উত্তর : ইফতার
যদিও ইবাদত, তবে এমন ইবাদত যেখানে সামাজিকতার ব্যাপার রয়েছে। তাই এখানে
কাফেরদেরও দাওয়াত করা যেতে পারে, যদি তাতে কাফেরদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান
করা বা আগ্রহী করার উদ্দেশ্য থাকে। আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ) ইহুদী-নাছারাদের
কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী ‘হেবা’ অধ্যায় ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)। আল্লাহ বলেন, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি বা তোমাদেরকে ঘর হতে বের করে দেয়নি, তাদের প্রতি সদাচরণে কোন বাধা নেই (মুমতাহিনা ৮)।
তবে যদি এ দাওয়াত দ্বারা দ্বীনী কোন উদ্দেশ্য না থাকে, তাহ’লে এতে অযথা
অর্থ খরচ না করে তা গরীব আত্মীয়-স্বজন ও দরিদ্র-মিসকীনদের মাঝে বিতরণ করা
উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি ছাড়া কারো সাথে বন্ধুত্ব করো না
এবং আল্লাহ্ভীরু ব্যক্তি ছাড়া তোমার খাদ্য যেন কেউ না খায় (তিরমিযী, আবুদাউদ, মিশকাত হা/৫০১৮)। তাছাড়া হাদীছে এসেছে, তোমরা বিধর্মীদের আগে সালাম দিয়ো না, কেননা এতে তাদের প্রতি সম্মান ও ভালবাসা প্রদর্শিত হয় (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৬৩৫)।
আর বিধর্মীদেরকে ইফতার বা যে কোন খাবার আয়োজনে দাওয়াত করা সম্মান
প্রদর্শনের শামিল। তাই বিশেষ কারণ ছাড়া তাদেরকে ইফতারে বা অন্যান্য আয়োজনে
আমন্ত্রণ না করাই উত্তম।