উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়ে জুম‘আর খুৎবা দিতেন। এটি সুন্নাত। হাকাম বিন হাযন আল-কুলাফী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জুম‘আর দিন হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিতে দেখেছি (আবুদাঊদ, সনদ হাসান, হা/১০৯৬; ইরওয়াউল গালীল হা/৬১৬, ৩/৭৮; বায়হাক্বী ৩/২০৬, সনদ ছহীহ; বুলূগুল মারাম হা/৪৬৩)। অনুরূপ ঈদের মাঠে এবং অন্যান্য স্থানেও বক্তব্যের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়েছেন (আবুদাঊদ হা/১১৪৫, সনদ হাসান; ইরওয়াউল গালীল হা/৬৩১, ৩/৯৯; আহমাদ ৩/৩১৪, সনদ ছহীহ)

উল্লেখ্য, মিম্বর তৈরীর পর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নেননি বলে ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) দাবী করেছেন। কিন্তু উক্ত কথার পক্ষে কোন দলীল নেই। শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত দলীল বিহীন বক্তব্য উল্লেখ করে শুধু জুম‘আর দিনের বিষয়টি সমর্থন করেছেন। তবে ঈদের খুৎবা সহ অন্যান্য বক্তব্যের সময়ে হাতে লাঠি নেওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছেন (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৬৪, ২/৩৮০-৩৮৩ পৃঃ)

মূল কথা হ’ল, মিম্বর তৈরীর পরও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিয়েছেন। কারণ মিম্বর তৈরী হয়েছে ৫ম হিজরীতে। আর হাকাম বিন হাযন ৮ম হিজরীতে মক্কা বিজয়ের বছরে ইসলাম কবুল করে মদীনায় আগমন করেন এবং জুম‘আর দিনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দিতে দেখেন (আবুদাঊদ হা/১০৯৬; বুলূগুল মারাম হা/৪৬৩-এর টীকা দ্রঃ)। দ্বিতীয়তঃ হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দেওয়ার হাদীছটি ব্যাপক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সব সময় লাঠি নিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়। ফাতিমা বিনতু ক্বায়েস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একদা সাধারণ আলোচনার সময় মসজিদে মিম্বরে বসে লাঠি দিয়ে মিম্বরে আঘাত করে দু’বার বললেন, ‘হাযিহী ত্বায়বাহ’ এটি মদীনা শহর... (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৪৮২ ‘ফিতান’ অধ্যায়)। তৃতীয়তঃ মিম্বর তৈরীর পর রাসূল (ছাঃ) হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দেননি- একথার কোন প্রমাণ নেই। চতুর্থতঃ ছাহাবীদের মধ্যেও মিম্বরে দাঁড়িয়ে হাতে লাঠি নিয়ে খুৎবা দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (১-৭৩হিঃ) মক্কায় দিয়েছেন (তারীখু বাগদাদ ১৪/৩৮ পৃঃ)






প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : ঔষধের দোকানে তরল জাতীয় কিছু ঔষধ পাওয়া যায়, যা রোগের উপশমের কাজ করে। আবার মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তা নেশা করার জন্য ব্যবহার করে। এরূপ ঔষধ সেবন করা জায়েয হবে কি? - -রাশেদুয্যামান, ফুলতলা, পঞ্চগড়।
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : আমার পিতা প্রবাসী। বাসায় মা ও বড় বোনকে নিয়ে আমি থাকি। বাসার প্রয়োজন মেটানোর জন্য পাশে আত্মীয়-স্বজন আছেন। এক্ষণে মা ও বোনকে একাকী রেখে ওমরাহ সফরে যাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৫/২৮৫) : একটি ছেলে বোবা অর্থাৎ কথা বলতে পারেন না। সে কিভাবে ছালাত আদায় করবে? - -হুমায়ূন আহমাদ, বেনাপোল, যশোর।
প্রশ্ন (১/২০১) : আমরা শুনেছি যে, পবিত্র কুরআনে নাকি নারী-পুরুষ আল্লাহর নিকট সমান এ কথা বলা হয়েছে। অপরদিকে হাদীছে পিতার চেয়ে মাতার অধিকার বেশী বলা হয়েছে। কিন্তু আক্বীক্বার ক্ষেত্রে দেখা যায় তার উল্টো। অর্থাৎ ছেলের জন্য ২টি আক্বীক্বা, আর মেয়ের জন্য ১টি। এখানে কার অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হ’ল?
প্রশ্ন (৩২/৩২) : নামের শেষে আলী, মুরতাযা, হাসান, হোসাইন, ইত্যাদি যুক্ত করে নাম রাখলে গুনাহ হবে কি? - -আহমাদুল্লাহ, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (১৫/৪১৫) : হজ্জ ফরয হওয়া সত্ত্বেও নানা কারণে হজ্জ পালন না করেই মারা গেলে গুনাহগার হ’তে হবে কি? - হাবীবুল্লাহ, আত্রাই, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : জনৈক আলেম বলেন, পানি থাকা অবস্থায় ঢিলা কুলুখ ব্যবহার করা যাবে না। এটা সঠিক কি? আর পানি থাকা অবস্থায় টিস্যু ব্যবহার করা যাবে কি? - -নাহিদ হাসান, বগুড়া।
প্রশ্ন (২১/৩৪১) : হজ্জ ফরয হওয়া ব্যক্তি কেবল ওমরাহ পালন করলে তার হজ্জের ফরযিয়াত আদায় হয়ে যাবে কি? - -ওমর ফারূককালাই, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) : ছাগল, গরু, মহিষ, ভেড়া প্রভৃতি পশুর চামড়া খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৩/২৯৩) : শোনা যায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ)-কে আববাসীয় শাসনামলে ব্যাপক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১০/২৫০) : জামা‘আত চলাকালীন সময়ে পিছনের কাতারে একাকী হয়ে গেলে সামনের কাতার থেকে কাউকে টেনে আনতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩/৪০৩) : জুম‘আ ও ঈদের খুৎবায় লাঠি ব্যবহার করা যাবে কি? - -মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, দুর্গাপুর, রাজশাহী।
আরও
আরও
.