উত্তর :
যে কোন অবস্থায় গুজবে কান দিয়ে বা স্রেফ ধারণার ভিত্তিতে কোন অপপ্রচার বা
অনাকাঙ্ক্ষিত কর্ম করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, কোন ব্যক্তির মিথ্যাবাদী
হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা শোনে তা-ই প্রচার করে (মুসলিম হা/৫; মিশকাত হা/১৫৬)। আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা অধিক অনুমান বা ধারণা থেকে দূরে থাক। কারণ কোন কোন অনুমান পাপ (হুজুরাত ৪৯/১২)।
তিনি আরও বলেন, আর তাদের অধিকাংশ কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করে, সত্যের
পরিবর্তে অনুমান তো কোন কাজে আসে না, তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে
সবিশেষ অবগত (ইউনুস ১০/৩৬)। এক্ষণে গুজবের পিছনে ছোটার পরিণাম এবং
গুজব প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সূরা হুজুরাতের ৬ আয়াতে আল্লাহ
সুস্পষ্টভাবে বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! যদি কোন ফাসেক ব্যক্তি তোমাদের নিকট কোন
খবর নিয়ে আসে, তাহ’লে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে; যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা
কোন সম্প্রদায়কে আঘাত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা হ’ল সবচেয়ে বড়
মিথ্যা সংবাদ (বুখারী হা/৬০৬৪; মুসলিম হা/২৫৬৩; মিশকাত হা/৫০২৮)।
অতএব গুজব প্রচার থেকে যেমন বিরত থাকা কর্তব্য, তেমনি গুজবের ভিত্তিতে কোন
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ। অতএব যারা গুজব রটায় ও গুজব শুনে কাজ করে
তারা উভয়ে পাপী। তওবা না করা পর্যন্ত তারা আল্লাহর নিকট ক্ষমা পাবে না।