উত্তর : ঈদায়নের খুৎবা ১টি। দুই খুৎবার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই, বরং যা আছে তা যঈফ ও মুনকার (ইবনু মাজাহ হা/১২৮৯, মাজমূ‘ যাওয়ায়েদ হা/৩২৩৯, বিঃদ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৭৮৯)। এ সম্পর্কে ছহীহ বর্ণনা হ’ল, ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদগাহে বের হ’লেন এবং সর্বপ্রথম ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর খুৎবা দিলেন। তারপর তিনি মহিলাদের কাছে আসলেন, তাদেরকে ওয়ায-নছীহত করলেন এবং দান-খয়রাত করার নির্দেশ দিলেন... (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪২৯, ‘ঈদায়নের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি ঈদের দিনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখলাম যে, তিনি আযান ও ইক্বামত ছাড়াই খুৎবার পূর্বে ছালাত আরম্ভ করলেন। যখন তিনি ছালাত শেষ করলেন তখন বেলালের গায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করলেন এবং লোকদের উপদেশ দিলেন, পরকালের কথা স্মরণ করালেন এবং আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করলেন। অতঃপর মহিলাদের দিকে অগ্রসর হ’লেন। এমতাবস্থায় তাঁর সাথে বেলাল ছিলেন। তাদেরকে আল্লাহভীতির উপদেশ দিলেন এবং আখেরাতের কথা স্মরণ করালেন (নাসাঈ, মিশকাত হা/১৪৪৬ ‘ঈদায়নের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। উক্ত হাদীছ দু’টি থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদের খুৎবার মাঝে বসতেন না।

ইমাম বায়হাক্বী ও ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, প্রচলিত দুই খুৎবার নিয়মটি মূলতঃ জুম‘আর দুই খুৎবার উপরে ক্বিয়াস করেই চালু হয়েছে। খুৎবা শেষে বসে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার রেওয়াজটিও হাদীছ সম্মত নয়। বরং এটাই প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদায়নের ছালাত শেষে দাঁড়িয়ে কেবলমাত্র একটি খুৎবা দিয়েছেন। যার মধ্যে আদেশ-নিষেধ, উপদেশ, দো‘আ সবই ছিল (বায়হাক্বী ৩/২৯৯ পৃঃ মির‘আত ২/৩৩০-৩৩১; ৫/৩১)

উল্লেখ্য, যারা ঈদায়নের দু’টি খুৎবা সমর্থন করেন, তারা মূলত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন। যেমন সিমাক (রাঃ) বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন? তিনি বলেন, তিনি দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন। তারপর অল্প বসতেন, অতঃপর পুনরায় দাঁড়াতেন (নাসাঈ হা/১৫৮৩-৮৪, ১৪১৮)। অত্র হাদীছে দু’খুৎবার মাঝে বসা প্রমাণিত হয়। কিন্তু সেটি জুম‘আর খুৎবা না ঈদের খুৎবা তা প্রমাণিত হয় না। উপরন্তু জাবির (রাঃ) বর্ণিত অন্য হাদীছে সরাসরি জুম‘আর কথা উল্লিখিত  হয়েছে (নাসাঈ হা/১৪১৭; আবুদাঊদ হা/১০০৩)। সুতরাং এটি জুম‘আর খুৎবার সাথে সংশ্লিষ্ট।

আলবানী (রহঃ) বলেন, দু’খুৎবার মাঝে বসার বিষয়টি জুম‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট, ঈদের খুৎবায় নয়। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, দু’খুৎবার মাঝে বসার বিষয়টি জুম‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট। উল্লেখ্য যে, ঈদের দু’খুৎবার মাঝে বসার প্রমাণে যত হাদীছ আছে সবই যঈফ (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩৮২ পৃঃ)। অতএব ঈদায়নের জন্য একটি খুৎবাই সুন্নাত।






প্রশ্ন (১৬/১৬) : কুরআন মাজীদের আয়াত মোবাইলের রিংটোন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩২/১৫২) : দিগন্ত টেলিভিশনে জনৈক আলেম বলেন, ঈদের তাকবীর ১২ এবং ৬ উভয়ের পক্ষে ছহীহ হাদীছ আছে। সুতরাং যেকোন একটি আদায় করলেই হবে? উক্ত কথা কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) পড়াশুনার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষাবৃত্তি অথবা শিক্ষাঋণ গ্রহণ করা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : যে ব্যক্তির জীবনের প্রথম ও শেষ বাক্য ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ হবে তাকে কোন পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে না। যদিও সে পৃথিবীতে এক হাযার বছর বসবাস করে। উক্ত হাদীছের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : কোন বিজ্ঞ আলেমের নামের পূর্বে ‘আল্লামা’ শব্দ ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৯/৯) : স্বীয় আত্মাকে পাপ কাজে প্ররোচিত হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৩/২৩) : আমার মৃত পিতা শিরক ও কুফরীর মধ্যে নিমজ্জিত ছিলেন। এমনকি তিনি ঈদের ছালাতও আদায় করতেন না। তার জন্য দো‘আ করা যাবে কি? যদি করা না যায় সেক্ষেত্রে কেবল মায়ের জন্য দো‘আ করার পৃথক কোন দো‘আ আছে কি?
প্রশ্ন (৩০/৩০) : ছালাতের সকল দো‘আ আরবী ভাষায় পড়তে হবে, মাতৃভাষায় পড়লে ছালাত কবুলযোগ্য হবে না- একথা সঠিক কি? এর পিছনে দলীল কি? - -জাহিদ আলী, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : জনৈক মেয়ে বিয়ের তিনদিনের মাথায় ‘খোলা‘ করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাদের মধ্যে কোন নির্জনবাস হয়নি। এক্ষণে ঐ মেয়েকে কতদিন ইদ্দত পালন করতে হবে? - -আতাউর রহমান, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : মনে মনে কুরআন তেলাওয়াত করলে নেকী পাওয়া যাবে কি? - -বিলাল হোসাইন, ওয়ারী, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৭/২১৭) : মহিলারা সর্বোচ্চ কত বছর বয়সের বালকের সাথে বিনা পর্দায় দেখা করতে পারবে?
প্রশ্ন (১৪/৩৭৪) : বিতর ছালাতের সঠিক পদ্ধতি কী? উক্ত ছালাত কত রাক‘আত পড়া যায়?
আরও
আরও
.