উত্তর : বিতর ছালাতে দো‘আয়ে কুনূত রুকূর পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই পড়া যায় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৯; ইবনু মাজাহ হা/১১৮৩-৮৪; মিশকাত হা/১২৯৪; মির‘আত ৪/২৮৬-৮৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৪৭ পৃঃ)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যখন কারো বিরুদ্ধে বা কারো পক্ষে দো‘আ করতেন, তখন রুকূর পরে কুনূত পড়তেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৮৮)। ইমাম বায়হাক্বী বলেন, রুকূর পরে কুনূতের রাবীগণ সংখ্যায় অধিক ও অধিকতর স্মৃতি সম্পন্ন এবং এর উপরেই খুলাফায়ে রাশেদীন আমল করেছেন (বায়হাক্বী ২/২১১-১২; মির‘আত ৪/৩০০; তুহফাতুল আহওয়াযী ২/৫৬৭)। এসময় হাত তোলা সম্পর্কে ছাহাবীগণ থেকে কিছু আছার পাওয়া যায় (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১৬৬ পৃঃ)। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, বিতরের কুনূত হবে রুকূর পরে এবং এ সময় হাত উঠিয়ে দো‘আ করবে (তুহফাতুল আহওয়াযী, মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪১৭-২১)। ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) বলেন, বিতরের কুনূতের সময় দু’হাতের তালু আসমানের দিকে বুক বরাবর উঁচু থাকবে। ইমাম ত্বাহাবী ও ইমাম কারখীও এটাকে পসন্দ করেছেন (মির‘আত ২/২১৯; ঐ, ৪/৩০০ পৃঃ)।