উত্তর : হাদীছ দু’টি ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে। প্রথম হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দরিদ্র মুসলমানগণ জান্নাতে যাবে সম্পদশালীদের চেয়ে অর্ধদিন পূর্বে। এই অর্ধদিন হ’ল পাঁচ শত বছরের সমান’ (তিরমিযী হা/২৩৫৪; মুসলিম হা/২৭৩৬)। ঈমানদারীর দিক থেকে সমান হ’লে দরিদ্রদের জন্য জান্নাতে যাওয়া সহজ হবে, তাদের হিসাব-নিকাশ অল্প হওয়ার কারণে। অন্যদিকে হিসাব বেশী হওয়ায় ধনীদের দেরী হবে। তবে ধনীর পুণ্য যদি দরিদ্রের চেয়ে বেশী হয়, সেক্ষেত্রে প্রবেশে দেরী হ’লেও ধনী জান্নাতে অধিক মর্যাদার অধিকারী হবেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১২১)। উছায়মীন বলেন, যেহেতু ধনী ব্যক্তি দুনিয়াতে যেখানে আল্লাহর নে‘মতরাজি ভোগ করতে পারে দরিদ্র ব্যক্তি তা পারে না। সেকারণ দরিদ্রদের জন্য এই পুরস্কার (লিকাউল বাবিল মাফতূহ, অডিও ক্লিপ নং- ২৮)

অপরদিকে দ্বিতীয় হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ধনের আধিক্য হ’লে ধনী হয় না, অন্তরের ধনীই প্রকৃত ধনী’ (বুখারী হা/৬৪৪৬; মুসলিম হা/১০৫১; মিশকাত হা/৫১৭০)। এর দ্বারা প্রাপ্ত সম্পদে পরিতুষ্ট হৃদয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কেননা মানুষের অভাব অসীম। সেকারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, আদম সন্তানকে ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ দু’টি উপত্যকাও যদি দেওয়া হয়, সে তৃতীয়টির আকাঙ্ক্ষা করবে। আদম সন্তানের পেট মাটি ব্যতীত অন্য কিছু পূর্ণ করতে পারবে না’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৭৩)। এর মধ্যে একদল মানুষ রয়েছে, যারা প্রাপ্ত সম্পদে সন্তুষ্ট থাকে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ঐ ব্যক্তি সফলকাম, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, তাকে পরিমিত রূযী দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন, তাতে সে পরিতুষ্ট হয়েছে (মুসলিম হা/১০৫৪, মিশকাত হা/৫১৬৫)

অতএব মূল বিষয় হ’ল তাক্বওয়া। তাক্বওয়াশীলদের জন্য সম্পদ কম হওয়া বা বেশী হওয়ার মাঝে কোন পার্থক্য নেই। যেমন এক বর্ণনায় এসেছে, ছাহাবীগণ বলেন, রাসূল (ছাঃ) তাদের কাছে বের হয়ে এলেন, তাঁর দেহে ছিল গোসলের আলামত এবং তিনি ছিলেন প্রফুল্লচিত্ত। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনাকে প্রসন্ন হৃদয় দেখছি। তিনি বলেন, হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ। তারপর লোকেরা প্রাচুর্যের প্রসঙ্গে ঢুকে গেল।  এসময় রাসূল (ছাঃ) বললেন, আল্লাহভীরুর জন্য প্রাচুর্য ক্ষতিকর নয়। তবে আল্লাহভীরুর জন্য প্রাচুর্যের চেয়ে সুস্বাস্থ্য অধিক উপকারী। মানসিক প্রফুল্লতা অন্যতম নে‘মত (ইবনু মাজাহ হা/২১৪১; মিশকাত হা/৫২৯০; ছহীহাহ হা/১৭৪)

সেকারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে পরকাল, আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তির অন্তরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন এবং তার যাবতীয় বিচ্ছিন্ন কাজ একত্রিত করে সুসংহত করে দিবেন, তখন তার নিকট দুনিয়াটা নগণ্য হয়ে দেখা দিবে। আর যে ব্যক্তির একমাত্র চিন্তার বিষয় হবে দুনিয়া, আল্লাহ তা‘আলা সেই ব্যক্তির দু’চোখের সামনে অভাব-অনটন লাগিয়ে রাখবেন এবং তার কাজগুলো এলোমেলো ও ছিন্নভিন্ন করে দিবেন। তার জন্য যা নির্দিষ্ট রয়েছে, দুনিয়াতে সে এর চাইতে বেশী পাবে না’ (তিরমিযী হা/২৪৬৫; মিশকাত হা/৫৩২০; ছহীহাহ হা/৯৪৯)






প্রশ্ন (১১/১১) : ব্রাক, আশা, প্রশিকা, কারিতাস, ওয়ার্ল্ড ভিশন ইত্যাদি এনজিও প্রদত্ত বাথরূম নির্মাণের উপকরণ সমূহ গ্রহণ করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : কুরবানীর দিন কুরবানীর নিয়ত ছাড়া কয়েকজন মিলে গরু যবেহ করে খেতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : বিবাহ ঠিক হওয়ার পর বিবাহ পড়ানোর কিছুদিন দেরী আছে। এক্ষণে পাত্রীর সাথে পাত্র প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২৭/৩০৭) : দু’জন মুসলিম ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে গভীরভাবে ভালবাসতো। পরে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এক্ষণে তারা কি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে?
প্রশ্ন (৫/২৮৫) : সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব কি কি?
প্রশ্ন (১৬/১৬): জনৈক আলেম বলেন যে, নবী (ছাঃ) গর্ভে থাকাকালে মা আমেনা পেটের দিকে চেয়ে দেখেন একটা জ্যোতি বের হচ্ছে। এ সময় আমেনা কূয়া থেকে পানি আনতে গিয়ে দেখেন কূয়ার পানিই উপরে উঠে আসে। আল্লাহ বলেন, নবীকে নিয়ে পানি তুলতে আমেনা কষ্ট পাবে তাই কূয়ার পানি উপরে উঠে আসে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক? জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : কলম, প্লাস্টিক ইত্যাদি ফ্যাক্টরীর মালিকেরা যদি সূদের উপর ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালায়, সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১/২৪১): কোন ব্যক্তির দীর্ঘ রোগভোগের কারণ কি? কেউ বলে এটা তার কৃতকর্মের ফল। আবার কেউ বলে এর মাধ্যমে আল্লাহ তার পাপ মাফ করেন।
প্রশ্ন (৩১/২৭১) : মসজিদ উন্নয়নের জন্য প্রদত্ত জমিতে ঈদগাহ ও মাদরাসার মাঠ তৈরী করা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : নারীরা পিতা, ভাই, সন্তান তথা মাহরাম পুরুষদের সামনে কতটুকু পরিমাণ সৌন্দর্য প্রকাশ করতে পারবে? জনৈক আলিম বলেন, মুখ ও হস্তদ্বয় ব্যতীত অন্য কিছু তাদের সামনে প্রকাশ করা যাবে না। একথা সঠিক কি? - -বিলকীস আরা, নরেন্দ্রপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১/৩৬১) : বিতর ছালাতে দো‘আ কূনূত পড়তে ভুলে গেলে সহো সিজদা দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (৭/৪০৭) : প্রচলিত আছে, মহল্লায় কেউ মারা গেলে তার পরিবারে ৪ দিন রান্না করা যাবে না। প্রতিবেশীরা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ৪ দিন গোশত, বিরিয়ানী ও পানীয় ইত্যাদি খাওয়াতে হবে। এটা কি শরী‘আত সম্মত?
আরও
আরও
.