উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘বিতর ছালাত আবশ্যিক (حق)। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে ৫ রাক‘আত পড়ুক, যে ইচ্ছা করে ৩ রাক‘আত পড়ুক, যে ইচ্ছা করে ১ রাক‘আত পড়ুক’ (ইবনু মাজাহ, দারাকুৎনী হা/১৬২৫, সনদ ছহীহ)। এক্ষণে বিতর কিভাবে পড়বে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হ’লে ইমাম আহমাদ বলেন, বর্ণিত কোনটাতেই সমস্যা নেই। তবে আমি পসন্দ করি প্রতি দু’রাক‘আত অন্তর সালাম ফিরিয়ে শেষে এক রাক‘আত বিতর পড়া। আর স্রেফ এক রাক‘আত বিতর পড়া উচিত নয়, যতক্ষণ না তার পূর্বে কোন নফল ছালাত থাকে (এটা কেবল ফজরের পরে পড়া যায়, যখন বিতর ক্বাযা হয়)। তিনি বলেন, যদি কেউ তিন রাক‘আত একটানা পড়ে, তাতে আমার অন্তরে কোন সংকোচ আসে না। তবে আমার কাছে পসন্দনীয় হ’ল দু’রাক‘আত পর সালাম ফিরানো। কেননা এ বিষয়ে হাদীছগুলি সংখ্যায় অধিক এবং অধিক শক্তিশালী’ (মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪৪১-৪২; মুগনী ২/৭৮২-৮৪; যাদুল মা‘আদ ১/৩১৯-২০)। তবে ক্বাযী আয়ায বলেন, পূর্বে নফল ছাড়াই কেবল এক রাক‘আত বিতর পড়া মকরূহ নয়। কেননা হাদীছে স্রেফ এক রাক‘আত বিতরের কথা এসেছে (মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪৪২, টীকা-২, ২/৩১৫ পৃঃ)

তিন রাক‘আত বিতর ছালাতের ক্ষেত্রে দুই রাক‘আত পড়ার পর সালাম ফিরিয়ে অতঃপর এক রাক‘আত পড়বে (আলবানী, ছালাতুত তারাবীহ, পৃঃ ১০৩-৫)। উল্লেখ্য যে, একটানা তিন রাক‘আত পড়ার হাদীছ নির্ভরযোগ্য নয়। তাতে ত্রুটি রয়েছে (ইরওয়া হা/৪২১-এর আলোচনা দ্রঃ)। মাঝে বৈঠক করে মাগরিবের ন্যায় তিন রাক‘আত বিতর পড়তে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (দারাকুৎনী হা/১৬৩৪, সনদ ছহীহ)। সুতরাং বিতর এক রাক‘আত পড়তেই হবে। অথচ হানাফী মাযহাবে এক রাক‘আত বিতর ছালাতকে ছালাত হিসাবেই গণ্য করা হয়নি। যা ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী। অতএব উত্তম হ’ল তিন রাক‘আত বিতর দুই সালামে পড়া। এতে কোন মতভেদ নেই। (মুসলিম শরহ নববী ‘বিতর’ অধ্যায়)






প্রশ্নঃ (১৫/১৫) : কাদিয়ানী মতবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন?
প্রশ্ন (৬/১২৬) : আমি ইটভাটায় কাঁচা ইট সাজানোর কাজ করি। এক এক ভাগে ইট ধরে ১৮৮০০। কিন্তু আমাদের যারা হেড তারা ম্যানেজার ও কোম্পানীকে ধোঁকা দিয়ে ২০ হাযার ইটের টাকা নেয়। এই টাকার ভাগ আমিও পাই। বিগত বছরেও এরকম টাকা আমি নিয়েছি। এখন আমি অনুতপ্ত। কিভাবে এই অপরাধ থেকে মুক্ত হ’তে পারি?
প্রশ্ন (৩৪/১১৪) : ঘুমানোর আগে ২১ বার বিসমিল্লাহ পড়ে ঘুমালে আল্লাহ ফেরেশতাদের বলেন, ঐ ব্যক্তির প্রতিটি নিঃশ্বাসে নেকী লেখা হৌক। সত্যতা জানতে চাই। - -আহমাদ আলী, মীরগড়, পঞ্চগড়।
প্রশ্ন (২৭/৩০৭) : দু’জন মুসলিম ছেলে-মেয়ে পরস্পরকে গভীরভাবে ভালবাসতো। পরে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এক্ষণে তারা কি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে?
প্রশ্ন (১৭/৫৭) : আমাদের এলাকায় পুরাতন মসজিদ ভেঙ্গে নীচতলায় মার্কেট ও ওপর তলায় মসজিদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা সঠিক হয়েছে কি? - -মাহদী হাসান, কানসাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : ছালাতরত অবস্থায় মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নাম শুনলে ‘ছাল্লাল্লাহু ‘আলাইহে ওয়া সাল্লাম’ বলতে হবে কি?
প্রশ্ন (১/১) : ছালাতে কাতার সোজা করা এবং কাতারের ধারাবাহিকতা তথা ইত্তিছালুছ ছফূফ বজায় রাখার বিধান ও হুকুম সম্পর্কে জানতে চাই। - .
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : সতীসাধ্বী স্ত্রী পাওয়ার জন্য বিশেষ কোন দো‘আ আছে কী?
প্রশ্ন (৪০/৪০) : আমরা জানি চুলে কালো কলপ দেয়া নিষিদ্ধ। কিন্তু ১০/১২ বছরের ছেলে-মেয়ের যদি জেনেটিক কারণে চুলে পাক ধরে তাহলে কি কালো কলপ দেয়া যাবে?
প্রশ্ন (২৯/১৮৯) : সম্প্রতি ‘মিলাদ ও কিয়ামের অকাট্য প্রমাণ’ নামে জনৈক মুফতী একটি বই বের করেছেন। সেখানে আপনাদের প্রকাশিত ‘মীলাদ প্রসঙ্গ’ বইয়ের ও তার বিজ্ঞ লেখকের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হয়েছে। উক্ত বইয়ে কুরআন-হাদীছের মাধ্যমে মীলাদ-কিয়াম প্রমাণ করা হয়েছে। তাতে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কি?
প্রশ্ন (২/২৮২) : জনৈক আলেম বলেন, সফরকালীন এমন পরিমাণ স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করা যাবে, যা কাফনের কাপড় কেনার জন্য যথেষ্ট হয়। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৬/২৮৬) : একটি বিশেষ খাবারকে হালীম নামকরণ করা হয়ে থাকে। কোন কোন বক্তা আল্লাহর নাম হিসাবে এই শব্দটি কোন খাবারের নাম হিসাবে ব্যবহার করাকে নিষিদ্ধ মনে করেন। এটি কি সঠিক?
আরও
আরও
.