উত্তর : ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা ও ব্যবহার না জেনে নিজের স্বল্প জ্ঞানের উপর গোঁড়ামী করাকে ধর্মান্ধতা বলে। ‘ধর্মান্ধ’ শব্দটি প্রকৃত মুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা ‘ইসলাম’ হ’ল মানবজাতির জন্য আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম (আলে ইমরান ৩/১৯)। আর ইসলামের প্রকৃত অনুসারী ব্যক্তিই হ’লেন প্রকৃত ধার্মিক। প্রকৃত ধার্মিক ব্যক্তি কখনো ধর্মান্ধ হন না। বর্তমান যুগে কিছু নামধারী মুসলিম প্রকৃত দ্বীনদার মুসলিম পুরুষ ও নারীকে ‘ধর্মান্ধ’ বলেন গালি হিসাবে। তাদের মতে, যারা যুক্তির উপরে ধর্মকে স্থান দেয়, তারাই ধর্মান্ধ। এর দ্বারা তারা ইসলামের প্রতি ইঙ্গিত করেন। এটি তাদের অজ্ঞতার পরিচায়ক। কেননা মানুষের জ্ঞান সসীম। আর আল্লাহ হ’লেন অসীম জ্ঞানের আধার। ইসলাম আল্লাহ প্রেরিত ধর্ম। তার কল্যাণবিধান অনেক সময় সাধারণ মানুষের জ্ঞান ও যুক্তি আয়ত্ত করতে ব্যর্থ হয়। যদিও গভীর জ্ঞানীগণ তা অনুধাবনে সমর্থ হন। সেক্ষেত্রে ইসলামী বিধানকে নিজের জ্ঞানের উপর স্থান দেওয়াই হ’ল প্রকৃত মুসলিমের কর্তব্য। দুঃখের বিষয় এই যে, স্থানপূজা, মূর্তিপূজা, কবরপূজা, ছবি-প্রতিকৃতি পূজা ইত্যাদি বৃথা কর্মগুলিতে এরা ধর্মান্ধতা বলেন না।

মুসলমান হ’ল আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উম্মত (আলে-ইমরান ৩/১১০) এবং মধ্যপন্থী জাতি (বাক্বারাহ ২/১৪৩)। রাসূল (ছাঃ) সকল কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন (মুসলিম হা/২৮১৬, তিরমিযী হা/২১৪১; মিশকাত হা/৯৬)। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ছাহেবে মির‘আত বলেন, তোমরা তোমাদের সৎকর্মের মাধ্যমে সুষ্ঠুতা ও দৃঢ়তা অন্বেষণ কর এবং কোনরূপ বাড়াবাড়ি ও হ্রাসকরণ ছাড়াই মধ্যপন্থা অবলম্বন কর (মির‘আত হা/৯৬-এর ব্যাখ্যা)

সংশোধনী

গত নভেম্বর’১৫ সংখ্যায় (৩৮/৭৮) প্রশ্নোত্তরে দাদা ও দাদার বোন হিসাবে উত্তর প্রদান করা হয়েছে। এক্ষণে উক্ত বোন যদি মৃতের বোন হয়, তবে পুরো সম্পদের ৩ ভাগের ২ ভাগ দাদা এবং ১ ভাগ বোন পাবে। দাদার বর্তমানে মৃত বোন ও তার সন্তানেরা ওয়ারিছ হবে না।






প্রশ্ন (২৮/২২৮) : সম্প্রতি নেকাব পরিহিত অবস্থায় নারীদের ইন্টারনেটে বিশেষত ইউটিউবে ওয়ায-নছীহত করতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের পূর্ণ পর্দার মধ্যে নারী-পুরুষের মিশ্রিত মজলিসে স্টেজে বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে। এটা জায়েয হবে কি? - -আবেদ আলীমালদহ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : নেয়ামুল কুরআনের ৯৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ৫টি স্থানে মিথ্যা বলা জায়েয। ১. জিহাদের সময়, ২. মীমাংসার সময়, ৩. স্ত্রীর মন জয় করার জন্য, ৪. ছেলে-মেয়েকে পড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য, ৫. কথা বলার ইচ্ছা নেই তবুও বলতে হয়, এমন অবস্থায়। এগুলোর সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : বিবাহ ঠিক হওয়ার পর বিবাহ পড়ানোর কিছুদিন দেরী আছে। এক্ষণে পাত্রীর সাথে পাত্র প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২০/৩৪০) : মোযার উপর মাসাহ করার সঠিক পদ্ধতি কি? - -আব্দুল হাই, ভারুয়াখালী, জামালপুর।
প্রশ্ন (৩৭/৪৭৭) : বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় কখনো লোকলজ্জায় দান করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রতিশ্রুতি পালন করেন না। এতে কি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের গুনাহ হবে?
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : মানুষ ও জিন যে বয়সে মারা যায় ক্বিয়ামতের দিন কি সেই বয়সেই উঠানো হবে?
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : আমাদের এলাকার একজন ভদ্র হিন্দু শিক্ষক মারা গেলে হিন্দু-মুসলিম সবাই মিলে তাঁকে দাফন করে। এ ব্যাপারে শরী‘আতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) : আমি আমার মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে নফল, তাহাজ্জুদ বা অন্য কোন ছালাত আদায় করলে ছালাত হবে কি?
প্রশ্ন (৫/২০৫) : পুরুষেরা দাড়ি ব্যতীত শরীরের অন্য স্থানে সৌন্দর্যের জন্য মেহেদী ব্যবহার করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৬/৪০৬) : অনেকে তার কৃতকর্মের ভুল বুঝতে পেরে তাবলীগে গিয়ে বা হজ্জ করে ভালো হয়ে গেছে। এক্ষণে তার পূর্বের পাপের হিসাব কি দিতে হবে, নাকি আল্লাহ মাফ করে দিবেন? ঘুষের টাকা দান করলে কোন ছওয়াব পাবে কি? - -সেলিম হাসান চৌধুরী, খলিশাকুন্ডি, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (৩২/৩১২) : কিছু মানুষ আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে আছে। তারা কোন বিচার মানে না। থানায় কেস করলে পুলিশকে টাকা দিয়ে তাদের পক্ষে রায় নেয়। তাদের কারণে আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এভাবে যুলুমের শিকার হ’লে এবং প্রশাসনিক কোন প্রতিকার না পেলে একজন মুমিনের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো যাবে কি? - -আব্দুল হালীম, বাগমারা, রাজশাহী।
আরও
আরও
.