উত্তর : মুসলিম মাইয়েত জীবিত ব্যক্তির ন্যায় সম্মানিত। সুতরাং আইনতঃ বাধ্যগত অবস্থা ছাড়া ময়না তদন্তের নামে মুসলিম মৃতদেহ কাঁটাছেড়া করা যাবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জীবিত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার ন্যায় (আবুদাঊদ হা/৩২০৭; মিশকাত হা/১৭১৪)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, ‘মৃত মুমিনকে কষ্ট দেওয়া তাকে জীবিত অবস্থায় কষ্ট দেওয়ার ন্যায়’ (আওনুল মা‘বূদ হা/৩১৯১, ৯/২৪ পৃঃ)। তবে অপরাধী চিহ্নিতকরণের উদ্দেশ্যে বাধ্যগত অবস্থায়  ও আদালতের নির্দেশে লাশের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন সাপেক্ষে কবরস্থ লাশ উত্তোলন করা বা ময়না তদন্ত করা যাবে। জাবের (রাঃ) বলেন, আমার পিতাকে একজন লোকের পাশে দাফন করা হয়েছিল। এটা আমার কাছে পসন্দনীয় ছিল না। ফলে দাফনের ছয়মাস পর লাশ কবর থেকে বের করলাম। অতঃপর আমি তার কিছুই অপসন্দনীয় পেলাম না, মাটির সাথে লাগা কয়েকটা দাড়ি ব্যতীত। অন্য বর্ণনায় আছে, তার কান ব্যতীত কিছুই নষ্ট হয়নি (বুখারী হা/১৩৫১; আবূদাঊদ হা/৩২৩২, হাদীছ ছহীহ; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৪/৩০৩; ফাৎহুল বারী ৩/২৭৬; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩০১-২)। 






প্রশ্ন (৩৪/৪৭৪) : বিবাহের ক্ষেত্রে বর্তমানে বৃহৎ আকারে ওয়ালীমা করার যে সামাজিক রীতি প্রচলিত রয়েছে, এরূপ ব্যয়বহুল অনুষ্ঠান কি অপচয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে? - -মাহমূদুল হাসান, রংপুর।
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : সংসারবিমুখ নববধু রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী চাকুরীতে ব্যস্ত থাকে এবং স্বামী দেশের বাড়িতে রান্না-বান্না সহ যাবতীয় কাজ আঞ্জাম দেয়। এক্ষণে স্বামীর জন্য করণীয় কি? - -আব্দুল্লাহ, লালমণিরহাট।
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : কারু উপকার করার কারণে ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ বললে তার উত্তরে কি বলা উচিত? - -মিনহাজুদ্দীন, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
প্রশ্ন (৩৬/৪৩৬) : যৌথ পরিবারে কোন ভাই উপার্জন করে, কোন ভাই করে না। যারা উপার্জন করে তারা মা-বাবা, ভাই-বোনসহ সবার ভরণ-পোষণ দেয়। এক্ষণে উপার্জনকারী কোন ভাইয়ের ক্রয়কৃত সম্পদে কি অন্যরা ভাগ পাবে?
প্রশ্ন (৩৪/৩১৪) : কোন মুক্তিযোদ্ধা বা সরকারী কর্মকর্তা মারা গেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার নামে দাফনের পূর্বে রাইফেলের গুলি ফুটানো, বাঁশি বাজানো ইত্যাদি কর্মসূচী পালন করা হয়। এগুলো কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : আমাদের এলাকায় প্রায় মসজিদের ইমামগণ ছালাত শেষে মুছল্লীদেরকে নিয়ে গোল হয়ে বসেন। বিভিন্ন রকমের দরূদ পড়ে থাকেন। যেমন- বালাগাল উলা, ছাল্লাল্লাহু, ইয়া মুহাম্মাদ, ইয়া রাসূলুল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ইত্যাদি। এসব দরূদ পড়া কি জায়েয।
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : আমার মা মারা যাওয়ায় পিতা দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন। আমার প্রতি তার বর্তমান আচরণ খুবই কষ্টকর। এক্ষণে তার সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে পৃথকভাবে বসবাস করলে আমি গুনাহগার হব কি? - -মা‘ছূম বিল্লাহ, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৩/৩৮৩) : ই‘তিকাফ-এর ফযীলত কি? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ই‘তিকাফের পদ্ধতি কি ছিল? মহিলারা কি এ ইবাদতে অংশগ্রহণ করতে পারবে?
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : শরী‘আতে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মাকরূহ প্রভৃতি পরিভাষা কি গ্রহণযোগ্য? এসকল বিধানের হুকুম ও তারতম্য সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৫/২৫) : আমরা তিন ভাই পৃথক পৃথক পরিবার নিয়ে বসবাস করি। আমাদের মা জীবিত আছেন তবে আমাদের রান্না পৃথকভাবে হয় এবং জমিজমা এখনো বণ্টিত হয়নি। এমতাবস্থায় সবাই মিলে একত্রে একটি পশু কুরবানী দিলে তা শরী‘আতসম্মত হবে কি? - -শহীদুল ইসলাম, সৈয়দপুর, নীলফামারী।
প্রশ্ন (৭/৭) : কুরআনে বর্ণিত ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ বলতে কি বুঝায়? - -আবু সাঈদ খান, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : জনৈক ইমাম জুম‘আর খুৎবায় বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা রাতে পেশাব করে হাড়িতে রেখে সকালে একজন ছাহাবী আসলে তাকে প্রস্রাবগুলি ফেলে দিতে বললেন। ছাহাবী পেশাবের হাড়িটাকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে রাসূলের প্রতি মহববতের কারণে তা খেয়ে নেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে আসলে তিনি বলেন, কি ফেলে দিয়েছ? তখন ছাহাবী চুপ থাকেন। বারবার জিজ্ঞেস করার পর লোকটি বলেন আমি তা খেয়ে ফেলেছি। ফলে উক্ত ছাহাবী মারা গেলে তার শরীর থেকে সুগন্ধি বের হয়। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.