উত্তর : আয়াতটির অনুবাদ : ‘হে নবী! আমরা তোমার জন্য হালাল করেছি ঐসব স্ত্রীদের, যাদেরকে তুমি মোহর দিয়েছ এবং ঐসব দাসীদের, যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য গণীমত হিসাবে প্রদান করেছেন। আর তোমার চাচাতো বোন, ফুফাতো বোন, মামাতো বোন ও খালাতো বোনকে, যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে। আর ঐ মুমিন নারীকে, যে নিজেকে নবীর জন্য পেশ করে, যদি নবী তাকে বিয়ে করতে চান। এটি কেবল তোমার জন্য খাছ, অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যা আমরা তাদের জন্য নির্ধারিত করেছি (অনধিক চারজন) স্ত্রী ও মালিকানাধীন দাসীগণ। আর তোমার জন্য বিশেষ সুযোগ দিয়েছি, যাতে তোমার কোন সংকোচ না থাকে’ (আহযাব ৩৩/৫০)

অত্র আয়াতে বিবাহের ক্ষেত্রে নবী (ছাঃ)-এর জন্য কি কি বৈধ করা হয়েছে তার বিবরণ এসেছে। যেমন (১) মোহরানা প্রদান সাপেক্ষে কোন মুমিনা নারীকে বিবাহ করা। (২) চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো বোন তাঁর জন্য হালাল, যদি তারা মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করে থাকে। হিজরতের এ শর্ত অন্য মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, এক্ষেত্রে নাছারা ও ইহূদীরা (আত্মীয়দের সাথে বিবাহের ক্ষেত্রে) যে বাড়াবাড়ি করে থাকে তার মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। কেননা নাছারারা এমন নারীকে বিয়ে করে না, যার মধ্যে সাত বা তার অধিক দাদার স্তর না থাকে। অন্যদিকে ইহূদীরা নিজের ভাই ও বোনের মেয়েকে বিয়ে করার মত নিকৃষ্ট কাজ করে। ইসলামী শরী‘আত উভয় সম্প্রদায়ের বাড়াবাড়ির মধ্যবর্তী পথ গ্রহণ করেছে এবং চাচাতো, ফুফাতো এবং মামাতো ও খালাতো বোনকে বিবাহের বৈধতা দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ)-এর স্ত্রীগণের মধ্যে তাঁর চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো বা খালাতো বোনদের মধ্যে কেউ ছিলেন না। (৩) যে মুমিনা নারী নিজেকে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্য পেশ করে, তাকে বিনা মোহরে, বিনা ওলীতে ও বিনা সাক্ষীতে তিনি বিয়ে করতে পারেন, যদি তিনি চান। এটি ছিল তাঁর জন্য খাছ। অন্যদের জন্য নয়। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এরূপ কোন নারী রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট ছিল না (ইবনু কাছীর, অত্র আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য)। আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে যে, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জানি, যা আমরা তাদের জন্য নির্ধারিত করেছি’। এর অর্থ আমরা অন্য মুসলমানদের জন্য একত্রে সর্বোচ্চ চারজন স্বাধীনা স্ত্রী রাখার যে বিধান দিয়েছি এবং তার মালিকানাধীন দাসী, যতজনকে তারা চায় (ইবনু কাছীর; নিসা ৪/৩)। অর্থাৎ মোহর, ওলী ও সাক্ষীসহ চারের অধিক মুমিনা নারীকে বিবাহ করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ (কুরতুবী, ইবনু কাছীর)। তবে এসকল শর্ত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

সুতরাং প্রশ্নমতে অত্র আয়াতে এমন কিছু বলা হয়নি যে, চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো ও খালাতো বোন কেবল রাসূলের জন্য হালাল এবং অন্যদের জন্য হারাম। বরং এখান থেকে উদ্দেশ্য হ’ল, কোন নারী যদি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট নিজেকে সোপর্দ করে, তাহ’লে তাদের স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করায় তাঁর জন্য বাধা নেই। সেটি চারের অধিকও হ’তে পারে। কিন্তু মুমিনরা একাজ করতে পারবে না। তাদেরকে চারটির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আর এই সংখ্যায় সীমাবদ্ধ থেকে চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো বোনদেরকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য জায়েয।






প্রশ্ন (৯/২০৯) : জুতা-স্যান্ডেল পরে জানাযার ছালাত আদায় করা ও কবরে মাটি দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : দাঁড়িয়ে, মাজা হেলিয়ে এবং খালি গায়ে ওযূ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : অনেক আলেম বলেন, স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন করা স্বামীর দায়িত্ব নয় এবং একাধিক স্ত্রী থাকলে কেবলমাত্র ভরণপোষণ ও রাত্রিযাপনের ক্ষেত্রে ইনছাফ করতে হবে। অন্য ক্ষেত্রে নয়। যেমন কারো কাছে দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করা, কাউকে বেশী বেশী ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া এসব ক্ষেত্রে ইনছাফ করার প্রয়োজন নেই। উক্ত বক্তব্য সঠিক কি?
প্রশ্ন (৯/২৪৯) : কাউকে রক্ত দিতে গেলে মেডিকেল থেকে জুস, বিস্কুট দেওয়া হয়। আবার রক্ত গ্রহীতার আত্মীয়-স্বজনরা ডাব বা হোটেলে ভালো কিছু খাওয়ায়। এগুলো গ্রহণ করা কি রক্ত বিক্রয়ের শামিল?
প্রশ্ন (১২/৯২) : তিনটি মসজিদ ব্যতীত আর কোন মসজিদে নেকীর উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করা হারাম। কিন্তু মসজিদে ক্বোবায় গেলে ওমরাহ করার সমান নেকী পাওয়া যায়। এখন কেউ যদি মসজিদে ক্বোবায় নেকীর উদ্দেশ্যে গমন করে তাহ’লে কি সেটা হারাম কাজ হবে? - -ওবায়দুল্লাহ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১১/৯১) : একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার সময় কিভাবে ছালাত আদায় করবে? ২ টা হতে পরীক্ষা শুরু হলে বাসায় এসে আছর ছালাত আদায় করার সময় থাকে না। এ অবস্থায় করণীয় কী?
প্রশ্ন (৩১/৪৭১) : জুম‘আ মসজিদ ব্যতীত জামা‘আতে ছালাত হয় এরূপ মসজিদে ই‘তিকাফ করা যাবে কি? বিশেষত নারীরা এরূপ মসজিদে ই‘তিকাফ করতে পারবে কি? - -আব্দুল কাদের, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৩৭/৭৭) : জীবিত বা মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করার ব্যাপারে শরী‘আতে কোন অনুমোদন আছে কি? - -মুহাম্মাদ ফরহাদ, টঙ্গী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (২৮/২৬৮) : সূরা তওবা ১১ ও ৮৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই। - রফীকুল ইসলাম, ভালুকা, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (২৭/১৪৭) : তাশাহহুদে বসা অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানের দিকে না আঙ্গুল নাড়ানোর দিকে রাখতে হবে?
প্রশ্ন (২৬/৬৬) : ‘একবার মাথাব্যথা হ’লে ৬ মাসের গুনাহ মাফ হয়’- এ বক্তব্যের কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১০/২৯০) : শয়তান কি কখনো মানুষের কানে পেশাব করতে পারে? এ ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) কিছু বলেছেন কি? - -রাফিয়া তাসনীম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
আরও
আরও
.