উত্তর : মৃত্যুপথযাত্রীর প্রতি কর্তব্য হ’ল তাকে তালক্বীন করানো। তালক্বীন (التلقين) অর্থ কথা বুঝানো বা দ্রুত মুখস্থ করিয়ে দেওয়া। মৃত্যুর আলামত দেখা গেলে রোগীর শিয়রে বসে তাকে কালেমায়ে ত্বাইয়িবা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ পড়ানো উচিত (মুসলিম হা/৯১৭ (২); মিশকাত হা/১৬১৬)। যাতে সে দ্রুত মুখস্থ বা স্মরণ করে নেয়। তাওহীদের স্বীকৃতিবাচক এই কালেমাই তাকে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারে। কেননা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য হবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত), সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’(আবুদাঊদ হা/৩১১৬; মিশকাত হা/১৬২১)। জমহূর বিদ্বানগণ কেবল লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ পড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। কেননা হাদীছে কেবল এতটুকুই এসেছে (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২৫৬)।
উল্লেখ্য যে, তালক্বীনের অর্থ কেবল কালেমা শুনানো নয়। বরং তাকে কালেমা পড়ানোর চেষ্টা করা (আহমাদ হা/১২৮৯৯, সনদ ছহীহ; তালখীছ ১১ পৃঃ)। কিন্তু কালেমা পড়ানোর জন্য চাপাচাপি করা উচিত নয়। তাতে মুখ দিয়ে বেফাস কথা বের হয়ে যেতে পারে। একবার বলানোর পরে দ্বিতীয়বার চেষ্টা না করা উচিত। যাতে এই কালেমাই তার শেষ বাক্য হয়। আর মাইয়েতের শিয়রে বসে সূরা ইয়াসীন পাঠ করার হাদীছটি যঈফ (আহমাদ হা/২০৩১৬; আবুদাঊদ হা/৩১২১; ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৬২২)।