উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে সকল মানুষের অধিকার সমান। প্রত্যেকেই এক আদমের সন্তান। কারু উপর কারু কোন প্রাধান্য নেই তাক্বওয়া ব্যতীত (আহমাদ হা/২৩৫৩৬; ছহীহাহ হা/২৭০০)। যিনি যতবেশী আল্লাহভীরু, তিনি ততবেশী সম্মানিত (হুজুরাত ৪৯/১৩)। আল্লাহ মানুষে মানুষে কর্মবিভাগ সৃষ্টি করেছেন, তাদের পরস্পর থেকে কাজ নেবার জন্য (যুখরুফ ৪৩/৩২)। কাউকে মনিব, কাউকে কর্মচারী বানানোর মধ্যে রয়েছে এক দূরদর্শী মহাপরিকল্পনা। যার মাধ্যমে আল্লাহ পৃথিবী পরিচালনা করে থাকেন। এই কর্মবিভাগের মধ্যে প্রত্যেকের জন্য রয়েছে পরীক্ষা। কে সবচেয়ে সুন্দর আমল করতে পারে (মুল্ক ৬৭/২)

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দশ বছর রসূল (ছাঃ)-এর খেদমত করেছি, আমার সব কর্ম তিনি যেভাবে চাইতেন সেভাবে করতে পারতাম না। তা সত্ত্বেও তিনি কখনও আমাকে সামান্যতম কষ্ট দিয়ে কথা বলেননি এবং তিনি বলেননি যে, কেন এটা করেছ এবং কেন এটা করনি? (আবুদাঊদ হা/৪৭৭৪)। রাসূল (ছাঃ) মনিবদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তোমাদের অধীনস্তদের তোমরা তাই খেতে দাও, যা তোমরা খাও। তাদেরকে তাই পরিধান করাও, যা তোমরা পরিধান কর। তাদেরকে এমন দায়িত্ব দিয়ো না যা তাদেরকে অপারগ করে দেয়। যদি তাদেরকে কোন কষ্টকর কাজ দাও, তাহ’লে তোমরা তাদেরকে সহযোগিতা কর (ইবনু মাজাহ হা/৩৬৯০)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যখন তোমাদের কারও খাদেম খানা তৈরী করে, অতঃপর সে উক্ত খানা তার মালিকের সম্মুখে উপস্থিত করে, অথচ সে আগুনের তাপ ও ধোঁয়ার কষ্ট সহ্য করেছে, তবে যেন মালিক তাকে নিজের সাথে বসায় এবং নিজের সাথে খানা খাওয়ায়। খাদ্যের পরিমাণ কম হ’লে অন্তত তা হ’তে এক/দুই লোকমা খাদ্য যেন তার হাতে তুলে দেয়’ (মুত্তাফাক ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩৩৪৭)

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কাউকে অন্যায়ভাবে গালি দেয়, অপবাদ দেয়, অপরের মাল ভক্ষণ করে, খুন করে, প্রহার করে বা কোনরূপ অন্যায় করে, ক্বিয়ামতের দিন তার নিকট হ’তে তার পূর্ণ প্রতিশোধ নেওয়া হবে’ (মুসলিম হা/২৫৮১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা তোমাদের দুর্বল শ্রেণীর মধ্যে আমাকে তালাশ কর। কেননা তোমরা রূযীপ্রাপ্ত হয়ে থাক ও সাহায্য প্রাপ্ত হয়ে থাক তোমাদের দুর্বলদের মাধ্যমে (আবুদাঊদ হা/২৫৯৪)। অতএব গরীবদের প্রতি দয়াশীলতাই রাসূল (ছাঃ)-এর সন্তুষ্টি লাভের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। তাছাড়া ধনীদের পাঁচশ’ বছর পূর্বে গরীবরা জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (তিরমিযী হা/২৩৫১)। অতএব তাদেরকে অমর্যাদা নয় বরং সম্মান করা কর্তব্য।






প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : দুই সিজদার মাঝে শরী‘আত নির্দেশিত কোন দো‘আ আছে কি? এছাড়া এসময় যেকোন মাসনুন দো‘আ পাঠ করা যাবে কি? - -নাজমুল ইসলাম, বগুড়া।
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : কেউ যদি বিবাহের পূর্বে বলে, আমি যদি ময়মনসিংহ যেলার মেয়েকে বিবাহ করি তবে সে তালাক। আর বাস্তবেই যদি তা হয় তাহ’লে কি তালাক হয়ে যাবে? সেক্ষেত্রে কয় তালাক হবে?
প্রশ্ন (৩৪/৩৯৪) : বাস-ট্রাক, মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের সামনে আল্লাহু আকবার, বিভিন্ন আয়াত ইত্যাদি লেখা হয়। এটা শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (১১/৫১) : মেয়েদের নাক ফুটিয়ে অলংকার ব্যবহার করা জায়েয কি? এটি কি সৃষ্টিগত আকৃতি পরিবর্তনের শামিল?
প্রশ্ন (২৭/২৬৭) : ছালাতরত অবস্থায় ঋতুবতী হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেই ছালাতের ক্বাযা আদায় করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৬/১৬৬) : মহিলারা নিজ বাড়ীতে ই‘তিকাফ করতে পারে কি?
প্রশ্ন (২৮/২২৮) : পরীক্ষার পূর্বরাতে বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্পেশাল সাজেশন পাওয়া যায়, যা থেকে সর্বাধিক সংখ্যক কমন পাওয়া যায়। এসব সাজেশন নেওয়া জায়েয হবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বরিশাল।
প্রশ্ন (২/৪২) : মসজিদে মহিলাদের ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা না থাকায় ৫০ গজ দূরে একটি ঘরে সাউন্ডবক্সের মাধ্যমে তাদের জন্য জুম‘আ ও তারাবীহর ছালাতের ব্যবস্থা করা হয়। এটা কি শরী‘আতসম্মত হবে?
প্রশ্ন (৩০/৪৩০) : অজান্তে কবরের উপর মসজিদ নির্মিত হওয়ার পর এখন করণীয় কি? জানার পর উক্ত মসজিদে ছালাত আদায় হবে?
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : মহামারীর কারণে কা‘বা শরীফে ছালাত-তাওয়াফ বন্ধ রয়েছে এবং আসন্ন হজ্জ পালন বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এভাবে সকল ইবাদত বন্ধ করা কি জায়েয? ইতিপূর্বে কখনো হজ্জ বন্ধ হয়েছে কি?
প্রশ্ন (২৮/৩৮৮) : মানতের পশুর গোশত কিভাবে বণ্টন করতে হবে?
প্রশ্ন (২৮/৬৮) : বিয়ের ক্ষেত্রে কুফূ বজায় রাখা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? মেয়ে যদি পরিপূর্ণ দ্বীনদার হয়; কিন্তু আর্থিক বা সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে কমতি থাকে, তাহ’লে কুফূ না হওয়ার কারণে বিয়ে বাতিল করা পাত্রের জন্য জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.