উত্তর : বাড়িতে জামা‘আতে ছালাত আদায় অপেক্ষা ওয়াক্তিয়া মসজিদে ছালাত আদায়ে অধিক ছওয়াব রয়েছে (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ২/১৩৫; মিরকাত ২/৫৯৪)। কেননা প্রথমতঃ রাসূল (ছাঃ) মসজিদেই জামাআ‘তে ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, যা ওয়াজিব (বুখারী হা/৬৪৪; মুসলিম হা/৬৫৩; ইবনু মাজাহ হা/৭৯৩)। তাছাড়া ইবনু মাসঊদের হাদীছে বলা হয়েছে, যেখান থেকে আযান দেওয়া হয় (মুসলিম হা/৬৫৪; মিশকাত হা/১০৭২)। আর আযান মসজিদ থেকেই দেওয়া হয়। কোন বাড়ি বা দোকান থেকে নয়। দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ) মসজিদে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ে অধিকতর ছওয়াব প্রাপ্তির কথা বলেছেন (বুখারী হা/৬৪৭; মিশকাত হা/৭০২)। তৃতীয়তঃ হাদীছে মসজিদে হেঁটে গেলে বহুগুণ ছওয়াবের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি পূর্ণ হজ্জ ও ওমরাহর নেকীর কথাও এসেছে (আবুদাউদ হা/৫৫৮; মিশকাত হা/৭২৮)। আর ওয়াক্তিয়া মসজিদ অপেক্ষা জুম‘আ মসজিদে মুছল্লী সংখ্যা বেশী হ’লে সেখানেও ছওয়াবের তারতম্য রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দু’জনে জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম একাকী ছালাত আদায়ের চেয়ে। বহুসংখ্যক লোকের জামা‘আতে ছালাত আদায় করা উত্তম দু’জনে ছালাত আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর এটা আল্লাহর নিকট অতীব প্রিয়’ (আবুদাউদ হা/৫৫৪; মিশকাত হা/১০৬৬; ছহীহুত তারগীব হা/৪১১)। তবে কেউ শারঈ ওযরের কারণে বাড়িতে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করলে মসজিদে ছালাত আদায়ের সমতুল্য ছওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩২৩)। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ রোগে অসুস্থ হ’লে অথবা সফরে থাকলে তার আমলনামায় তা-ই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় বা বাড়ীতে থাকলে লেখা হ’ত’ (বুখারী হা/২৯৯৬; মিশকাত হা/১৫৪৪)

প্রশ্নকারী : আযীযুল হক সরকার, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা।







প্রশ্ন (৩২/৩১২) : রামাযান মাসে পিল খেয়ে ঋতু বন্ধ রেখে ছিয়াম পালন করা যাবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মিরপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৮/৪১৮) : ঝড়-তুফানের সময় আযান দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৪২৩) : পুরুষ-মহিলা পরস্পরে সালাম বিনিময় করা যরূরী কি?
প্রশ্ন (৬/৬) : সফরে ৩ জনে মিলে কুরবানী করলে গোশত কি ৩ ভাগ না ৭ ভাগ করতে হবে? - -শারাফাত, ঢাকা।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : যিনি মুরশিদ তিনি রাসূল। কখনো তিনি খোদা হন। এ কথা শুধু লালন নয় কুরআনও বলে। এর প্রমাণে তারা আলে ইমরান ৩১; নিসা ৮০, ১৫০; কাহ্ফ ১১০ আয়াত দলীল হিসাবে পেশ করে। উক্ত দাবী কি সঠিক? লালনের ভক্ত এই শ্রেণীর লোকদের অবস্থা পরকালে কী হবে?
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : পাঁচটি কারণে ছিয়াম নষ্ট হয় সেগুলো হচ্ছে- (১) মিথ্যা কথা বলা (২) গীবত করা (৩) চোগলখুরী করা (৪) মিথ্যা কসম করা (৫) কোন নারীর প্রতি কুদৃষ্টি দেয়া। একথার দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : রাস্তার ডান দিক দিয়ে চলতে হবে। বাম দিক দিয়ে চললে পাপ হবে। শরী‘আতে এরূপ কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (৬/৩২৬) : অনেকে নিয়মিত ছালাত ও ছিয়াম পালন করে। কিন্তু সর্বদা টাখনুর নীচে কাপড় পরে। অথচ হাদীছে আছে, টাখনুর নীচে কাপড় পরিধানকারী ব্যক্তি জাহান্নামী। উক্ত ব্যক্তির পরিণাম কী হবে?
প্রশ্ন (৩৯/১৫৯) : আদম (আঃ) আরশের পায়ায় লেখা কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ দেখে বলেন, আল্লাহ তুমি আমাকে ‘মুহাম্মাদ’ নামের অসীলায় মাফ করে দাও, তখন আল্লাহ তাকে মাফ করেন। একথার কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৯/১২৯) : আমি প্রবাসে থাকি। দেশে থাকা পিতা-মাতা আমার পুরো উপার্জনই ভোগ করতে চান। আমার স্ত্রী-সন্তানদের জন্য খরচ করতে অনীহা পোষণ করেন। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -বদরুল আলম, দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রশ্ন (১/১) : আমার পূর্বে ক্রয়কৃত পিয়ানো ও গিটার আছে। দ্বীন বুঝার পর এখন সেগুলি বিক্রি করে ইসলামী বই ক্রয় করতে চাই। এরূপ করা জায়েয হবে কি? নতুবা সেগুলি নিয়ে করণীয় কি? - -রূহুল আমীন, কালিহাতী, টাঙ্গাইল।
প্রশ্নঃ (৯/৮৯): পবিত্র কুরআনের সূরা কাহফ এর ১৭নং আয়াতে বলা হয়েছে ‘আল্লাহ যাকে সৎ পথ দেখান সে তা পায় এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার পথ প্রদর্শনকারী পাবে না’। উক্ত আয়াতে বর্ণিত মুরশিদ শব্দের অর্থ কি? আমাদের এলাকার কিছু পীরপন্থী লোক ঐ আয়াতের উল্লেখ করে বলে, পীর-মুরশিদ না ধরলে সঠিক পথ পাওয়া যাবে না। আরো বলে যে, যাদের পীর নেই তারা হিন্দু। উক্ত দাবী কি সঠিক?
আরও
আরও
.