উত্তর : প্রথমতঃ কবরের উপর মসজিদ বানানো হয়নি। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ)-কে মসজিদে কবর দেয়া হয়নি। তাঁকে আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরে দাফন করা হয়েছিল (ছহীহ তিরমিযী হা/১০১৮)।  তৃতীয়তঃ মসজিদে নববীতে কবরস্থান নেই। রাসূল (ছাঃ)-এর কবর পাকা করাও নেই। বুঝতে এবং দেখতে ভুল হয়েছে। যেখানে পাকা করা আছে সেটা ঘরের দেয়াল। মূলতঃ আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরকে মসজিদের মধ্যে নেওয়া হয়েছে। তবে এটা চার খলীফার যুগে করা হয়নি; বরং ৯৪ হিজরীর দিকে করা হয়েছে। সে সময় মাত্র কয়েকজন ছাহাবী বেঁচে ছিলেন। তাঁদের পক্ষ থেকে বিরোধিতাও করা হয়েছিল। এমনকি বিশিষ্ট তাবেঈ সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়িবও বিরোধিতা করেন। চতুর্থতঃ উক্ত ঘরকে মসজিদ বানানো হয়নি। বরং এই ঘরকে তিনটি দেয়ালের দ্বারা সংরক্ষণ করা হয়েছে। যেগুলোর একটি দেয়ালকে ত্রিকোণ রূপে বানিয়ে দু’টি কোন কিবলার (দক্ষিণের) দিকে আর একটি কোণকে উত্তরের দিকে করে দেয়া হয়েছে। যাতে করে উত্তর দিকে ছালাত আদায়কারীদের চেহারা সরাসরি কবরমুখী না হয়।

এর দ্বারা কবরপূজার পক্ষে দলীল দেওয়া যাবে না। কারণ রাসূল (ছাঃ) ও চার খলীফার যুগের পরে এটা করা হয়েছে, ওয়ালীদ বিন আব্দুল মালেকের যুগে ৯৪ হিজরীর দিকে (শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু ছালেহ্ ওছাইমীন, আল-কাওলুল মুফীদ ‘আলা কিতাবিত তাওহীদ ১/৩৯৮; মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/১৮০-১৮১ ও ৯/৩২১)






প্রশ্ন (৩০/৩১০) : পবিত্র কুরআন কোন অমুসলিম ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য স্পর্শ করতে চাইলে তার জন্য ওযূ করার আবশ্যকতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৮/১৯৮) : হাক্কুল ইবাদ তথা যেসব পাপ করলে মানুষের কাছেই ক্ষমা চাইতে হয়, এরূপ কাজ সম্পর্কে দলীলসহ জানতে চাই।
প্রশ্ন (৭/৩২৭) : প্রস্রাব করে পানি নেওয়ার পরে জামায় প্রসাব লেগে গেলে, বাসা থেকে জামা পরিবর্তন করে ছালাত আদায় করি। কিন্তু বাইরে এই সমস্যা হ’লে করণীয় কি? অনেকে এজন্য ছালাত ক্বাযা করে। এটা কি ঠিক?
প্রশ্ন (১১/১৩১) : আমি হিন্দু পরিবারে বিবাহ করেছি এবং দু’জনেই ইসলামী জীবন যাপন করছি। এক্ষণে আমার হিন্দু শ্বশুরকুলের বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়া, খাওয়া-দাওয়া, ছালাত আদায় করা ইত্যাদি জায়েয হবে কি? - -যাকির হোসাইন, ভারত।
প্রশ্ন (২৮/৪২৮) : আমরা জানি, মেঘের উপরে থাকে পজিটিভ চার্জ আর নীচে থাকে নেগেটিভ চার্জ। যেহেতু বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। তাই এই পজিটিভ চার্জ ও নেগেটিভ চার্জ পরস্পরের সংস্পর্শে আসলে উপর থেকে নীচের দিকে চার্জের নির্গমন ঘটে। এর ফলে শক্তির নিঃসরণ ঘটে, শব্দ হয় ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। কিন্তু হাদীছে (তিরমিযী হা/৩১১৭) এই শব্দকে ফেরেশতাদের হাকডাক বলা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ হাকডাক দিয়েই মেঘমালাকে নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (৮/৮৮) : আমি একটি হারাম কর্মে জড়িয়ে ছিলাম। সেখান থেকে সরে এসেছি। নিয়মিত ছালাত আদায় করি ও দো‘আ-দরূদ পড়ি। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় মাঝে-মধ্যে পুনরায় আগের মত জড়িয়ে পড়ি। এ থেকে বাঁচার উপায় কি?
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : ইউরোপ-আমেরিকার অনেক এলাকায় নাগালের মধ্যে গরীব মানুষ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আর পেলেও চাউল দিয়ে ফিৎরা আদায় করে তা বণ্টন করা অতীব কষ্টকর। সেক্ষেত্রে টাকা দিয়ে ফেৎরা আদায় করলে কি জায়েয হবে? - -আজমাল হোসাইন, সাকাস্ত্তয়ান, কানাডা।
প্রশ্ন (১৭/২১৭) : ইক্বামত দেয়ার সময় ইমাম ও মুক্তাদীদের হাত কিভাবে থাকবে জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১২/১৭২) : বিতর ছালাতের শেষ রাক‘আতে দো‘আ কুনূতের সাথে আর কি কি দো‘আ পড়া যাবে?
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : তারাবীহর ছালাত আমি একাকী পড়ি। এক্ষেত্রে সূরা মুখস্ত কম থাকায় কুরআন দেখে পড়া যাবে কী?
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : বাচ্চাদের খাৎনা করার সময় আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে খাওয়ার অনুষ্ঠান করা যাবে কি? - -আলতাফ হোসেন, তেরখাদিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্নঃ (১৫/৩৩৫) : জনৈক বক্তা বলেছেন, সূরা বাক্বারায় এমন একটি আয়াত আছে যা পাঠ করলে কেউ জাহান্নামে গেলেও তাকে আগুনের তাপ লাগবে না, একটি পশমও পুড়বে না। প্রশ্ন হ’ল সেটা কত নম্বর আয়াত এবং কতবার পড়তে হবে?
আরও
আরও
.