উত্তর : সন্তান লাভের জন্য নবী ইব্রাহীম ও যাকারিয়া (আঃ) কর্তৃক পঠিত দো‘আ পাঠ করবে এবং যথাযথ চিকিৎসা করবে। (১) যাকারিয়া (আঃ) দো‘আয় বলেন, রবেব লা-তাযারনী ফারদাঁও ওয়া আনতা খায়রুল ওয়ারিছীন। অর্থ : হে আমার রব, আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম উত্তরাধিকারী (আম্বিয়া ২১/৮৯)।
যাকারিয়া (আঃ) বার্ধক্য পর্যন্ত নিঃসন্তান ছিলেন। অন্যদিকে মারিয়াম (আঃ) বায়তুল মুক্বাদ্দাসে তাঁর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একদিন তিনি দেখতে পেলেন আল্লাহ তা‘আলা ফলের মৌসুম ছাড়াই মারিয়াম (আঃ)-কে ফল দিয়ে রিযিকের ব্যবস্থা করেছেন। তখন তাঁর মনে সন্তানের জন্য সুপ্ত আকাংখা জেগে ওঠে। তাই তিনি আল্লাহর নিকটে বিশেষ দো‘আ করেন। তিনি বলেন, রবেব হাবলী মিল্লাদুনকা যুর্রিইয়াতান ত্বাইয়িবাতান, ইন্নাকা সামী‘উদ দো‘আ। অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দাও। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা কবুলকারী (আলে ইমরান ৪/৩৮)।
২. ইব্রাহীম (আঃ) একসময় নিঃসন্তান ছিলেন। তাই তিনি আল্লাহর কাছে এ মর্মে দো‘আ করেন- রবেব হাবলী মিনাছ ছলেহীন। অর্থ : হে আমার প্রভু! আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করো (ছাফফাত ৩৭/১০০)।
৩. নেক স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দো‘আ। উচ্চারণ : রববানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা-কুর্রতা আ‘য়ুনিউ ওয়াজা‘আলনা লিল মুত্তাক্বীনা ইমামা। অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্তুতিদের আমাদের জন্য চক্ষু শীতলকারী কর এবং আমাদেরকে পরহেযগারদের জন্য আদর্শ বানাও’ (ফুরক্বান ২৫/৭৪)। অতএব উক্ত দো‘আগুলো পাঠের পাশাপাশি শারীরিক সমস্যা থাকলে তার চিকিৎসা করবে।
প্রশ্নকারী : এ. কে. এম. সাইফুদ্দৌলা, মিরপুর, ঢাকা।