উত্তর : ঘটনাটি হ’ল- আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) স্বীয় খেলাফতকালে (ইরানের দক্ষিণ হামদান এলাকার নাহাওয়ান্দে) ‘সারিয়াহ’ নামক জনৈক সেনাপতির অধীনে একদল সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। যুদ্ধের এক পর্যায়ে তারা পরাজয়ের সম্মুখীন হয়। তখন ওমর (রাঃ) মদীনার মসজিদে নববীতে খুৎবা দিচ্ছিলেন (যেখানে ওছমান ও আলী (রাঃ) সহ বহু ছাহাবী তাবেঈ ও মুছল্লী উপস্থিত ছিলেন)। এ সময় ওমর (রাঃ) চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন, হে সারিয়া! পাহাড়ে আশ্রয় নাও। এই গায়েবী আওয়ায যুদ্ধ ক্ষেত্রে সবাই শুনতে পায়। তখন তারা পিছনে হটে পাহাড়ে আশ্রয় নেন। অতঃপর পুনরায় যুদ্ধ করে জিতে যান’ (বায়হাক্বী দালায়েল হা/২৬৫৫, ৭/১৮৬; মিশকাত হা/৫৯৫৪; ছহীহাহ হা/১১১০)

ছাহেবে মিরক্বাত বলেন, এটি ওমর (রাঃ)-এর একটি মহান কারামত ও অত্যুচ্চ মর্যাদার প্রমাণ। এর মধ্যে কয়েকটি বিষয় রয়েছে। যেমন যুদ্ধ ক্ষেত্রের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠা। তাঁর আওয়ায সেখানে পৌঁছে যাওয়া। প্রত্যেকে সে আওয়ায শোনা। সেনাদলের বিজয় লাভ করা এবং তার দো‘আর বরকতে তাদের সাহায্যপ্রাপ্ত হওয়া (মিরক্বাত)

এটি ইলমে গায়েব হ’লেও ওমর (রাঃ) গায়েব জানতেন না। বরং গায়েবের মালিক আল্লাহ তাঁর প্রতি ইলহাম করেছিলেন। যেমনটি আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি কখনো কখনো করে থাকেন। যেমন তিনি করেছিলেন মূসা (আঃ)-এর মায়ের প্রতি এবং আরও অনেকের প্রতি। এভাবে তিনি তার নেক বান্দাদের সম্মানিত করেন। যাকে ‘কারামত’ বা ‘সম্মান’ বলা হয়। অতএব এটি ছিল ওমর (রাঃ)-এর প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে ইলহাম বা প্রক্ষেপণ। যা দ্বারা তিনি ইসলামী বাহিনীকে বিজয়ী করেন।

ইসলামী শরী‘আতে ইলহাম বা কারামত বিশুদ্ধ হাদীছ সমূহ দ্বারা প্রমাণিত (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/২৯৮, ১০/২৯-৩০; ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ ডক্টরেট থিসিস (প্রকাশকাল : ১৯৯৬ খৃ. ১১০ পৃ.)।






প্রশ্ন (১৯/২৫৯) : বীর্য কি পবিত্র? ধোয়ার পরও কিছু অংশ লেগে থাকলে উক্ত কাপড়ে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৭৪) : জনৈক ব্যক্তি তার মাল-সামান আমার কাছে রেখে গেছেন। তার ফিরে আসা অনিশ্চিত। উক্ত মাল ব্যবহার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : পাত্রী দেখার সময় পাত্র, পাত্রীর শরীরের কতটুকু অংশ দেখতে পারবে?
প্রশ্ন (৩৯/২৭৯) : পাকা চুল-দাড়ি উঠিয়ে ফেলায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৬/৬৬) : আমরা জানি যে, জুম‘আর দিন যে ব্যক্তি মসজিদে প্রথমে প্রবেশ করে তাকে উট কুরবানীর ছওয়াব দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হ’ল সময়টা কখন থেকে শুরু হয়?
প্রশ্ন (৯/১২৯) : ফজরের সুন্নাত ও ফরয ছালাতের মাঝে কোন ছালাত বা যিকর-আযকার রয়েছে কি?
প্রশ্ন (২৬/৩৮৬) : শাওয়াল মাসের ছয়টি ছিয়াম পালনের ফযীলত কি? রামাযানের ক্বাযা ছিয়াম থাকলে তা আগে করতে হবে না শাওয়ালের ছিয়াম আগে পালন করতে হবে?
প্রশ্ন (৩৫/২৭৫) : ছালাত আদায়কালে মহিলাদের চুল বেঁধে খোপা করে রাখা যাবে, না ছেড়ে দিতে হবে? কেউ কেউ বলেন ছেড়ে রাখা আবশ্যক। সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৮/২৯৮) : সন্তানের নাম আরাবী রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ফেসবুক-ইউটিউব তথা ইন্টারনেট জগতে কাজ করতে গেলে প্রায়শঃই মন্দ ছবি চোখে পড়ে। এভাবে বার বার অনিচ্ছা সত্ত্বেও চোখ পড়ে গেলে গুনাহগার হতে হবে কি?
প্রশ্ন (১/৩৬১) : অন্যের জমিতে ফসলের ক্ষতি না করে বিনা অনুমতিতে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী চরানো বা ঘাস খাওয়ানো যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : বিবাহের সময় বরকে কবুল না বলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে বলা হয়। বরও মুখে কবুল না বলে কবুলের নিয়তে মুখে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলে। অভিভাবক ও সাক্ষীরা বরের সম্মতি ধরতে পেরেছে। এক্ষণে বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কি? নাকি পুনরায় বিবাহের প্রয়োজন আছে? - -আলমগীর, কাহারোল, দিনাজপুর।
আরও
আরও
.