উত্তর :
মুছল্লীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এমন কিছু মসজিদের দেয়ালে বা মেহরাবে লেখা বা
লাগানো উচিৎ নয়। কেননা ছালাতের সময় এগুলি চোখে পড়লে ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট
হয়। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি নকশাদার চাদরে ছালাত
আদায় করেন। ছালাত শেষে তিনি বললেন, আমার এ চাদরটি হাদিয়া প্রদানকারী আবু
জাহমের নিকট নিয়ে যাও এবং আমার জন্য তার ‘আম্বেজানিয়া’ চাদর নিয়ে আস। কেননা
এখনই এই চাদরটি আমার ছালাতের একাগ্রতা নষ্ট করল’ (মুত্তাফাক আলাইহ, মিশকাত হা/৭৫৭)।
আনাস (রাঃ) বলেন, আয়েশা (রাঃ)-এর একটি পর্দা ছিল, যা দ্বারা তিনি ঘরের
একদিক ঢেকে রেখেছিলেন। নবী করীম (ছাঃ) বললেন, তোমার এ পর্দা সরিয়ে ফেল।
কারণ তার ছবিসমূহ আমার ছালাতের মাঝে আমার চোখে পড়ে (বুখারী, মিশকাত হা/৭৫৮)।
ইমাম মালেক (রহঃ)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হ’লে তিনি বলেন, মসজিদের
ক্বিবলায় কুরআনের কিছু লিখা বা এর দ্বারা সৌন্দর্য বর্ধন করাকে আমি অপসন্দ
করি। কারণ এগুলি মুছল্লীর দৃষ্টি কেড়ে নেয় (ইবনুল হাজ্জ, আল-মাদখাল ২/২১৫)। এছাড়া কালেমা মসজিদ সাজানোর জন্য নয়, বরং পাঠের জন্য। ইমাম নববী বলেন, কুরআনের কিছু অংশ দেওয়ালে লেখা আমাদের নিকট মাকরূহ (আত-তিবইয়ান ফী হাম্মাল্লাতিল কুরআন ১১০ পৃ.)। হানাফী বিদ্বান কামাল ইবনুল হুমাম বলেন, কুরআন বা আল্লাহর নাম দেওয়ালে লেখা মাকরূহ (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/৩১০)। এছাড়াও আধুনিক যুগের প্রখ্যাত আলেমগণ মসজিদের দেওয়ালে বিশেষত ক্বিবলার দিকে কিছু লেখা বা নকশা করাকে বিদ‘আত ও অপসন্দনীয় বলেছেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২/৫/১৯০-১৯১; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১১/২৭৫)।