উত্তর : উক্ত মর্মে কোন চিকিৎসা কুরআন বা হাদীছে পাওয়া যায় না। তবে সেটি বিপজ্জনক সময় হিসাবে ঐ সময় দো‘আ কবুল হয় (নমল ২৭/৬২)। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা কুরআন নাযিল করি, যা বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও রহমত স্বরূপ’ (ইসরা ১৭/৮২)। এক্ষণে কুরআনের কোন আয়াত বা সূরা পাঠের মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারীতে সহায়ক হওয়ার ব্যাপারে কোন বিদ্বানের অভিজ্ঞতা থাকলে তা করা যেতে পারে। কারণ তা মৌলিকভাবে জায়েয। যেমন শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম, বিন বায ও উছায়মীনসহ একদল বিদ্বান বলেন, সহজিকরণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত আয়াতসমূহ যেমন বাক্বারাহ ১৮৫, ফুছ্ছিলাত ৪৭; যিলযাল ১-৩, রা‘দ ৮ ইত্যাদি আয়াত পাঠ করে সন্তানসম্ভবা নারীকে ফুঁক দিলে বা আয়াত লিখে পানিতে ভিজিয়ে উক্ত পানি পান করালে এবং শরীরে ছিটিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়। এটা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত। তবে তা শারঈ কোন আমলবিশেষ নয় (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৪/৩২৭; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৪/০২, আল-লিকাউশ শাহরী ৩৭/২৬; শায়খ বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)।
প্রশ্নকারী : আসাদুয্যামান, সিরাজগঞ্জ।