উত্তর : ইক্বামতের সময় ইমাম কিবলামুখী হয়ে অথবা মুছল্লীদের দিকে মুখ ফিরে থাকবেন। অতঃপর তিনি কাতার সোজা করার প্রতি নির্দেশনা দিবেন। এ সময় তিনি মুছল্লীদের দিকে মুখ করে থাকবেন। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেন, তোমরা সোজা হয়ে দাঁড়াও এবং আগে-পিছে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ো না। অন্যথায় তোমাদের অন্তর বিচ্ছিন্নতায় লিপ্ত হবে। বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। অতঃপর এসব বিষয়ে যারা তাদের নিকটবর্তী তারা পর্যায়ক্রমে কাছাকাছি দাঁড়াবে (মুসলিম হা/৪৩২; মিশকাত হা/১০৮৮)। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছাহাবীদের মাঝে প্রথম সারিতে এগিয়ে আসতে গড়িমসি লক্ষ্য করে তাদেরকে বললেন, সামনে এগিয়ে এসো। আমার অনুসরণ কর। তাহ’লে যারা তোমাদের পেছনে রয়েছে তারা তোমাদের অনুসরণ করবে। এরপর তিনি বললেন, একদল লোক সর্বদাই প্রথম কাতারে দাঁড়াতে দেরী করতে থাকে। পরিণামে আল্লাহ তা‘আলাও তাদের পিছনে ফেলে রাখবেন (মুসলিম হা/৪৩৮; মিশকাত হা/১০৯০)।
নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, আমরা ছালাতে দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) (প্রথমে মুখে অথবা হাতে ইশারা করে) কাতারগুলোকে ঠিক করে দিতেন। যখন আমরা ঠিক হয়ে দাঁড়াতাম তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলতেন (আবুদাউদ হা/৬৬৫; মিশকাত হা/১০৯৭)। আনাস (রাঃ) বলেন, একদা ছালাতের তাকবীর বলা হ’ল, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে বললেন, ‘তোমরা কাতার সোজা কর এবং পরস্পরে মিলিত হয়ে দাঁড়াও! নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিক হ’তেও দেখে থাকি’ (বুখারী, মিশকাত হা/১০৮৬)।
আনাস (রাঃ) বলেন, (ছালাত শুরু করার পূর্বে) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রথমে তাঁর ডানপাশে ফিরে বলতেন, ঠিক হয়ে দাঁড়াও, কাতারগুলোকে সোজা করো। তারপর তাঁর বামপাশে ফিরে বলতেন, ঠিক হয়ে দাঁড়াও, কাতারগুলোকে সোজা কর’ (আবুদাউদ হা/৬৭০; মিশকাত হা/১০৯৮)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ লাবীব, রাজশাহী।