উত্তর : সূরা বাক্বারার ৬২ আয়াতে বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই মুমিন, ইহূদী, নাছারা ও ছাবেঈদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকটে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তান্বিত হবে না’। অন্যদিকে সূরা মায়েদাহ ৬৯ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই মুসলিম, ইহূদী, ছাবেঈ ও নাছারাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও ক্বিয়ামতের প্রতি বিশ্বাস পোষণ করে ও সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের জন্য কোন ভয় নেই এবং তারা কোনরূপ চিন্তান্বিত হবে না’। উক্ত আয়াতদ্বয়ের প্রকাশ্য অর্থ হ’ল যারা আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস করে তারা জান্নাতে চলে যাবে সে যে ধর্মের অনুসারী হৌক না কেন। কিন্তু কুরআনের একটি আয়াতকে আরেকটি আয়াত ব্যাখ্যা করে। প্রথমত আয়াত দু’টি সূরা আলে ইমরান ৮৫ আয়াত দ্বারা মানসূখ হয়ে গেছে। যাতে বলা হয়েছে, ‘আর যে ব্যক্তি ‘ইসলাম’ ব্যতীত অন্য কোন দ্বীন তালাশ করে, তার নিকট থেকে তা কখনোই কবুল করা হবে না এবং ঐ ব্যক্তি আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’ (আলে ইমরান ৩/৮৫ )। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ তার কসম করে বলছি, এ উম্মতের যে কেউ চাই যে ইহূদী হৌক বা খৃষ্টান হৌক, আমার আগমনবার্তা শুনেছে, অথচ আমি যে শরী‘আত নিয়ে এসেছি, তার উপরে ঈমান আনেনি, সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে’ (মুসলিম হা/১৫৩; মিশকাত হা/১০)

একদিন ওমর (রাঃ) তাওরাতের কয়েকটি পৃষ্ঠা নিয়ে পড়ছিলেন। তা দেখে নবী করীম (ছাঃ) রাগান্বিত হয়ে বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! যদি মূসাও আজ জীবিত থাকতেন, তাহ’লে আমার অনুসরণ ব্যতীত তার কোন উপায় থাকত না’ (মিশকাত হা/১৯৪, ১৭৭; ইরওয়া হা/১৫৮৯)। দ্বিতীয়তঃ আয়াতগুলো মানসূখ হিসাবে না ধরলেও এর অর্থ তাদের পক্ষে যাবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা আয়াতদ্বয়ে যেমন মুমিনদের সাফল্যের কথা বলেছেন তেমনি মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর পূর্বে যে সকল ইহূদী-নাছারারা আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস করেছেন তাদের কোন ভয় বা চিন্তা থাকবে না। আর মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর আগমনের পরে তাঁকে অমান্য করে অন্য আসমানী কিতাবে বিশ্বাস করলে তারা জান্নাতী হবে না। তৃতীয়তঃ যারা তাওরাত ও ইনযীলে বিশ্বাস করে তারা কুরআন ও শেষনবীতে বিশ্বাস আনতে বাধ্য। কারণ তাওরাত ও ইনযীলে কুরআন ও শেষনবীর প্রতি বিশ্বাস আনাকে আবশ্যিক করা হয়েছে (ইবনু কাছীর, কুরতুবী, তাফসীর উক্ত আয়াতদ্বয়)

প্রশ্নকারী : আনাস, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।







প্রশ্ন (২৭/১৪৭) : বিবাহের মোহরানা ৪ লক্ষ টাকা ছিল। বিবাহের সময় পরিশোধ করা হয়নি। এখন এর বিনিময়ে স্বামী আমাকে জমি লিখে দিতে চান। এটা সঠিক হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : আমাদের মসজিদে কয়েকজন মুরববী চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করেন। তারা ইচ্ছামত বিভিন্ন কাতারে বিভিন্ন স্থানে বসার কারণে কয়েকটি কাতারে মুছল্লীদের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট হয়। পিছনের মুছল্লীরও সিজদা দিতে সমস্যা হয়। এভাবে কাতার বিনষ্ট করে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : জনৈক ব্যক্তি তার সন্তানকে নিজের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিতে অস্বীকার করে। এমতাবস্থায় সন্তানও পিতাকে পিতা হিসাবে স্বীকার করে না। এতে সন্তান কি গুনাহগার হবে? - -কাওছার রহমান, শিকটা, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৩২/৩৫২) :এলাকায় মসজিদ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আদায়কারীর কোন বেতন নির্ধারণ না করে আদায়কৃত অর্থের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মজুরী হিসাবে নির্ধারণ করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২১/২২১) : ধর্মীয় জীবনে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলার সাথে সাথে বৈষয়িক জীবনে গণতন্ত্র বা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য সময় ও শ্রম ব্যয় করলে নিজেকে মুসলিম হিসাবে দাবী করা যাবে কি? - .
প্রশ্ন (২০/৪৬০) : মুসলিম দেশে বসবাসকারী কোন অমুসলিমকে কোন মুসলমান শরী‘আতসম্মত কারণে হত্যা করে ফেললে তার বিধান কি?
প্রশ্ন (২০/৩০০) : স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কোন একজন ছালাত আদায় না করলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের একজন কিছুদিন ছালাত আদায় করেনি। কিন্তু বর্তমানে আমরা উভয়েই ছালাত আদায় করি। এক্ষণে আমাদের নতুনভাবে বিবাহ করতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : সরকারী জমিতে জুম‘আ বা ঈদের ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -নযরুল ইসলাম, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৫/২০৫) : পবিত্র অবস্থায় তালাক দিতে চাই। কিন্তু স্ত্রী দূরে থাকায় অবস্থা জানি না। এক্ষণে করণীয় কী? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩/৮৩) : সূদখোর কি চিরস্থায়ী জাহান্নামী? - -আহসানুল্লাহ, নওহাটা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৭/১৫৭) : শ্রীলংকায় আদম্স পিক-এর চূড়ায় যে আদম (আঃ)-এর পায়ের ছাপ আছে এর কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : আমরা নিঃসন্তান দম্পতি। আমাদের একজন পালক সন্তান আছে। যার পিতা-মাতা সম্পর্কে আমরা জানি না। জন্মসনদে পিতা হিসাবে আমার নাম আছে। তার নামে আমি জমি কিনেছি। কিন্তু রেজিস্ট্রি করতে গেলে পিতার নাম লিখতে হবে। যেহেতু আসল পিতার নাম জানি না সেক্ষেত্রে আমার নাম লেখা জায়েয হবে কি? এছাড়া আমি ওয়ারিছ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের কতটুকু তার নামে লিখে দিতে পারব?
আরও
আরও
.