উত্তর :
কুরআন শিক্ষা দিয়ে, ইমামতি করে, আযান দিয়ে, দ্বীনী তা‘লীম দিয়ে বিনিময়
গ্রহণ করা জায়েয আছে। তবে অর্থ গ্রহণ যেন উদ্দেশ্য না হয়। উদ্দেশ্য হতে হবে
আল্লাহর সন্তুষ্টি। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে বস্ত্তর উপর তোমরা
পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে সেগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশী হকদার হচ্ছে
আল্লাহ্র কিতাব (বুখারী, মিশকাত হা/২৯৮৫)। উক্ত হাদীছে সূরা ফাতিহা পাঠ করে ঝাড়ফুঁক করে ছাহাবীগণ খাদ্য হিসাবে বিনিময় গ্রহণ করেছেন সে কথাও উল্লেখ রয়েছে।
রাসূল (ছাঃ) আবূ মাহ্যূরাকে আযান শেষে একটি রূপার থলি প্রদান করে তার জন্য বরকত কামনা করে দো‘আ করেন (নাসাঈ হা/৬৩২; ইবনু মাজাহ হা/৭০৮)। অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) আযানের বিনিময়ে যে পারিশ্রমিক গ্রহণ করবে না তাকে মুয়াযযিন হিসাবে গ্রহণ করতে বলেছেন (নাসাঈ হা/৬৭২; তিরমিযী হা/২০৯)। এর অর্থ হচ্ছে, যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করার শর্ত দিবে। যেমন বলল, এ পরিমাণ টাকা না দিলে আমি ইমামাতি করব না, আযান দিব না, কুরআন পড়াবো না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ নিজেদের ইচ্ছায় প্রদান করলে তাতে কোন দোষ নেই (শানক্বীত্বী, শারহু যাদুল মুসতাক্বনি‘ ৯/১৪৯)।
এগুলিতে বিনিময় গ্রহণ করা কুরআনকে স্বল্প মূল্যে বিক্রয়ের অন্তর্ভুক্ত বিষয় নয়। ইহুদী-নাছারা ধর্মনেতারা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাদের কিতাবের শব্দ বা অর্থ পরিবর্তন করে ফেলত এবং তার বিনিময়ে লোকদের নিকট থেকে অর্থ উপার্জন করত। আল্লাহ একে তাচ্ছিল্যভরে ‘স্বল্পমূল্যে বিক্রয়’ বলে অভিহিত করেছেন (তাফসীর কুরতুবী, উক্ত আয়াতের বাখ্যা দ্রঃ)। অতএব ইসলামী শারী‘আতের কোন বিধানকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে যদি কেউ ঘুষের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করে তাহলে তা এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত হবে।