উত্তর : শিরকের গুনাহ আল্লাহর সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব ব্যক্তি অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। কিন্তু বান্দার হক বান্দার সাথে সংশ্লিষ্ট, যা বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তার নিজস্ব তওবা এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : রিয়াযুছ ছালেহীন ‘তওবা’ অনুচ্ছেদ-২-এর আলোচনা)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, শহীদদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় তার ঋণ ব্যতীত (মুসলিম হা/১৮৮৬; মিশকাত হা/২৯১২)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ঋণ বলে এখানে বান্দার সকল প্রকারের অধিকারের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে (নববী, শরহ মুসলিম ১৩/২৯, হা/১৮৮৫-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, মাযলূমের হক কেবলমাত্র তওবা দ্বারা পূরণ হয় না।... বরং তওবা তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন সে যুলুমের প্রতিদান মাযলূমকে বুঝিয়ে দিবে। যদি সে দুনিয়াতে তা পূরণ না করে, তবে আখেরাতে তাকে তা পূরণ করতে হবে ...(মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৮/১৮৭-১৮৯)।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যে দুনিয়া থেকে ছালাত-ছিয়াম-যাকাত ইত্যাদি আদায় করে আসবে। সাথে ঐসব লোকেরাও আসবে, যাদের কাউকে সে গালি দিয়েছে, কারু উপরে অপবাদ দিয়েছে, কারু মাল গ্রাস করেছে, কাউকে হত্যা করেছে বা কাউকে প্রহার করেছে। তখন ঐসব পাওনাদারকে ঐ ব্যক্তির নেকী থেকে পরিশোধ করা হবে। এভাবে পরিশোধ করতে করতে যদি তার নেকী শেষ হয়ে যায়, তখন ঐসব লোকদের পাপসমূহ এই ব্যক্তির উপর চাপানো হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’ (মুসলিম হা/২৫৮১; মিশকাত হা/৫১২৭)।