উত্তর : এক্ষেত্রে চারটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে যেগুলো ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। উক্ত হাদীছগুলোতে দিন-রাতের কোন পার্থক্য করা হয়নি।
১. সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার ও লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর ১ বার মিলে ১০০ বার (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৬, ৯৬৭)। তবে তিনটিই ৩৩ বার করে মোট ৯৯ বারও পাঠ করা যায়’ (বুখারী হা/৮৪৩; মুসলিম হা/৫৯৫)।
২. উপরোক্ত নিয়মের সাথে আল্লাহু আকবার ৩৪ বার বলে ১০০ পূর্ণ করবে (মুসলিম হা/৫৯৬; মিশকাত হা/৯৬৬; ছহীহাহ হা/১০২; ছহীহুত তারগীব হা/১৫৯৩)।
৩. সুবহানাল্লাহ ২৫ বার, আলহামদুলিল্লাহ ২৫ বার, আল্লাহু আকবার ২৫ বার ও লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ ২৫ বার মিলে ১০০ বার (আহমাদ হা/২১৬৪০; নাসাঈ হা/১৩৫০; মিশকাত হা/৯৭৩; ছহীহাহ হা/১০১)।
৪. সুবহানাল্লাহ ১০ বার, আলহামদুলিল্লাহ ১০ বার, আল্লাহু আকবার ১০ বার মিলে ৩০ বার হ’লেও মীযানে তা অনেক ভারী’ (বুখারী হা/৬৩২৯; মিশকাত হা/৯৬৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘কোন মুসলিম ব্যক্তি দু’টি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেই দু’টি অভ্যাস আয়ত্ত করাও সহজ, কিন্তু এ দু’টি অনুশীলনকারীর সংখ্যা কম। প্রতি ওয়াক্ত ছালাতের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আল্লাহু আকবার এবং দশবার আলহামদুলিল্লাহ বলা। তা মুখে পড়লে হয় (পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতে) একশত পঞ্চাশ এবং মীযানে হয় এক হাযার পাঁচশত’ (আবুদাউদ হা/৫০৬৫; তিরমিযী হা/৩৪১০; মিশকাত হা/২৩০৬; ছহীহুত তারগীব হা/৬০৬, ১৫৯৪)। অতএব উপরোক্ত চারটি পদ্ধতির যেকোন একটির উপর আমল করা যাবে।