উত্তর : পিতা-মাতা
সন্তানের নিকট সমান অধিকার রাখেন। যদিও সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে মায়ের
অগ্রাধিকার রয়েছে। এক্ষণে মায়ের প্রতি পিতার অসদাচরণের ক্ষেত্রে সন্তানের
দায়িত্ব হ’ল নিরপেক্ষভাবে উভয়কে তাদের ভুলের ব্যাপারে সচেতন করা এবং
সাধ্যমত মীমাংসার চেষ্টা করা। প্রয়োজনে নানা-দাদা তথা উর্ধ্বতন অভিভাবককে
অবহিত করে তাদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ!
তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হিসাবে, যদিও
সেটি তোমাদের নিজেদের কিংবা তোমাদের পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে
যায়’ (নিসা ৪/১৩৫)।
এক্ষণে তাদের মাঝে মীমাংসা করে দেওয়া তাদের প্রতি সদাচরণের অংশ। আর মীমাংসা করে দেওয়ার কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি না করলে পিতা-মাতার মাঝে বিচ্ছেদ ঘটতে পারে, যা সন্তানের জীবনের জন্য বড়ই বেদনাদায়ক। রাসূল (ছাঃ) মীমাংসা করার গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদেরকে (নফল) ছিয়াম, ছালাত ও ছাদাক্বা অপেক্ষাও উত্তম আমলের কথা বলব না? ছাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই। তিনি বললেন, বিবদমান দু’ব্যক্তির মাঝে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। কেননা পরস্পর সম্পর্ক বিনষ্ট করা হ’ল দ্বীন ধ্বংসকারী বিষয় (তিরমিযী হা/২৫০৯; মিশকাত হা/৫০৩৮; ছহীহুত তারগীব হা/২৮১৪)। সর্বোপরি তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহর নিকটে বেশী বেশী দো‘আ করতে হবে এবং ধৈর্যধারণ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : ফারিয়া ইসলাম, উত্তরা, ঢাকা।