উত্তর : সমকামিতা জিনগত বা মানসিক কোন সমস্যা নয়। বরং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলো সর্বশেষ গবেষণায় সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে যে, সমকামিতার পিছনে জিনগত কোন প্রভাব নেই (দ্র. উইকলি ন্যাচার সাইন্টিফিক জার্নাল, লন্ডন, ২৯শে আগস্ট ২০১৯)। বরং এটি চারিত্রিক সমস্যা। সুতরাং সমকামিতা প্রাকৃতিক বলে হালকা করে দেখা এবং পশ্চিমাদের অনুকরণে সমকামিতাকে স্বীকৃতি প্রদান করা গর্হিত অপরাধ। একজন মুসলিমের পক্ষে কখনও এমন কোন অপরাধের পক্ষে অবস্থান নেয়া সম্ভব নয়, যাকে ইসলামী শরী‘আত নিকৃষ্ট কবীরা গুনাহ বলে ঘোষণা করেছে। সমকামিতা এমন ঘৃণ্যতম অপরাধ, যার কারণে বিগত যুগে আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন (আ‘রাফ ৭/৮০-৮৪; হিজর ১৫/৭২-৭৬)। ইসলামে সমকামিতার শাস্তিও অত্যন্ত কঠোর। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা যাকে লূত (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের মত পুরুষে পুরুষে অপকর্ম করতে দেখবে তাদের উভয়কে হত্যা কর (তিরমিযী হা/১৪৫৬; আবূদাঊদ হা/৪৪৬২; মিশকাত হা/৩৫৭৫)। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তা‘আলা কওমে লূতের ন্যায় অপকর্মকারীদের প্রতি লা‘নত করেছেন, তিনি একথাটি তিনবার বলেন (আহমাদ হা/২৯১৫; ছহীহাহ হা/৩৪৬২)। সুতরাং যারা সরাসরি সমকামিতায় জড়িত না থেকেও তথাকথিত উদারতাবাদের নামে এই অপরাধকে স্বীকৃতি দেবে, তারাও সমান পাপী। তবে এদের শাস্তি ভিন্ন। ইসলামী আদালত তাদের পাপের মাত্রা অনুযায়ী তা‘যীর বা শাস্তি নির্ধারণ করবে।
প্রশ্নকারী : নাজীবুর রহমান, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।