
উত্তর :
খতম তারাবীহ বলে কোন কিছু শরী‘আতে নেই। বরং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,
‘তোমাদের কোন ব্যক্তি ইমামতি করলে সে যেন ছালাত সংক্ষিপ্ত করে। কারণ
জামা‘আতে অনেক অসুস্থ, দুর্বল ও বৃদ্ধ মানুষ থাকেন। তবে কোন ব্যক্তি একা
ছালাত আদায় করলে ইচ্ছামত ছালাত দীর্ঘায়িত করতে পারে’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৩১ ‘ইমামের কর্তব্য’ অনুচ্ছেদ)।
উল্লেখ্য যে, ক্বিরাআত দীর্ঘ হৌক বা সংক্ষিপ্ত হৌক ছালাতে খুশূ-খুযূই হ’ল
প্রধান বিষয়। আজকাল খতম তারাবীহর ভয়ে অনেকে তারাবীহর জামা‘আতেই আসেন না।
তাছাড়া ছালাত সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে হাফেযগণ ক্বিরাআত এমন দ্রুত পড়েন, যা
কুরআনের অবমাননার শামিল। মুছল্লীরা যা বুঝতে সক্ষম হয় না। অথচ আল্লাহ
বলেছেন, যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ দিয়ে শোন ও চুপ থাক’ (আ‘রাফ ২০৪)।
ইবনুল ‘আরাবী বলেন, আমি ২৮ জন ইমামকে দেখেছি যারা রামাযান মাসে তারাবীহতে স্রেফ সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাছ দিয়ে তারাবীহ শেষ করেছেন মুছল্লীদের উপর হালকা করার জন্য এবং সূরা ইখলাছের ফযীলতের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য। কেননা রামাযানে তারাবীহতে কুরআন খতম করা সুন্নাত নয়’ (কুরতুবী, তাফসীর সূরা ইখলাছ)।
অতএব মুছল্লীদের আগ্রহ বুঝে হাফেয ছাহেবগণ তারাবীহর কিরাআত দীর্ঘ অথবা সংক্ষিপ্ত করবেন। কোন অবস্থাতেই খতম তারাবীহতে বাধ্য করা বা একে অধিক ছওয়াবের কাজ মনে করা যাবে না। কারণ এটি সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগে এর কোন প্রচলন ছিল না।