উত্তর : কারো জন্য মৃত্যু কামনা করে দো‘আ করা যাবে না। তবে তার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর মনে হ’লে তার জন্য কল্যাণের দো‘আ করা যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার নিকটে বিপদ পৌঁছার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। তবে সে যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায় তবে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখো যতদিন আমার জীবন কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৬০০)। তিনি আরো বলেন, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং মৃত্যু আসার আগে যেন মৃত্যুর জন্য দো‘আ না করে। কেননা তোমাদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিনের বয়স তার কল্যাণই বাড়িয়ে থাকে (মুসলিম হা/২৬৮২; মিশকাত হা/১৫৯৯)

বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে, তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কারণ সে নেককার হ’লে আরো বেশী নেক কাজ করার সুযোগ পাবে। আর বদকার হ’লে, (সে তওবা করে) আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি হাছিল করার সুযোগ পাবে (বুখারী হা/৫৬৭৩; মিশকাত হা/১৫৯৮)। অতএব কারো জন্য মৃত্যু কামনা নয়, বরং কল্যাণ কামনা করে দো‘আ করতে হবে।

প্রশ্নকারী : মাসঊদুর রহমান

ইসলামবাগ, ঠাকুরগাঁও।






বিষয়সমূহ: পরকাল
প্রশ্ন (২১/৬১) : আমার অতীত জীবনে অনেক ফরয ও সুন্নাত ছালাত ক্বাযা হয়েছে। এখন কি সেই ছালাতগুলো পড়তে পারব? পড়তে হলে তার নিয়ম কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৫৪) : গরমের কারণে মসজিদের বাইরে মাঠে ছালাত আদায় করলে ছালাত আদায় হবে কি?
প্রশ্ন (১২/৪৫২) : ছালাতের সময় নির্ধারণী বিভিন্ন স্থায়ী ক্যালেন্ডারে ঢাকার সাথে সাতক্ষীরার সুর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য ৫ মিনিট নির্ধারিত থাকলেও ‘যুবসংঘ’ কর্তৃক প্রকাশিত রামাযান মাসের ক্যালেন্ডারে তা ৩ মিনিট করা হয়েছে। এরূপ কমবেশী হওয়ার কারণ কি? - -শামীম হায়দার, ধানমন্ডি, ঢাকা।
প্রশ্ন (১১/২১১) : জনৈক ব্যক্তি চার কন্যা, এক ছেলে ও মৃত ছেলের এক কন্যা (পৌত্রী) রেখে মারা গেছেন। এক্ষণে ছেলে-মেয়ের উপস্থিতিতে পৌত্রী দাদার সম্পত্তিতে মীরাছ পাবে কি?
প্রশ্ন (৯/৪৪৯) : সূর্য ওঠার সামান্য পূর্বে ঘুম ভেঙ্গেছে। এমতাবস্থায় ফরয ছালাত আদায় করে তারপর কি সুন্নাত পড়তে হবে? আর সেটি হ’লে সেটা কি সূর্যোদয়ের পর পড়তে হবে? - -আয়েশা আখতার, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (৩৬/৪৩৬) : জনৈক ব্যক্তি হাফেযদেরকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কুরআন খতম করান এবং কবরের পাশে নিয়ে গিয়ে পিতা-মাতার জন্য দো‘আ করানো হয়। এছাড়াও মীলাদ মাহফিল ও চল্লিশা পালন করা হয়। এগুলো কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৩৫/৭৫) : কোন ব্যক্তিকে জিনে ধরলে তাকে কবিরাজের মাধ্যমে গলায় তাবীয দিয়ে জিন ছাড়ানো হয়। তাবীযটি সর্বদা না বাঁধা থাকলে পুনরায় জিন আছর করে। এরূপ তাবীয ব্যবহার কি শরী‘আত সম্মত? যদি না হয়, তবে করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৫/২৫) : কুরআনের আয়াত লিখিত গেঞ্জি পরে পেশাব-পায়খানায় যাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৫৫) : জন্মগতভাবে হিজড়াদের ব্যাপারে শরী‘আতের বিধান কি? তারা শরী‘আত অনুযায়ী সকল বিধি-বিধান মেনে চললে কি তারা জান্নাতে যেতে পারবে? - -মনছূর আলীরাজগড়, দঃ চবিবশ পরাগণা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৩/৪৪৩) : শিরকের গুনাহ থেকে ফিরে আসার জন্য তওবা করার পর নতুনভাবে কালেমা পাঠ এবং নতুনভাবে বিবাহ নবায়ন করতে হবে কি? - -ছাবীহা আফরীন, আজিমপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৮/৪৮) : পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের পর নিয়মিতভাবে সূরা নাস ও সূরা ফালাক্ব পড়ে দু’হাত একত্রিত করে ফুঁক দিয়ে শরীরে হাত বুলানো যাবে কি? - -মুহাম্মাদ আমজাদ হোসাইন, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১/১৬১): ২০০৩ ইং জুলাই আত-তাহরীক ৯নং প্রশ্নোত্তরে লেখা হয়েছে, ‘কবিরাজগণ জিনদের মাধ্যমে যেসব কথাবার্তা বলে থাকেন তা বিশ্বাস করা যাবে’। কিন্তু হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোন গণকের নিকট আসল এবং তার কথার প্রতি বিশ্বাস করল সে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে অস্বীকার করল (আহমাদ ২/৪২৯ পৃঃ)। অন্য হাদীছে রয়েছে, ৪০ দিন তার ছালাত কবুল হবে না (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫)। উক্ত বিষয়ে সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
আরও
আরও
.