উত্তর : উক্ত মর্মে কোন হাদীছ পাওয়া যায় না। তবে সাধারণভাবে শয়তান মানব দেহের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে তাকে ধোঁকা দিয়ে থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যখন তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠবে, সে যেন নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক ঝেড়ে নেয়। কেননা শয়তান তার নাকের ভেতর রাত্রি যাপন করে’ (মুসলিম হা/২৩৮; মিশকাত হা/৩৯২)। অন্যত্র এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, এমন এক লোকের কথা নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট উল্লেখ করা হ’ল, যে ফজরের ছালাতের জন্য জাগ্রত না হয়ে সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে কাটায়। তিনি বললেন, তার কানে শয়তান প্রস্রাব করে দিয়েছে (বুখারী হা/১১৪৪; মিশকাত হা/১২২১)। তাছাড়া শয়তান মানুষের চুলে তিনটি গিট মেরে দীর্ঘ ঘুমের জন্য উৎসাহিত করে। দো‘আ পাঠ করা, ওযূ করা ও ছালাত আদায়ের মাধ্যমে এই গিটগুলো খুলে যাওয়ার ব্যাপারে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/১১৪২; মিশকাত হা/১২১৯)। অতএব শয়তানের হাত থেকে বাঁচার জন্য শোয়ার সময় সূরা ইখলাছ, ফালাক, নাস পড়ে দু’হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব দেহের সর্বত্র হাত বুলাবে এবং আয়াতুল কুরসী পড়ে ডান কাতে ঘুমিয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে।
প্রশ্নকারী : মুস্তাক্বীম, জুরাইন, ঢাকা।