উত্তর
: এমন একটি বিষয় নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট করার যাবে না। বরং এমতাবস্থায় ধৈর্য
ধারণ করতে হবে এবং সম্পর্ক বজায় রেখে আসল পিতা-মাতার পরিচয় জানার চেষ্টা
করবে। কারণ শ্বশুর পরিবার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিচয় গোপন রাখেন, তাহ’লে তারা
গুনাহগার হবেন। কেননা একারণে পালক সন্তান অন্যকে পিতা-মাতা সাব্যস্ত করার
অপরাধে অপরাধী হতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে অন্যকে
পিতা-মাতা বলে, তার জন্য জান্নাত হারাম’ (বুখারী হা/৪৩২৬; মুসলিম হা/৬৩; মিশকাত হা/৩৩১৪)।
স্মর্তব্য যে, এক্ষেত্রে পরিচয় প্রকাশে অনীহার কারণ এমনটাও হতে পারে যে, উক্ত সন্তান অজ্ঞাত স্থান থেকে পাওয়া। ফলে পরিচয় পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। অতএব সর্বাবস্থায় ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে এবং লালন-পালনকারীদের সাথে যথাসম্ভব সুন্দর আচরণ করতে হবে।
প্রশ্নকারী : আনীসুর রহমান, ঢাকা।