উত্তর : উক্ত
আয়াতের অর্থ হ’ল- ‘তারা আল্লাহকে ছেড়ে নিজেদের আলেম-ওলামা ও পোপ-পাদ্রীদের
এবং মারিয়াম পুত্র মসীহ ঈসাকে ‘রব’ হিসাবে গ্রহণ করেছে। অথচ তাদের প্রতি
কেবল এই আদেশ করা হয়েছিল যে, তারা শুধুমাত্র এক উপাস্যের ইবাদত করবে। তিনি
ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। আর তারা যাদেরকে শরীক সাব্যস্ত করে, তিনি সে সব
থেকে পবিত্র’ (তওবা ৯/৩১)।
খ্রিষ্টান ধর্মনেতা ‘আদী ইবনু হাতেম যখন ইসলাম কবুল করার জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আসেন, তখন তিনি তার গলায় ঝুলানো স্বর্ণের বা রৌপ্য নির্মিত ক্রুসটি ফেলে দিতে বললেন। অতঃপর উক্ত আয়াতটি পাঠ করলেন। তখন ‘আদী বললেন, ‘আমরা তো তাদের ইবাদত করি না’। জবাবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, ‘তারা কি সেই সব বস্ত্ত হারাম করে না যা আল্লাহ হালাল করেছেন, অতঃপর তোমরাও তা হারাম কর? আর তারা কি ঐসব বস্ত্ত হালাল করে না যা আল্লাহ হারাম করেছেন। অতঃপর তোমরাও তা হালাল কর? আদী বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটাই তো ওদের ইবাদত হ’ল (তিরমিযী হা/৩০৯৫, ছহীহাহ হা/৩২৯৩)। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ‘তারা তাদেরকে সিজদা করার আদেশ দিত না। বরং তাদেরকে আল্লাহ্র অবাধ্যতার আদেশ দিত এবং তারা তাদের সে আদেশ পালন করত। সেকারণে আল্লাহ তাদেরকে ‘রব’ হিসাবে অভিহিত করেছেন’ (তাফসীর ত্বাবারী হা/১৬৬৪১)।