হা/৪৪৬।

[7]. তিরমিযী হা/৫৯৪; ইবনু মাজাহ হা/৭৫৯; আবুদাঊদ হা/৪৫৫।

[8]. ইবনে মাজাহ হা/২৪২; ছহীহ তারগীব হা/৭৭; মিশকাত হা/২৫৪।

[9]. বুখারী হা/৪৫০; মুসলিম হা/৫৩৩; তিরমিযী হা/৩১৮; মিশকাত হা/৬৯৭।

[10]. তিরমিযী হা/৩১৯; আত-তারগীব ওয়াত তারহীব ১/১৫৬।

[11]. ছহীহ ইবনে হিববান হা/১৬১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৬১২৮।

[12]. মুসলিম, হা/১৩৭৪; ইবনে মাজাহ হা/৬৩৮, সনদ ছহীহ।

[13]. মুসলিম হা/২৫১; রিয়াযুছ ছালেহীন হা/১০৩৭; মিশকাত হা/২৮২।

[14]. মুসলিম হা/৬৬৫; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৮৯৮; মিশকাত হা/৭০০।

[15]. মুসলিম হা/২৩২; নাসাঈ হা/৮৫৬।

[16]. আবূদাঊদ হা/৫৫৮; আহমাদ হা/২২৩০৪; ছহীহ তারগীব হা/৬৭৫।

[17]. আবূদাঊদ হা/২৪৯৪; ইবনে হিববান হা/৪৯৯; আদাবুল মুফরাদ হা/১০৯৪; মিশকাত হা/৭২৭।

[18]. তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর হা/৬১৩৯, ৬১৪৫; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হা/১৬৪৬৫।

[19]. ইবনে মাজাহ হা/২২৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/৮৭; মিশকাত হা/৭৪২।

[20]. আবূদাঊদ হা/৫৬১; তিরমিযী হা/২২৩; ইবনে মাজাহ হা/৭৮১; মিশকাত হা/৭২১।

[21]. তাবারানী, মু‘জামুল আওসাত ১/২৫৭; ছহীহ আত-তারগীব হা/৩১৭।

[22]. বুখারী হা/৬৬০; মুসলিম হা/১০৩১; তিরমিযী হা/২৩৯১।

[23]. বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯; আহমাদ হা/১০৬০৮; মিশকাত হা/৬৯৮।

[24]. বুখারী হা/৬৪৭; মিশকাত হা/৭০২।

[25]. মুসলিম হা/৬৪৯।

[26]. নাসাঈ হা/৮৫৫; আবূদাঊদ হা/৫৬৪, হাদীছ ছহীহ।

[27]. আবূদাঊদ হা/৪৭২; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৯৬৩; মিশকাত হা/৭৩০।

[28]. তিরমিযী হা/৩২৩৩।

[29]. তিরমিযী হা/২৪১; ছহীহাহ হা/২৬৫২।






বিষয়সমূহ: মসজিদ
জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত (৬ষ্ঠ কিস্তি) - মুযাফফর বিন মুহসিন
অপরিবর্তনীয় জ্ঞান বনাম পরিবর্তনীয় জ্ঞান - প্রফেসর ড. শহীদ নকীব ভূঁইয়া
জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপনের আবশ্যকতা - মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম
মানব জাতির প্রকাশ্য শত্রু শয়তান (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াদূদ
নিয়মের রাজত্ব (পূর্ব প্রকাশিতের পর) - রফীক আহমাদ - বিরামপুর, দিনাজপুর
আল্লামা আলবানী সম্পর্কে শায়খ শু‘আইব আরনাঊত্বের সমালোচনার জবাব (২য় কিস্তি) - আহমাদুল্লাহ - সৈয়দপুর, নীলফামারী
ইসলামী ভ্রাতৃত্বের আদব সমূহ - ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম
আক্বীদা ও আহকামে হাদীছের প্রামাণ্যতা (৫ম কিস্তি) - মীযানুর রহমান মাদানী
মহামনীষীদের পিছনে মায়েদের ভূমিকা (৫ম কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
মহামনীষীদের পিছনে মায়েদের ভূমিকা (৭ম কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
তাহরীকে জিহাদ : আহলেহাদীছ ও আহনাফ (২য় কিস্তি) - মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক
হজ্জ সফর (২য় কিস্তি) - ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব
আরও
আরও
.