উত্তর :
তাঁরা সকলেই তৎকালীন সময়ের সর্বাপেক্ষা শরী‘আত অভিজ্ঞ, জ্ঞানী এবং উচ্চ
মর্যাদার অধিকারী তাবেঈ ছিলেন। তারা হ’লেন (১) উরওয়া ইবনুয যুবায়ের (২২-৯৩
হিঃ) (২) সা‘ঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (১৫-৯৪ হিঃ) (৩) কাসেম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু
আবুবকর (মৃঃ ১০৭ হিঃ) (৪) খারেজাহ্ ইবনু যায়েদ ইবনু ছাবেত (২৯-৯৯ হিঃ) (৫)
ওবায়দুল্লাহ্ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ্ ইবনু মাসঊদ আল-হুযালী (মৃঃ ৯৮
হিঃ) (৬) আবুবকর ইবনু আব্দুর রহমান ইবনু হারেছ ইবনু হিশাম ইবনুল মুগীরাহ্
(মৃঃ ৯৪ হিঃ) (৭) সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (৩৪-১০৭ হিঃ)। কারো কারো মৃত্যু
তারিখে মতভেদ রয়েছে (ছয় নম্বরে উল্লেখিত ব্যক্তিকে নির্ধারণের ক্ষেত্রে
মতভেদ রয়েছে) (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৪/৪৩৮, ৭/৪৭১; শাযারাতুয যাহাব ১/১০৮; তাদরীবুর রাবী ২/২৪০)।
ছাহাবীগণের পরে মদীনাতে একই সময়ে ফৎওয়া প্রদানের ক্ষেত্রে এ সাতজনই পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এ কারণে তাঁদের ‘ফুক্বাহাউস সাব‘আহ্’ নামকরণ করা হয় (ওয়াফায়াতুল আ‘ইয়ান ১/২৮৩)। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে, ওমর ইবনু আব্দুল আযীয মদীনার গভর্নর হিসাবে নিয়োগ লাভ করার পর তাদেরকে বিভিন্ন উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শদাতা এবং মুফতী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। এ থেকেই তাঁরা বিশিষ্ট সাত ফক্বীহ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।