ভূমিকা :পুঁজিবাদকে যদিও আমরা অর্থব্যবস্থা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করি কিন্তু ফাংশনালী এটি একটি দ্বীন। ব্যক্তি থেকে সমাজ কিংবা ওয়াশরুম থেকে রাষ্ট্র সবকিছুকে এটি প্রোগ্রামিংয়ের মতো নিয়ন্ত্রণ করে, স্বতন্ত্র নীতিমালা গড়ে দেয়। ক্রমাগত পুঁজি বৃদ্ধির প্রবণতা থেকে
ঘুষ একটি অন্যায় কাজ- একথা সকলে একবাক্যে স্বীকার করেন। অথচ দুঃখজনক যে, এটি দেশের সর্বত্র বহাল তবিয়তে চালু রয়েছে। এতে একজনের প্রাপ্তি এবং অন্যজনের ক্ষতি ও মনঃকষ্ট, মানুষে মানুষে ঘৃণা, ক্ষোভ, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা ইত্যাদি নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্য দি
মানব জাতির ঐতিহ্যগত একটি পেশা হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। পেশার বিচারে ব্যবসার গুরুত্ব সর্বাধিক। এটি একটি ইবাদতও বটে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিজে ব্যবসা করতেন এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সদস্য সহ অনেক ছাহাবী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ইসলামের প্রথম যুগে মূলত মুসলিম বণ
জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনে মানুষকে উপার্জনের নানাবিধ পথ বেছে নিতে হয়। ইসলামের দিকনির্দেশনা হ’ল হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করা। হারাম পথে উপার্জিত অর্থ-সম্পদ ভোগ করে ইবাদত-বন্দেগী করলে তা আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে না। কারণ ইবাদত কবুলের আবশ্যিক পূর্বশর্ত হ’ল
ইসলামে হালাল রূযীর গুরুত্ব অপরিসীম। রূযী হালাল ও হারাম দু’টিই হ’তে পারে। যখন কোন মানুষ অবৈধভাবে অন্যের মাল হস্তগত ও উপভোগ করে তখন তা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। যেসব জিনিসের বৈধ হওয়া পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত তা-ই হালাল। অনুরূপভ
উপক্রমণিকা :দারিদ্র্য এক নির্মম অভিশাপ। এ অভিশাপ মানুষকে কুঁরে কুঁরে খায়। সমাজ-সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে দেয়। এটা মানবতাকে পশুত্বের পর্যায়ে নামিয়ে দিতে পারে। দারিদ্রে্যর কশাঘাতে ও ক্ষুধার নির্মম যাতনায় অভাবের অনলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ন্যায়-অন্
১০. মাদকাসক্তি :মাদকাসক্তির সাথে দারিদ্রে্যর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। এর ফলে জনগণের একটি বিরাট অংশ অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার পরিবর্তে পিছনের দিকে টেনে ধরছে। এতে দরিদ্রের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। মাদকাসক্তি ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক দিককে ক্রমঅবনতির দিকে ন
বর্তমান বিশ্বে পুঁজিবাদী বা ধনতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক বা নির্দেশমূলক এবং মিশ্রঅর্থনীতি দেশের উৎপাদন, বণ্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করেছে। প্রচলিত অর্থব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হ’ল- দারিদ্র্য বিমোচনপূর্বক সর্বাধিক আর্থ-সামাজিক কল্যাণ
[শেখ ছালেহ কামেল ১৯৪১ সালে মক্কা নগরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সঊদী আরবের বিখ্যাত আল-বারাকা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী। রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদ থেকে গ্রাজুয়েট শেখ ছালেহ কামেল কর্মজীবনে দীর্ঘদিন যাবৎ সঊদী সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে বি
ভাই ও বোনেরা!পরিসংখ্যান ও চাক্ষুষ অভিজ্ঞতায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, অধিকাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী ও সম্প্রদায় এবং সংখ্যালঘুরা দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। ত্রাণ ও দাতব্য সংস্থাসমূহ কিংবা প্রচলিত জীবনধারণ প্রকল্পসমূহ এই দুঃখজনক পরিস্থিতির পরিবর্তনে
ইসলাম একটি শাশ্বত, সার্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ জীনব ব্যবস্থা। সৃষ্টি জগতে এমন কোন দিক ও বিভাগ নেই, যেখানে ইসলাম নিখুঁত ও স্বচ্ছ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেনি। মহান আল্লাহ বলেন, مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَابِ مِنْ شَيْءٍ ‘আমরা এ কিতাবে কোন কিছুই অবর্ণিত রাখিনি’
পরিমাপে কম-বেশী করা নিষিদ্ধ :পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রেতাকে পরিমাপে কম দেয়া কিংবা মেপে নেয়ার সময় বেশী নেয়াকে ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। কুরআন-হাদীছে এহেন কর্মকে অত্যন্ত নিন্দনীয় ও পরকালীন দুর্ভোগের কারণ বলা হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَيْلٌ لِّلْم
ক্ষমা, রহমত ও মুক্তির অনন্য বার্তা নিয়ে শ্রেষ্ঠ মাস রামাযান আমাদের নিকটে প্রায় সমাগত। প্রত্যেক মুমিনের হৃদয় এই মহা সম্মানিত মাসের অপেক্ষায় সদা উদগ্রিব থাকে। রামাযানে আল্লাহর রহমত, ক্ষমা ও নাজাতের জন্য আমাদের উচিত এই মাসকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন ক
ভূমিকা :ইসলামী অর্থব্যবস্থা স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত। যা মানুষকে সৎ পথে জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য পথনির্দেশ করে। এ অর্থ ব্যবস্থায় সম্পদের মালিকানা একমাত্র আল্লাহর। মানুষ তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে সম্পদের আমানতদার। এক্ষেত্রে সম্পদ উপার্জন, উৎপাদন ও
ভূমিকা :খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল প্রদান করা হারাম। ১৯৬০ সালে উপমহাদেশের প্রাচীনতম দৈনিক ‘আজাদ’-এর ‘হুশিয়ারী’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, ‘খাদ্যে ভেজাল মিশান শুধু অপরাধই নহে, ইহা পাপ বলিয়াও আমাদের মনে হয়। বাহিরের দুশমন অপ
মজুদদারী হারাম হওয়ার শর্ত সমূহ :মজুদদারী হারাম হওয়ার জন্য ফকীহগণ কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করেছেন। যথাঃ-১. মজুদকৃত বস্ত্ত মজুদকারী ও তার পরিবারের এক বছরের প্রয়োজন পূরণের অতিরিক্ত হতে হবে। কারণ এক বছরের জন্য কোন ব্যক্তি তার ও তার পরিবারের প্রয়োজন পূরণে
ভূমিকা :অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অন্তঃসারশূন্য ও বরবাদ করার জন্য যত প্রকার অর্থনৈতিক দুর্নীতি আছে তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল মজুদদারী। মজুদদারির প্রভাবে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী হয়। এতে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয় এবং জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে ন
পর্ব ১ [দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ] :৯. পণ্যের স্বল্পতা : অনেক সময় পণ্যের স্বল্পতা বা কতিপয় নাগরিকের পণ্য মজুদের প্রবণতার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। সম্পদশালী ব্যক্তিরা বাজারে আসে এবং পণ্য ক্রয় করে জমা করে রাখে। এদিকে বাজারে পণ্যের স
ভূমিকা :দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির পদতলে জনজীবন পিষ্ট। দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে তো ছুটছেই। এর মুখে লাগাম দেয়া যাচ্ছে না। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে দৈনন্দিন পারিবারিক চাহিদা মেটাতে পরিবার প্রধানদের উঠছে নাভিশ্বাস। ‘কনজ্যুমা
ভূমিকা :মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের সদস্যরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। কোন ব্যক্তির একার পক্ষে তার প্রয়োজনীয় যাবতীয় দ্রব্য-সামগ্রী সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। এজন্যই আল্লাহ তা‘আলা তাদের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় তথা ব্যবসার মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় ও মুনাফা লাভের বি
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।ঘুষ ও দুর্নীতির কারণ ও প্রতিকার :একক কোন কারণে দুর্নীতি হয় না। দুর্নীতির বহুবিদ কারণ রয়েছে এবং এর প্রতিকারেরও বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যেমন-১. জবাবদিহিতার অনুভূতির অভাব : ঘুষ ও দুর্নীতির প্রধান ও মুখ্য কারণ হ’ল জবাবদিহিতা
পর্ব ১ । পর্ব ২ ।উপক্রমণিকা :দুর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষবাষ্পের ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে। দেশ ও জাতির উন্নতি-অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার প্রধান অন্তরায় হ’ল দুর্নীতি। এমন কোন সেক্টর নেই যা দুর্নীতির হিংস্র থাবায় আক্রান্ত হয়নি। এক কথায় বলতে
ভূমিকা : আল্লাহ মানুষের জীবন ধারণের জন্য রিযিক বা জীবিকা দান করে থাকেন। এটার ভোগ-ব্যবহারের অধিকার মানুষকে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ সীমাহীন। এর প্রতি তাদের ভালবাসা ও আকর্ষণ অত্যধিক। আল্লাহ বলেন,زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّه
হালাল জীবিকা মুমিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। শারীরিক ও আর্থিক সকল প্রকার ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য পূর্বশর্ত হ’ল হালাল জীবিকা। হালালকে গ্রহণ ও হারামকে বর্জনের মধ্যেই রয়েছে মুমিনের দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা। আলোচ্য প্রবন্ধে এ বিষয়ে আলোচনার প্র
উপক্রমণিকা :সমাজতন্ত্র ও পুঁজিবাদ অর্থনৈতিক অভিশাপ। সমাজতন্ত্র স্বাধীন মানুষকে পরাধীন, যান্ত্রিক ও ইতর বস্ত্ততে পরিণত করে। পক্ষান্তরে পুঁজিবাদী অর্থনীতি মানুষকে বল্গাহীন স্বাধীন, নিপীড়ক, স্বার্থপর ও স্বেচ্ছাচারী করে তুলে। আর ইসলামী অর্থনীতি এই